অনলাইন ডেস্ক :
এশিয়ার সবচেয়ে সস্তা এবং আকর্ষণীয় গন্তব্যগুলোর একটি থাইল্যান্ড। যেখানে গিয়ে প্রচুর অভিজ্ঞতা উপভোগের সুযোগ রয়েছে। ফলে জনসংখ্যার দিক দিয়ে বিশ্বের মধ্যে ২০তম এই দেশটি এশিয়ার শীর্ষ পর্যটন গন্তব্য হিসেবে আবির্ভুত হয়েছে। দেশটিতে প্রতি বছর ১ কোটি ৬০ লাখ বিদেশি পর্যটক ভ্রমণ করতে যান।
তবে সুন্দর এই দেশটি ভ্রমণের সময় আপনাকে বেশ কিছু বিষয় মাথায় রাখতে হবে। যাতে ভ্রমণ উপভোগের সময় আপনি কোনো অযাচিত সমস্যায় না পড়েন।
থাইল্যান্ড ভ্রমণে গিয়ে করতে মানা এমন দশটি কাজের তালিকা দেওয়া হলো এখানে।
১. কাঁটা চামচ থেকে খাবেন না
থাই টেবিল ম্যানারস মতে, খাবার খেতে চামচ দিয়ে কাঁটা চামচ দিয়ে নয়। কাঁটা চামচ দিয়ে খাবার মুখে তুলে খাওয়াকে সাদা হাতীর দেশ থাইল্যান্ডে নিম্নরুচির পরিচায়ক মনে করা হয়।
২. শরীর ঢেকে রাখা
দেশটির মন্দির এবং আশ্রমগুলো ভ্রমণের সময় আপনাকে পায়ের হাঁটু এবং হাতের কনুই পর্যন্ত কাপড়ে ঢেকে রাখতে হবে। ট্যাঙ্ক টপস, শর্টস, শর্ট স্কার্ট বা টিউব টপস পরা থেকে বিরত থাকুন এসব স্থানে ভ্রমণের সময়।
সুতরাং থাইল্যান্ড ভ্রমণে গেলে সঙ্গে অবশ্যই পুরো শরীর ঢেকে রাখার মতো পোশাক নিয়ে যাবেন।
৩. পরামর্শ শুনুন, কিন্তু খুব বেশি আমলে নিবেন না
যদি আপনার টুক টুক ড্রাইভার আপনাকে বিশেষ কোনো ফ্যাশন বা অলঙ্কারের দোকানে নিয়ে যেতে চায় তাহলে সেখানে যেতে হবে এমন কোনো কথা নেই। কারণ সে হয়তো সেসব দোকান কমিশন পাচ্ছে বলেই তাদেরকে খদ্দের যোগাড় করে দিতে চাইছে।
৪. নারীরা সন্ন্যাসীদের কাছে ঘেঁষবেন না
থাইল্যান্ডে সন্ন্যাসীদেরকে প্রচুর সম্মান করা হয়। তাদের কাছে নারীদের ঘেঁষার অনুমতি নেই। এমনকি প্রকৃতপক্ষে, সন্ন্যাসীদেরও নারীদের স্পর্শ করা নিষেধ। কোনো সন্ন্যাসী যদি কোনো নারীকে কিছু দিতে চান তাহলে তাকে তা মাটিতে রেখে দিতে হয়। একইভাবে কোনো সন্ন্যাসীও কোনো নারীর হাত থেকে সরাসরি কোনো কিছু গ্রহণ করতে পারেন না। বাসে উঠলে কখনোই কোনো সন্ন্যাসীর পাশের সিটে বসবেন না। তেমনি সন্ন্যাসীদের জন্যও নারীদের পাশে বসা নিষেধ।
৫. জুতা পরার নিয়ম
কারো প্রবেশ করতে গেলে অবশ্যই জুতা খুলে প্রবেশ করতে হবে। আর মন্দিরে গেলে তো অবশ্যই জুতা খুলতে হবে। আর এ কারণেই পর্যটকদের জন্য স্যান্ডেলকেই সবচেয়ে বেশি উপযোগী জুতা হিসেবে গণ্য করা হয়। কারণ স্যান্ডেল খোলা সহজ এবং তা পরে দীর্ঘ পথও পাড়ি দেওয়া যায়।
৬. আপনার পা নিয়ে সাবধান থাকুন
দেহের সবচেয়ে নোংরা অংশ হিসেবে বিবেচিত হয় পা। আর এ কারণেই কারো দিকে আপনার পা তাক করা থাকলে তার প্রতি অসম্মান জ্ঞাপন করা হচ্ছে বলে ধরে নেওয়া হয়। আর কখনোই দরজা খোলা রেখে পা উঁচিয়ে রাখবেন না। বা কোনো সন্ন্যাসী বা বুদ্ধের ছবির দিকে পা তাক করেন রাখবেন না।
৭. রাজপরিবারের প্রতি অসম্মান দেখাবেন না
থাইল্যান্ডে রাজা এবং রাজপরিবারের উচ্চ সম্মান দেখানো হয়। সুতরাং তাদের বিরুদ্ধে অসম্মানজনক কিছু বলতে যাবেন না যেন। অথবা রাজপরিবারের সদস্যদের ছবিযুক্ত থাই কয়েন মাটিতে পড়ে গেলে তা পা দিয়ে মাড়িয়ে দেবেন না।
৮. বুদ্ধের ছবি তুলে দেশটির বাইরে নিয়ে আসবেন না
বিশেষ অনুমতি ছাড়া বুদ্ধমুর্তির কোনো ছবি দেশটির বাইরে নিয়ে আসা যায় না। আর বুদ্ধমুর্তির সঙ্গে সেলফি বা কোনো ছবিও তুলতে যাবেন না। এতে বুদ্ধকে অসম্মান করা হয়।
৯. মাথা ঠাণ্ডা রাখুন
থাইল্যান্ডের মানুষেরা উত্তপ্ত বিতর্ক পছন্দ করেন না। ফলে দরকষাকষি করতে গিয়ে গলার স্বর উঁচুতে তুলবেন না যেন।
১০. রাতে বাঁশি বা গান বাজাবেন না
থাইল্যান্ডের মানুষেরা মনে করেন রাতে উচ্চ স্বরে শিস দিলে, বাঁশি বা গান বাজালে অশুভ আত্মাদের আগমন ঘটে। আর তাদের বিশ্বাস এই অশুভ আত্মারা মন্দ ভাগ্য বয়ে আনে। সুতরাং রাতে ভ্রমণে বের হলে বাঁশি বা গান কিছুই বাজাবেন না। সূত্র: হিন্দুস্তান টাইমস
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।