রাশেদুল মজিদ
মায়ের কাছ থেকে মাত্র ৭ হাজার টাকা নিয়ে ব্যবসা শুরু করেছিলেন এইচ এম নুরুল আলম। কঠোর পরিশ্রম আর সততায় মাত্র ১৭ বছরের মাথায় তিনি প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী হিসেবে উঠে এসেছেন কক্সবাজারের প্রথম সারির ব্যবসায়ীদের কাতারে। হয়েছেন কোটিপতি। কক্সবাজার পেট্রল পাম্প মালিক সমিতির অর্থ সম্পাদক তিনি। একই সাথে বাংলাদেশ পেট্রোল পাম্প ওনার্স এসোসিয়েশন এর কার্যনির্বাহী সদস্য। কেন্দ্রিয় কমিটিতে কক্সবাজার থেকে একমাত্র তিনিই প্রতিনিধিত্ব করছেন। সম্প্রতি তিনি কক্সবাজার চেম্বার অব কর্মাস এন্ড ইন্ডাষ্ট্রিজ এর পরিচালক হিসেবে মনোনিত হয়েছেন। রামু উপজেলা থেকে একমাত্র তিনিই স্থান পেয়েছেন পরিচালক হিসেবে।
খোঁজ খবর নিয়ে জানা গেছে, ২০০০ সালে কলেজে পড়াশুনা অবস্থায় মায়ের কাছ থেকে মাত্র ৭ হাজার টাকা নিয়ে নিজের বাড়ির আঙ্গিনায় বাবা-মায়ের নামে ‘সিকদার-রাবেয়া পোল্ট্রি ফার্ম’ পোল্ট্রি ব্যবসা শুরু করেন। প্রথমে ৩০০ মুরগীর বাচ্চা দিয়ে শুরু করা হয় পোল্ট্রির খামার। পরে তা বাড়িয়ে ২০ হাজার পর্যন্ত করা হয়। বাড়তে থাকে মূলধনও। কঠোর পরিশ্রম, সততা, মেধা আর বিচক্ষণতায় তাকে আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। ব্যবসার লাভ আর বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে ঋন নিয়ে একে একে গড়ে তুলেন মৎস্য খামার, আলম এন্ড ব্রাদার্স ও আলম মটরস নামের দোকান, এন আলম ফিলিং ষ্টেশন, এনআরসি ফিলিং ষ্টেশন, এসআর কনষ্ট্রাকশন, হোটেল ও রেন্ট-এ কার ব্যবসা। এসব প্রতিষ্ঠানে প্রায় ১০০ মানুষের কর্মসংস্থানও সৃষ্টি করেন। যাকে নিয়ে এই সফলতার গল্প তিনি হলেন কক্সবাজারের রামু উপজেলার চাকমারকুল গ্রামের নুর আহমদ সিকদারের পুত্র। ১০ ভাই-বোনের মধ্যে এইচ এম নুরুল আলম নবম। ১৯৯৬ সালে চট্রগ্রামের নাজিরহাট বড় মাদ্রাসা থেকে কোরআনে হাফেজ হয়েছেন। ১৯৯৯ সালে ছুরতিয়া মাদ্রাসা থেকে দাখিল পাস করেন। এরপর পড়াশুনা করেছেন রামু কলেজে। আর কলেজ জীবন থেকেই জীবন সংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়েন তিনি।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।