ফারুক আহমদ, উখিয়া:
উখিয়ায় ৪দিন ব্যাপী ফলদ বৃক্ষ মেলায় দশনার্থী ও বৃক্ষ প্রেমিকদের ব্যাপক সাড়া পড়েছে। প্রায় ২৫ হাজার বিভিন্ন প্রজাতির ফলজ, বনজ ও ঔষধী গাছের চারার মহা সমারোহে গত মঙ্গলবার উখিয়া মডেল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠে বর্ণাঢ্য আয়োজনে উপজেলা প্রশাসনের সহযোগীতায় উখিয়া কৃষি বিভাগ এ মেলার আয়োজন করে।
সরজমিন পরিদর্শনে দেখা যায়, উখিয়ায় ৪দিন ব্যাপী ফলদ বৃক্ষ মেলায় ১৫টি স্টল খোলা হয়েছে। উক্তগুলোতে উন্নত জাতের আম, পেয়ারা, লেবু, আতা, লিচু, কাঠাল, আমলকি, বাতাসি, সাবাতা, শৈর্বা, বরই, কুল, গর্জন, সেগুন, শিমুল, একাশি, ইউক্লিপটাস সহ অসংখ্য প্রজাতির বৃক্ষচারা প্রদর্শনী করা হয়। উক্ত ফলদ মেলায় প্রচুর বৃক্ষ প্রেমিকদের ভিড় লক্ষ্য করা গেছে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ শরিফুল ইসলাম জানান, এবারের ফলদ ও বৃক্ষ মেলায় ১৫টি স্টলে ফলজ, বনজ ও ঔষধী গাছের প্রায় ২৫ হাজার চারা বিক্রির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। গত ৩ দিনে প্রায় ১৮ হাজারের অধিক চারা বিভিন্ন শ্রেণির মানুষ ক্রয় করতে সক্ষম হয়। আজ শুক্রবার সমাপনী দিনে ব্যাপক দর্শনার্থীর সমাগম হবে বলে তিনি আশাব্যক্ত করেন।
এদিকে নার্সারীর মালিকগণ জানান, গত ৩ দিনে আশাতীত ফলজ, বনজ ও ঔষধী গাছের চারা বিক্রি হয়েছে। এলাকার সচেতন নাগরিক ও স্কুল শিক্ষার্থীরা এসব চারা ক্রয় করেছে। তাদের মতে বাড়ির আঙ্গিনায় ও পরিত্যক্ত জায়গায় বৃক্ষের চারা রোপনের ব্যাপক সচেতনতা বৃদ্ধি পেয়েছে তা লক্ষ্যনীয়।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, গত ২৫ জুলাই উখিয়া মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে ৪দিন ব্যাপী ফলদ বৃক্ষ মেলার আনুষ্ঠানিক উদ্ভোধন করেন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ মাঈন উদ্দিন। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ শরিফুল ইসলামের সভাপতিত্বে উদ্ভোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ মোহাম্মদ শাহাব উদ্দিন, উপজেল মৎস্য কর্মকর্তা মোহাম্মদ মুখলেছুর রহমান, উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা সুব্রত কুমার ধর, উপজেলা বিআরডিবি কর্মকর্তা, ইউআরসির প্রশিক্ষক, উখিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবুল হোসাইন সিরাজী, সরকারি মডেল প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হারুণ অর রশিদ, উখিয়া প্রেস ক্লাবের সভাপতি মোঃ রফিকুল ইসলাম, উখিয়া সাংবাদিক ফোরামের সভাপতি ফারুক আহমদ সহ সার ডিলার, কীটনাশক ব্যবসায়ী ও নার্সারীর মালিকগণ।
এপ্রসঙ্গে জানতে চাইলে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ শরিফুল ইসলাম বলেন, পরিবেশ রক্ষা ও নিজেকে বাচাঁতে ফলদ বৃক্ষ মেলার আয়োজনের মুখ্য উদ্দ্যেশ্য। জলোচ্ছাস, দুর্যোগ মোকাবেলা এবং পুষ্টির চাহিদা মেটাতে বৃক্ষের কোন বিকল্প নেই। তিনি আরও বলেন, ফলদ মেলা উপলক্ষ্যে কৃষি বিভাগের উদ্যোগে ১০টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে ৩৫০টি ফলদ বৃক্ষের চারা বিতরণ করা হয়েছে। তৎমধ্যে ১৫০ পেয়ারা, ১০০টি আম, ১০০টি আতা ফলের চারা সরবরাহ করা হয়। এছাড়াও উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসকে আরও ১০০টি বিভিন্ন প্রজাতির চারা দেওয়া হয়েছে।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।