হাফেজ মুহাম্মদ কাশেম, টেকনাফ:
পরকালীন মুক্তির কথা চিন্তা করে এতিমখানা ও হেফজখানায় প্রায় অর্ধ কোটি টাকা মূল্যের ২০ শতক জমি দান করেছেন এক মহিয়ষী মহিলা। সাম্প্রতিক সময়ে বিশেষতঃ জমির দুর্মূল্যে টেকনাফে এধরণের ঘটনা বিরল। মহিলাটি হলেন টেকনাফ উপজেলার হ্নীলা ইউনিয়নের নাটমুরাপাড়া গ্রামের বাসিন্দা মরহুম হাজী আবদুল জলিল চৌধুরীর স্ত্রী রহিমা খাতুন (৬৫)।
জানা যায় ১ আগস্ট মঙ্গলবার দলিল লেখক আলহাজ্ব মোঃ শাহজাহানের মধ্যস্থতায় টেকনাফ সাব-রেজেস্ট্রি অফিসে উপস্থিত হয়ে হ্নীলা ‘ফকিরাবাদ আল্লামা ফকির মোহাম্মদ-মোমেনা খাতুন এতিমখানা ও হেফজখানা’র নামে নিজ মালিকানাধীন ২০ শতক জমি সম্পুর্ণ বিনা মূল্যে দানপত্র করে দেন। যার বর্তমান বাজার মুল্য প্রায় অর্ধ কোটি টাকা। গ্রহীতা হিসাবে উপস্থিত ছিলেন হ্নীলা ফকিরাবাদ কা’ব বিন মালেক (রাঃ) আল-ইসলামিয়া মাদ্রাসার প্রতিষ্টাতা পরিচালক ও আল্লামা ফকির মোহাম্মদ-মোমেনা খাতুন এতিমখানা ও হেফজখানা’র পক্ষে আলহাজ্ব মাওঃ তারেক বিন ফকির।
দাতা রহিমা খাতুনের পুত্র টেকনাফ নিউ গার্ডেন গেস্ট হাউজের (আবাসিক) ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও টেকনাফ ইকো-ট্যুরিজমের প্রোপাইটর মোহাম্মদ কলিম বলেন দক্ষিণ হ্নীলা মৌজার আরএস খতিয়ান নং-১৪৯৬ বাটা-১, এমআরআর খতিয়ান নং-১৬৪২, আরএস দাগ নং-৫৫৯৭, ৬০২০, বিএস খতিয়ান নং-৭৫২, বিএস দাগ নং-৬৪৮৪, ডিআরআর খতিয়ান নং-২৫৭৭, ডিআরআর দাগ নং-১২৩১০ আন্দর ২০ শতক জমি পরকালীন মুক্তির উদ্দেশ্যে স্বেচ্ছায় স্বজ্ঞানে হ্নীলা ‘ফকিরাবাদ আল্লামা ফকির মোহাম্মদ-মোমেনা খাতুন এতিমখানা ও হেফজখানা’র নামে সম্পুর্ণ বিনা মূল্যে দানপত্র করে দিয়েছেন। এ জমিতে আমরা ওয়ারিশদের কারও কোন প্রকার দাবি দাওয়া নেই, ভবিষ্যতেও থাকবেনা।
এদিকে হ্নীলা ফকিরাবাদ কা’ব বিন মালেক (রাঃ) আল-ইসলামিয়া মাদ্রাসার প্রতিষ্টাতা পরিচালক ও আল্লামা ফকির মোহাম্মদ-মোমেনা খাতুন এতিমখানা ও হেফজখানা’র পক্ষে গ্রহীতা আলহাজ্ব মাওঃ তারেক বিন ফকির প্রতিষ্টানের নামে আল্লাহর ওয়াস্তে নিঃস্বার্থভাবে মুল্যবান জমি ওয়াকফ করায় সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন।