প্রেস বিজ্ঞপ্তি:
জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে স্থানীয় বীর মুক্তিযোদ্ধাগণের এক সমাবেশে যুদ্ধকালীন কমান্ডার জনাব বীর মুক্তিযোদ্ধা কামাল হোসেন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে প্রধান অতিথি জেলা প্রশাসককে স্মারকলিপি প্রদান কালে সভার শুরুতে জেলা প্রশাসক সাহেবেকে জেলা কমান্ডের দায়িত্ব গ্রহণ করায় কক্সবাজার জেলার সকল মুক্তিযোদ্ধাদের পক্ষ থেকে ধন্যবাদ জানানো হয়। অনুষ্ঠানে যুদ্ধকালীন কমান্ডার আব্দুস সোবহান, প্রাক্তন কমান্ডার কক্সবাজার পৌরসভার চেয়ারম্যান নুরুল আবছার, প্রাক্তন কমান্ডার মোহাম্মদ আলী, প্রাক্তন কমান্ডার সালেহ আহমদ, প্রাক্তন কমান্ডার রঞ্জিত কুমার, প্রবীন মুক্তিযোদ্ধা নেতা হারুনুর রশিদ, নূরুল হক, আনোয়ার হোসেন, আব্দুল ওয়ারেজ, শাহাব উদ্দিন, শামশুল আলম মেম্বার, রমজান আলী, জামাল হোসেন, এনামুল হোসেন, মাহাফুজুর রহমান, মোহাম্মদ ফজলুল হক, নুরুল হুদা, নুরুজ্জামান, আব্দুর রশদ, দীন মোহামম্দ, মনছুরুল হক, কৃষ্ণ দাশ, সুদা সুশীল , মোহাম্মদ বাদশা, নুরুল কবির বাঙালী, নাছির আহমদ চৌধুরী, সালেহ আহমদ, কমরেড গিয়াস উদ্দিন, ফয়েজুল হুদা, আব্দুর রহিম, জামাল উদ্দিন, শামশু, নুরুল আলম ফেরদৌস, মোস্তফা আনোয়ার ইকবাল, সিরাজুল হক, আনোয়ার হোসেন, হারুনুর রশিদ, আরিফুর রহমান, ওসমান গণি, নুর মোহাম্মদ, জয়নাল আবেদীন, একে ফরিদ আহমদ, দিল মোহাম্মদ রুস্তুমসহ আরো ৮০ জন বীর মুক্তিযোদ্ধা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

তাৎক্ষনিকভাবে জেলা প্রশাসক আলী হোসেন মহোদয় কক্সবাজার মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কমপ্লেক্স এর চৌহর্দ্দির মধ্যে স্থাবর-অস্থাবর সকল দুটি দালানসহ যাবতীয় মূল্যবান আসবাবপত্রের উদ্ধার তালিকা (ইনভেন্টরি লিষ্ট) করণের এডিএম সাহেবকে নির্দেশ দেন। বিলুপ্ত কমিটির সকল দূর্নীতি তদন্তের নির্দেশ দেন। অমার্যনীয় দুনীতি সমূহের তালিকা স্মারক লিপিতে ধারাবাহিকভাবে লিপিবদ্ধ আছে।

তৎমধ্যে ১) ঝাউতলাস্থ একটি জায়গায় মুক্তিযোদ্ধা স্কুল এন্ড কলেজ সাইন বোর্ড টাঙিয়ে সাবেক জেলা প্রশাসক গিয়াস উদ্দিনকে দিয়ে ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন-উদ্বোধন করে পত্র-পত্রিকায় স্বচিত্র ঘোষণার পর ঐ জায়গাটি স্থাপনাসহ ৪০ লক্ষ টাকার বিনিময়ে শাহাজাহান চক্র দখল বিক্রি করে চলে আসে। ২) মুক্তিযোদ্ধা সংসদের নামে চকরিয়া উপজেলায় ৩৩ একর চিংড়ি ঘেরটি বর্গা লাগিয়ত করে গত ৬ বৎসরে ১৫ লক্ষ টাকার কোন হদিস নেই। ৩) মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের অসহায়ত্বের সুযোগ নিয়ে বিধবা মহিলা থেকে জমি বন্দোবস্তি দখল দেওয়ার নাম করে মাথা পিছু ১০ হাজার টাকা করে ২০ জন থেকে মোট ২ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়ে আত্মসাৎ করেছে শাহজাহান চক্র। ৪) সরকারি নীতির বিরুদ্ধে অবস্থান করে দুর্নীতিবাজ শাহাজাহান চক্র মহেশখালীর চিহ্নিত যুদ্ধাপরাধীকে ৩০ লক্ষ টাকার বিনিময়ে মিথ্যা চাফায় গেয়ে সার্টিফিকেট দিয়েছে। এই রকম ঘৃণিত কাজের শাস্তি দাবী করা হয়। এই রকম অনেক দুর্নীতি রয়েছে যাহা সুষ্ঠ তদন্তের মাধ্যমে জনগণ জানতে পারবে।