সংবাদ বিজ্ঞপ্তি:
বিশিষ্ট সাংবাদিক ও লেখক ড. সঞ্জয় বড়ুয়া আর নেই। মঙ্গলবার (৮ আগষ্ট) দুপুর ১টা ২০ মিনিটের সময় ঢাকার একটি প্রাইভেট ক্লিনিকে তিনি পরলোক গমন করেন। তিনি বার্ধ্যক্যজনিত রোগে আক্রান্ত ছিলেন। ৯ আগষ্ট দুপুর সাড়ে ১২ টার সময় কক্সবাজার শহরের বাহারছড়াস্থ বৌদ্ধবিহারে তার ধর্মীয় ক্রিয়াদি অনুষ্ঠিত হইবে। দুপুর আড়াই ঘটিকার সময় কক্সবাজার বিমানবন্দরস্থ বুড্ডিস্ট শ্মশানে তাঁহার শেষকৃত্য অনুষ্ঠান সম্পন্ন হইবে। প্রয়াত সাংবাদিক ও লেখক ড. সঞ্জয় বড়ুয়ার পরিবারের পক্ষ থেকে উক্ত অনুষ্ঠান সমূহে সকলের সদয় উপস্থিতি কামনা করেছেন। প্রয়াত সাংবাদিক ও লেখক ড. সঞ্জয় বড়ুয়া কক্সবাজার পৌরসভার ৩ নং ওয়ার্ডস্থ সদর থানার পেছন রোডের স্বর্গীয় ভগীরত বড়ুয়া ও নীরদা বালা বড়ুয়ার বড় পুত্র। তিনি উখিয়া উপজেলার দক্ষিণ মরিচ্যায় ১৯৩৬ সালে জন্মগ্রহন করেন। তিনি কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিশিষ্ট আইনজীবী অরূপ বড়ুয়া তপু ও কক্সবাজার জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক অনুপ বড়–য়া অপুর বড় জেঠা।
“সাংবাদিক ড.সঞ্জয় বড়ুয়ার আত্মজীবনী”
১৯৬৩ সালে দৈনিক জেহাদ পত্রিকায় সহ-সম্পাদক হিসাবে সাংবাদিকতা শুরু। ১৯৬৫ দৈনিক পয়গামের সহ-সম্পাদক। ১৯৬৭ সালে সিনিয়র সহ-সম্পাদক হিসাবে পাকিস্তান অবজারভারে যোগদান। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ। মুজিবনগর থেকে প্রকাশিত দি ডেইলী পিপল পত্রিকার সহকারি সম্পাদক এবং ভারতের ইউনাইটেড নিউজ অব ইন্ডিয়া (ইউএনআই) বিশেষ সংবাদদাতা হিসাবে মুক্তিযুদ্ধের সংবাদ পরিবেশন করেন। স্বাধীনতা যুদ্ধকালীন প্রবাসী সরকারের আন্তর্জাতিক বৌদ্ধ উপদেষ্টা হিসেবে ভূমিকা পালন করেন। বাংলাদেশের গণযুদ্ধের পক্ষে বৌদ্ধ রাষ্ট্রসমূহের সমর্থন আদায়ের লক্ষ্যে তিনি স্যাক অব বুড্ডিস্ট ইন বেঙ্গল ও রক্তাক্ত বাংলাদেশ ও বৌদ্ধ সমাজ নামে যথাক্রমে ইংরেজী ও বাংলায় দু’টা গ্রন্থ প্রকাশ করেন। এ জন্যে জাপান ও ভারত সরকার বিশেষ পুরস্কার ভূষিত করেন। স্বাধীনতা লাভের পর যথাক্রমে বাংলাদেশ অবজারভার পত্রিকায় সিনিয়র সহ-সম্পাদক, মর্ণিং নিউজ পত্রিকার চীফ সাব-এডিটর এবং পরবর্তীকালে ফিচার এডিটর নিযুক্ত হন। এছাড়া ১৯৭৮ সালে ঢাকা শিল্প ও বণিক সমিতির ইংরেজী প্রকাশনা ইকনমিক্স রিভিউ সম্পাদনা করেন। ১৯৮৩ সালে ঢাকাস্থ ইউএসএইড-এর প্রতিষ্ঠান মাইডাস-এর ১৯৭৮ সালে ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের অন্যতম নেতা হিসেবে সংবাদপত্রের স্বাধীনতা ও সাংবাদিকদের স্বাধীকার আন্দোলনের সক্রিয় ভূমিকা পালন করেন। এ সময় এক মিছিলে পুলিশের লাঠির আঘাতে গুরুতর আহত হন। সম্পাদক নিযুক্ত। জেনারেশন (১৯৮৩) ও নব চেতনা (১৯৮৩) নামে ইংরেজী ও বাংলায় দু’টো উন্নয়ণ জার্নাল সম্পাদনা করেন। পরবর্তীতে সাংবাদিকতা ছেড়ে ব্যাংককে একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অধ্যাপনায় যোগ দেন। তিনি বঙ্গবীর ওসমানী স্মৃতি পরিষদ গঠন করে এই সংগঠনের সেক্রেটারী জেনারেল মনোনীত হন। এছাড়া উপজাতি ও আদিবাসীদের সংস্থা ‘দি এবোরিজিনাল এন্ড ট্রায়েবেল ওয়েলফেয়ার ফেডারেশন’ গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। ইউরোপ, আমেরিকা, আফ্রিকা ও এশিয়া বিভিন্ন দেশ সফর করেন।