মোঃ নাজিম উদ্দিন, দক্ষিণ চট্টগ্রাম:

চট্টগ্রাম-১৫ (সাতকানিয়া-লোহাগাড়া) সংসদীয় আসনের এমপি ড. আবু রেজা মো. নেজাম উদ্দিন নদভী পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদে দেয়া বক্তব্যের জেরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কাঁদা ছোড়াছুড়ি চলছে। এতে সাতকানিয়া-লোহাগাড়ায় আগামী নির্বাচনকে ঘিরে আওয়ামী লীগে গ্রুপিং বাড়ছে। গত ৬ আগস্ট একটি জাতীয় দৈনিকে দেয়া বক্তব্যে ‘‘এখনো জামায়াতের সখ্য ছাড়তে পারেননি এমপি নদভী’’ শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদে এমপি আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির উপ-প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মো. আমিনুল ইসলাম ও সাতকানিয়া-লোহাগাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সম্পাদকের সমালোচনা করায় গত কয়েকদিন ধরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে কাঁদা ছোড়াছুড়ি চলছে। সাম্প্রতিক ঘোষণা করা মহিলা আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটিতে তাঁর স্ত্রী রিজিয়া রেজা চৌধুরীকে সদস্য পদ দেয়ায় স্থানীয় আওয়ামী লীগে বিতর্ক সৃষ্টি হয়। বর্তমানে রিজিয়া রেজা চৌধুরীকে নিয়ে আলোচনার শেষ নেই। এমনকি আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদককে সংবাদ সম্মেলন করে এমপি নদভী ও তার স্ত্রীর ব্যাপারে ব্যাখ্যা দিতে হয়েছে। লোহাগাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সালাউদ্দিন হিরু তার ফেইসবুক ওয়ালে একটি নির্বাচনী প্রচারনার ছবি দেখিয়ে এমপিকে উদ্দেশ্য করে লিখেন, চট্টগ্রাম১৫ এমপি নদভী আজ পত্রিকায় আমাকে মদদী বলে গালি দিলেন। এই ছবিটি লোহাগাড়ার পুটিবিলা ইউনিয়নের ৫ই জানুয়ারী সংসদ নির্বাচনের প্রচারনার ছবি। যাকে মদদী বলে গালি দিলেন তার সংগঠনের নেতাকর্মীর হাত ধরেই আজকে তিনি এমপি। তাই আজ কাউকে চোর, কাউকে মদদী কিংবা দালাল বলে গালি দিচ্ছেন।

জিয়া হোছাইন চৌধুরী নামে এক ছাত্রলীগ নেতা ফেইসবুক ওয়ালে লিখেন, সাতকানিয়া লোহাগাড়া দুই উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সাধারণ সম্পাদককে নিয়ে সমালোচনা ও বিষোদগার আমিন ভাইকে নিয়ে অপ-প্রচার করে কি অর্জন করবেন। এদের সাজানো মাঠেই আপনি ক্ষমতার ফুটবল খেলছেন আর টিকে আছেন। অকৃতজ্ঞ মানুষ সফল হতে পারে না।

ছাত্রলীগ নেতা তুহিন চৌধুরী তার ফেইসবুক ওয়ালে লিখেন, কে থানার দালালী করে সেটা সকলের ভাল জানা আছে এবং তাদেরকে কে আশ্রয় পশ্রয় দেচ্ছে সেটাও ভাল জানা আছে। ওয়ারেন্টভুক্ত জামায়াতের আসামীরা কার আশীর্বাদ নিয়ে প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়ায় সেটাও আমাদের জানা আছে। আর সাতকানিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কুতুব উদ্দিন চৌধুরী থানায় দালালী করেন নির্যাতিত দলের কর্মীদের জন্য। আপনি এত বড় ফেরেস্তা যে, আপনার জন্য দুই উপজেলা, পৌরসভা আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ছাত্রলীগ খারাপ। আর আপনি আমিন ভাই হইতে আপনাকে পুনরায় আবার জন্ম নিতে হবে, তাও সন্দেহ হতে পারবেন কিনা, ছাত্ররাজনীতি করে ওঠে আসা আমিন ভাই, ওনিতো আর সুযোগ সন্ধানী হাইব্রীড না, ওনি কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সহ সভাপতি ছিলেন তখন আপনি কোথায় ছিলেন, আপনার অস্থিস্ত কি ছিলো জনাব।

এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে সাতকানিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এমএ মোতালেব বলেন, এমপি পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদে দলের দায়িত্বশীলদের বিরুদ্ধে যে বক্তব্য দিয়েছেন, তা ভালো কাজ করেনি। দলের ভিতরে একে অপরের বিরুদ্ধে বিষোদগার করা ঠিক না। এমপি নদভী সাহেবের পক্ষে দুই উপজেলায় আওয়ামী লীগের কোনো নেতা কর্মী নাই। আগামী নির্বাচনে মনোনয়ন নিশ্চিত হলে একে অপরের বিরুদ্ধে বলাটা বন্ধে হয়ে যাবে বলে আমি মনে করি।