একজন আবু মোরশেদ চৌধুরী খোকা– পর্যটনের এই শহরের খুব পরিচিত নাম। ব্যবসায়িক ও সামাজিকসহ বহুমূখী নেতৃত্বের অধিকারী তিনি। অমায়িক, সজ্জন, সদা হাস্যেজ্জ্বল এই মানুষটির কক্সবাজারের নানা সমস্যা ও সম্ভাবনায় সব সময়ে এগিয়ে এসে কাজ করেন জনস্বার্থে। তাই তিনি এখন পর্যন্ত কোনো রাজনৈতিক ধারায় নিজেকে জড়াননি বলে মনে করা হয়। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সর্বোচ্চ ডিগ্রি অর্জনকারী এবং বহুমূখী বিষয়ে পড়ালেখা জানা মি. চৌধুরী সর্বজন গ্রহণযোগ্য ব্যক্তি। প্রশাসন থেকে শুরু করে কক্সবাজারের সব ধরণের সামাজিক আচার–অনুষ্ঠানে তাঁর ডাক পড়বেই। জ্ঞানগর্ব বক্তব্যের মাধ্যমে সব অনুষ্ঠানকে প্রাণবন্ত করেই তুলবেনই এই তুখোড় বক্তা। সামাজিক কর্মকান্ডের পাশপাশি ব্যক্তিগত পেশায় তিনি একজন প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী ও সফল সমাজকর্মীও বটে। ২০০০সালে চট্টগ্রামে পেগাসি টেক্সটাইল দিয়ে ব্যবসা শুরু করলেও বর্তমানে ‘গ্রীণ হোপ প্রোডাক্টস্, ভয়েস ম্যারিনা আইটি এবং আবু সেন্টার শপিং কমপ্লেক্স এর কর্ণধার তিনি। একই সাথে দেশের শীর্ষ বাণিজ্য সংগঠন “এফবিসিসিআই”এর সদস্যও। সদ্য কক্সবাজার চেম্বার অব কমার্র্স এন্ড ইন্ডাষ্ট্রী’র সভাপতি মনোনিত হয়েছেন তিনি। চেম্বারের অতীত, বর্তমান ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে তিনি কথা বলেছেন কক্সবাজার নিউজ ডটকম (সিবিএন)’র সাথে। তার দীর্ঘ সাক্ষাতকারটি নিয়েছেন সিবিএন’র চীফ রিপোর্টার শাহেদ মিজান।
সিবিএন: কক্সবাজার চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাষ্ট্রী’র সভাপতি হওয়ার প্রথমে আপনাকে সিবিএন’র পক্ষ থেকে আন্তরিক অভিবাদন
আবু মোরশেদ চৌধুরী খোকা: সিবিএনকে ধন্যবাদ।
সিবিএন: কক্সাজার চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রী কখন যাত্রা শুরু করে
আবু মোরশেদ চৌধুরী খোকা: কক্সবাজার চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাষ্ট্রী মূলত ১৯৮৫ সালে যাত্রা শুরু করে। প্রাক্তন সভাপতি মোহাম্মদ আলী সাহেবের নেতৃত্বে শুরু হয়।
সিবিএন: কক্সবাজার চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাষ্ট্রী দীর্ঘ একটি জটিলতায় ছিলো, এর কারণ কি ছিলো?
