ডেস্ক নিউজ:
বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গা শরণার্থীদের দৈনন্দিন জীবন যাপনে নিত্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী মিয়ানমার রিফৌজি রিলিফ(এমআরআরও) প্রকল্পের নন ফুড সামগ্রী বিতরণেও ব্যাপক দূর্নীতির অভিযোগ পাওয়া গেছে সেলিম আহমেদ ও নাজমুল আলম খাঁন সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে।
সূত্রমতে, রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জন্য নন ফুড সামগ্রীর মধ্যে, সাবান, মশারী, তৈল, কেরোসিন, বালতি, কোকারীজ সামগ্রী এবং নারীদের অতি প্রয়োজনীয় সামগ্রী হাইজিন কিডস ইত্যাদি বিতরণ করা হয়।
প্রাপ্ত অভিযোগে জানা যায়, বিগত ৪ বছর পূর্বে এ প্রকল্পের দায়িত্বে থাকার সুবাধে যোগদানের প্রথম বছর থেকেই শুরু হয় সেলিমের দূর্নীতি। নন ফুড সামগ্রীর অর্ধেকেরও বেশি ত্রাণ দালালের মাধ্যমে বাহিরে বিক্রয় করে অবশিষ্ট মালামাল রোহিঙ্গাদের মাঝে নামে মাত্র বিতরণ করে আসছে। এতে ক্রমান্বয়ে পকেট ভারী হয়ে উঠেছে আর বঞ্চিত হচ্ছে মিয়ানমার সরকারের দমন নিপীড়নের হাত থেকে রক্ষা পেতে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গা। সেলিম আহমেদ যোগদানের প্রথম বছরেই এমআরআরও প্রকল্পে ভয়াবহ দূর্নীতি শুরু করলে সেসময় প্রকল্পটিতে কর্মরত ব্যক্তিরা তার বিরুদ্ধে দূর্নীতির অভিযোগে আন্দোলন শুরু করেন। সেলিম আহমেদ বর্তমানে বর্তমানে এমআরআরও প্রকল্পের কো-অর্ডিনেটরের দায়িত্বে রয়েছেন। তার দূর্নীতির বিরুদ্ধে সদর দপ্তরেও লিখিত অভিযোগ করেন আন্দোলনকারীরা। কিন্তু তার বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
অভিযোগ রয়েছে, সেলিম আহমদ তার সিন্ডিকেটের প্রধান আশির্বাদপুষ্ট ব্যক্তি বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির ডিসেস্টার রেসপন্স বিভাগের কেন্দ্রীয় পরিচালক নাজমুল আলম খানের মাধ্যমে দূর্নীতিবাজ কিছু কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করার কারণে সদর দপ্তরের পক্ষ থেকে তার বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। এসে সেলিম আহমেদ আরো বেপরোয়া হয়ে উঠেছে।
এ ব্যাপারে বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির কক্সবাজার ইউনিটের নির্বাহী কমিটির জেনারেল সেক্রেটারী আবু হেনা মোস্তাফা কামাল’র কাছ থেকে জানতে চাইলে তিনি বলেন, সম্প্রতি সংবাদ মাধ্যমে জানতে পেরেছি ত্রাণ বিতরণে ব্যাপক দূর্নীতির বিষয়। অভিযুক্ত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে সদর দপ্তর তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা নিতে পারে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
এদিকে পত্রিকায় ধারাবাহিকভাবে সেলিম-নাজমুলের ব্যাপক দূর্নীতির বিরুদ্ধে তথ্যবহুল ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ প্রকাশের পর কক্সবাজার ছাড়াও বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির সদর দপ্তরেও ব্যাপক তোলপাটের সৃষ্টি হয়েছে। বেরিয়ে আসছে থলের বিড়াল। সম্প্রতি পত্রিকায় ওই সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে ফুড ফ্রুটিলা প্রকল্পে পুকুর চুরির তথ্য তুলে ধরা হয়। ইতোমধ্যে বেরিয়ে আসছে প্রপুলেশন মুভমেন্ট প্রকল্পের আওতায় সবচেয়ে ব্যায় বহুল ত্রাণ বিতরণে কৌটি কৌটি টাকার লুটপাটের তথ্য। আগামী পর্বে তুলে ধরা হবে সেলিম-নাজমুল সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে আরো দূর্নীতির ভয়াবহ তথ্য।
অপরদিকে সেলিম-নাজমুল সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে দূর্নীতির খবরে যেমন বিশ্বজুড়ে স্বনামধন্য সংস্থা রেড ক্রিসেন্টের ব্যাপক সুনাম নষ্ট হচ্ছে।
অপরদিকে রোহিঙ্গাদের মাঝেও ত্রাণ লুটপাটের ঘটনায় যেকোন সময় বিরুপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হতে পারে বলে ধারণা করছেন বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। তাদের দাবি দূর্নীতিবাজ ওই কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তির পাশাপাশি দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা উচিৎ।
দূর্নীতির বিষয়ে জানতে চাইলে, অভিযুক্ত কর্মকর্তা এমআরআরও প্রকল্পের কো-অর্ডিনেটর সেলিম আহমেদ বরাবরের মতই তার বিরুদ্ধে সকল অভিযোগ মিথ্যা ও ষড়যন্ত্র বলে দাবি করেন।
–সকালের কক্সবাজার
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।