আবু মোরশেদ চৌধুরী খোকা: জটিলতা বলতে তা হচ্ছে ক্ষমতা হস্তান্তরের জটিলতা ছিলো। কারণ চেম্বারে গণতান্ত্রিক চর্চা হয়নি বিধায় জটিলতা সৃষ্টি হয়েছিল। তখন যদি নির্দিষ্ট সময়ে একটা সুষ্ঠু নির্বাচন হতো। তাহলে এই জটিলতাটা থাকতো না। ক্রমবর্ধমানভাবে ২০০৮ সালে একবার ক্ষমতা হস্তান্তর হয়েছিল। তবে নির্বাচন নয়, সমঝোতার মাধ্যমে মোহাম্মদ আলী সাহেব ছালামত উল্লাহকে হস্তান্তর করেছিল। কিন্তু পরবর্তীতে তা ওনারা মেনে নিতে পারেন নাই বিধায় সেই থেকে এসব জটিলতার সৃষ্টি। নির্বাচনের মাধ্যমে সুষ্ঠু গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া অনুসরণ করে যদি ক্ষমতা হস্তান্তর হতো। একটি নির্বাচিত কমিটি দু’বছর বা তিন বছর ক্ষমতায় থেকে নির্বাচন দিলে জটিলতা হতো না। জটিলতার মুল কারণ হচ্ছে সুশাসনের যথেষ্ট অভাব ছিলো, জবাবদিহিতার অভাব ছিলো। এটা কক্সবাজার চেম্বারের দ্বিধা-বিভক্তিরও মূল কারণ ছিলো।
সিবিএন: দ্বিধা-বিভক্তির কারণে কক্সবাজার চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাষ্ট্রী বা ব্যবসায়ীদের কোনো ক্ষতি হয়েছিল কিনা?
আবু মোরশেদ চৌধুরী খোকা: চেম্বারের জটিলতার কারণে কক্সবাজারবাসী এবং ব্যবসায়ীরা চেম্বারের সেবা পায়নি। চেম্বার পুরো জেলার ব্যবসার নেতৃত্ব দিবে। ব্যবসায়ীদের বিভিন্ন ধরনের সমস্যার সমাধানের জন্য চেম্বার এগিয়ে আসবে। সুষ্ঠু প্রক্রিয়ার মাধ্যমে উচ্চ পর্যায়ে তাদের দাবি-দাওয়া পেশ করবে এবং যতটুকু সম্ভব জনস্বার্থক বান্ধবতা মাথা রেখে এসব সমস্যার সমাধান করবে। দীর্ঘদিন যাবত জটিলতার কারণে এই কাজটি হয়নি। কক্সবাজারবাসী কিন্তু বিভিন্ন ধরণের ব্যবসায়িক সহযোগিতা, সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত হয়েছে। ব্যবসায়ীদের ভয়েসটা কিন্তু আমরা উচ্চ পর্যায়ে পৌঁছাতে পারিনি। এটা হচ্ছে ব্যর্থতা। যার ফলে দীর্ঘদিন যাবত ব্যবসার বিশাল ক্ষতি সাধিত হয়েছে। চট্টগ্রাম বা অন্যান্য জেলার কথা যদি বলি চেম্বারের মাধ্যমে বিভিন্ন ধরণের লবিং করে ওদের স্বার্থটা আদায় করে নিয়েছে। অবশ্যই জনস্বার্থ বিবেচনায় রেখে।
প্রত্যেকটা বিষয়ে- যেমন ভ্যাট বলেন, ট্যাক্স বলেন, প্রত্যেকটা ক্ষেত্রে ব্যবসায়ীরা সুযোগ-সুবিধা পায়। বিশেষ করে কক্সবাজারের ক্ষেত্রে চেম্বারের কারণে পর্যটন শিল্পের ক্ষেত্রে বেশি ক্ষতি সাধিত হয়েছে। কেননা পর্যটন শিল্পের সাথে যারা জড়িত তাদের কিছু চাওয়া-পাওয়া ছিলো। পর্যটন শিল্পের জন্য আমরা চাইলে একটা ট্যাক্স হলিডে আদায় করতে পারতাম। পর্যটন শিল্পের জন্য ট্যাক্স ফ্রি জিনিস আনতে পারতাম। কিন্তু তা পারিনি, কারণ একটা সংগঠন ছিলো। ব্যবসায়ীরা কার কাছে যাবে? সুতরাং ব্যবসায়ীদের অনেক ক্ষতি হয়েছে। তাছাড়া বিদেশীরা বিনিয়োগ করতে আসলে চেম্বারের একটা পরামর্শ দরকার। কিন্তু তা না পেয়ে ওরা কিন্তু একটা দ্বিধা-দ্বন্দ্বের মধ্যে থাকতো। সুতরাং সবকিছু বিবেচনায় ব্যবসায়ী মহলের একটা বিরাট ক্ষতি আসলে আমরা করে ফেলেছি নিজেদের অজান্তে।
সিবিএন: এই জটিলতা কাটিয়ে তিন গ্রুপ কিভাবে এক ছাতার নিচে আসলেন?
আবু মোরশেদ চৌধুরী খোকা: আসলে তিন গ্রুপকে দীর্ঘদিন পরে হলেও এক ছাতার নিচে আসতে হয়েছে। আসলে সে উদ্যোগটা নেয়া হয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে। বাণিজ্য মন্ত্রণায় দেখলো যে, যদিও আবু সেন্টারের চেম্বারটা সরকারি গেজেটভুক্ত এবং এফবিসিআই এর সদস্য। তবুও আরেকটা প্রতিপক্ষ যদি দাঁড় হয়ে যায় তাহলে এটা জন্য লজ্জাকর ব্যাপার। স্বপ্রণোদিত হয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় দেখলো যে কক্সবাজার চেম্বারের একটা ভবিষ্যত আছে। সুতরাং যদি একত্রিত না হয়ে তাহলে এটা সম্ভব না।
সিবিএন: এক্ষেত্রে কার বা কাদের সহযোগিতা রয়েছে?
আবু মোরশেদ চৌধুরী খোকা: বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে উদ্যোগের মাধ্যমে অতিরিক্ত সচিব আবদুল মান্নানের মাধ্যমে সমঝোতা হয়েছে। ওনার উপস্থিতি এবং প্রশাসনের একটা সর্বোচ্চ মহলের উপস্থিতিতে গত ১৫ জুলাই সবার সমন্বিত প্রয়াসের মাধ্যমে এটা একত্রিত করা হয়েছে এবং তিন গ্রুপ থেকে কিছু কিছু লোক নিয়ে আপাতত এক বছরের জন্য এই কমিটি দেয়া হয়েছে। আমরা চাচ্ছি এক বছর পরে স্ষ্ঠুু নির্বাচনের মাধ্যমে একটু সুন্দর জবাবদিহিমুলক চেম্বার উপহার দিবো- এটা আমাদের মুল টার্গেট। মানে নির্বাচনের কোনো বিকল্প নেই। নির্বাচন হচ্ছে গণতান্ত্রিক চর্চার একটা সর্বোচ্চ মাধ্যম। সুতরাং আমাদের বিশ্বাস ব্যবসায়ী মহলসহ সর্বমহলের মাধ্যমে আমরা একটা নির্বাচন দিয়ে একটা সুন্দর কমিটি আগামীতে উপহার দিতে পারবো। যদি আমরা যারা আছি তারা একটা সুন্দর মন-মানসিকতা নিয়ে কক্সবাজারের ব্যবসায়ীদের সেবাদানের লক্ষ্য নিয়ে কাজ করি।
সিবিএন: কক্সবাজার চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রি কিছু বেয়াড়া লোকজন রয়েছে, তারা নাকি এখনো বেয়াড়া কথাবার্তা বলছে। তাদের বিষয়য়ে কি সিদ্ধান্ত নেবেন?
আবু মোরশেদ চৌধুরী খোকা: আপনি বললেন যে কিছু কিছু বেয়াড়া লোক আছে এবং তারা এখনো সক্রিয়। আসলে ভালো-খারাপ সবকিছু মিলেই কিন্তু আমাদের সামাজিক ব্যবস্থা। তাই শুধু চেম্বার নয়, ব্যাপারটা হচ্ছে পৃথিবীর সব ক্ষেত্রে এরকম কিছু লোক আছে, থাকবে। এটা অনেকটা ন্যাচারলি। প্রাথমিক পর্যায়ে কিছু ভালো-মন্দ লোক ঢুকবে। তারপরও আমরা চেষ্টা করবো পরবর্তীতে সঠিক পরিচালনার মাধ্যমে তাদেরকে আরা সুষ্ঠু ধারায় নিয়ে আসতে পারবো ইনশাল্লাহ এবং নির্বাচনের মাধ্যমে যোগ্য নেতৃত্ব উঠে আসবে।
ব্যবসায়িক ক্ষেত্রে কক্সবাজারের প্রচুর সম্ভাবনা রয়েছে। বর্তমান সরকার কক্সবাজারকে বাণিজ্যিক হাব হিসেবে বেছে নিয়েছে। কক্সবাজার অনেক এগিয়ে যাবে অর্থনৈতিক দিক দিয়ে এবং চেম্বারই এর নেতৃত্ব দিবে। সুতরাং সে ক্ষেত্রে আমাদের বিশ্বাস আগামীতে চেম্বারের পরিচালক ও সদস্যে যোগ্য নেতৃত্ব আসবে। যারা ব্যবসায়ী মহল আছে তারাই নির্বাচিত করবে। সুতরাং কিছু ভালো মন্দ লোক থাকবে। এটাকে খুব সমস্যা বলে মনে করছি না।
সিবিএন: সবাই এখন এক ছাতার নিচে আসলেন, এখন আপনাদের করণীয় কি কি?
আবু মোরশেদ চৌধুরী খোকা: হ্যাঁ এখন আমাদের করণী হচ্ছে আমাদের চেম্বারের মাধ্যমে আমরা ব্যবসায়ী মহলের সাথে মতবিনিময় করবো সেক্টরভিত্তিক। আপনি জানেন যে, কক্সবাজার একটা বহুমাত্রিক শিল্পে মিলনস্থান। এখানে পর্যটন শিল্পের পাশাপাশি আমাদের যে প্রাকৃতিক সম্পদ যেগুলো রয়েছে এগুলো পুঁজি করে বহুকাল ধরে এখানে শিল্পবাণিজ্য চলে আসছে। বিশেষ করে লবণ, মৎস্য, টিম্বার- এসব নিয়ে আমাদের সম্পদ। এটার উপর ভিত্তি করে কক্সবাজারের ব্যবসা শুরু। সুতরাং আমাদের প্রথম পদক্ষেপ হবে প্রত্যেকটা সেক্টরের সাথে মতবিনিময় করা। ওদের সমস্যা কি- লবণশিল্পের সমস্যা কি, পর্যটন শিল্পের সমস্যা কি, হ্যাচারি শিল্পের সমস্যা কি, চিংড়ি শিল্পের সমস্যা কি,- প্রত্যেকটি সমস্যাগুলো চিহ্নিত করা এবং এদেরকে আশ্বস্থ করা, যে আস্থাহীনতায় ওরা দীর্ঘদিন ভুগেছিল সে আস্থা ফিরিয়ে আনা চেম্বারের প্রথম পদক্ষেপ। আমরা প্রত্যেক উপজেলায় যাবো। ওখানকার ব্যবসায়িক সংগঠনের সাথে মতবিনিময় করবো- এটা আমাদের প্রাথমিক কাজ। প্রত্যেকটা ব্যবসায়িক সমস্যাগুলো আমরা চেম্বারের মাধ্যমে আমাদের সর্বোচ্চ সংগঠন এফবিসিআইয়ের মাধ্যমে সরকারকে সমস্যার সংবাদগুলো তোলে ধরাই আমাদের মূল লক্ষ্য।
সিবিএন: সব পিছুটান কাটিয়ে কিভাবে কক্সবাজার চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রিকে এগিয়ে নেয়া যায়?
আবু মোর্শেদ চৌধুরী খোকা: আমাদের নতুন কমিটিতে অন্য কমিটি থেকে যারা আসছে তাদের মধ্যে মেলবন্ধন সৃষ্টি করা। এছাড়া আমাদের একট জবাবদিহিতা, যেমন আয়-ব্যয় হিসাব, যেটাকে আমরা বলি সুশাসন নিশ্চিত করা। সময় মতো মিটিংয়ে আসা, অডিট রিপোর্ট পেশ করাসহ টোটাল একটা কাজ করা। যাতে আগে আমাদের ঘরটা ঘুচিয়ে উঠে। এক বছরের মধ্যে আমরা এসব কাজ গুলো সম্পন্ন করবো। এর মাধ্যমে আমরা এগিয়ে যাবো ইন্শাল্লাহ। একদিন কক্সবাজার চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রি হবে বাংলাদেশেল আইডল।
সিবিএন: সবাইতো এখন এক ছাতার নিচে আসলেন এই ধারাবাহিকতা কিভাবে রক্ষা করবেন?
আবু মোরশেদ চৌধুরী খোকা: এখন যাই হোক নুতন কমিটিতে ভালো-মন্দ যাই হোক যে একটি কমিটি সরকারের মাধ্যমে গঠিত হয়েছে। চেম্বারের মধ্যে আসলে কিছু পাওয়ার নেই। চেম্বার মানে জেলা কিছু ব্যক্তি যারা লেখাপড়া জানে ডিগনিফাইড, দেশীয় বাণিজ্য বুঝে, আর্ন্তজাতিক বাণিজ্য বুঝে-তাদেরকে নিয়ে চেম্বার হয়। সুতরাং যারা আছে আগামীতে তাদের নিয়ে সংঘটিত হয়ে এগিয়ে যাবো এবং সবাই সহযোগিতা করবে- আমার এটা দৃঢ় বিশ্বাস। কারণ এটা কোনো দলীয় সংগঠন নয়। এটা দলমত নির্বিশেষে প্রত্যেকটার উর্ধ্বে উঠে সার্বজনীন একটা সংগঠন। এখানে প্রত্যেক দলের লোক থাকবে। সবাই মিলে যারা যোগ্য তাদেরকে দিয়ে চেম্বারের প্রতিনিধিত্ব করার দায়িত্ব থাকবে- এটা ব্যবসায়ীরা আশা করে। ব্যবসায়ীদের নিয়ে আমরা এগিয়ে যাবো।
আগামী জুলাইয়ের আগে কিন্তু আমরা নির্বাচনী সিডিউল প্রকাশ করবো এবং একটা নির্বাচনের মাধ্যমে যারা সাধারণ পরিষদের মেম্বার আছেন তাদের সমন্বয়ে সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে আমরা আবার পরিচালনা পরিষদ গঠন করবো। যেটা সার্বজনীন গ্রহণযোগ্যতা পাবে বলে আমি বিশ্বাস করি। সবচেয়ে বড় কথা, দীর্ঘ পরে হলেও এটা প্রক্রিয়া শুরু তা অত্যন্ত সুন্দর ও আশাব্যঞ্জক। এটার ধারাবাহিকা রক্ষা করে চেম্বারকে আগামী প্রজন্মের জন্য প্রস্তুত করতে হবে। কারণ কক্সবাজার চেম্বারের ভবিষ্যৎ কিন্তু খুব উজ্জ্বল যদি আমরা এটাকে ঠিকভাবে কাজে লাগাতে পারি। তার জন্য নতুন পরিষদের সবাই সংযুক্ত থাকবেন এবং আন্তরিক ভাবে কাজ করবেন। পাশাপাশি জনস্বার্থবান্ধব কিছু কাজ করে কক্সাবাজারেক আরো এগিয়ে নিয়ে যেতে পারি- এটা আমাদের প্রত্যশা। তার জন্য আমাদের প্রত্যেকটি সদস্যকে আন্তরিকতার পাশাপাশি নিজেদের যোগ্য হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। বিভিন্ন ফোরামে কথা বলতে হবে। জাতীয় ও আর্ন্তজাতিক পর্যায়ে প্রতিনিধিত্ব করতে হবে। তার জন্য যোগ্যতা দরকার।
সিবিএন: আপনার কি সেসব যোগ্যতা আছে?
আবু মোরশেদ চৌধুরী খোকা: আমার মধ্যে আত্মবিশ্বাস আছে। আমি ২০ বছর যাবত আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের উপর আমার দক্ষতা অর্জন করেছি। আমি বৈদেশিক বাণিজ্য বিভাগে ফরাসি ব্যাংকে ১০ বছর কাজ করেছি। তারপর ন্যাশনাল ব্যাংকে ছিলাম। সব মিলে আমার চাকরির সময়টা কেটেছে আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে বৈদেশিক মূদ্রা বিণিময়েরে উপর। বৈদেশিক বাণিজ্যের উপর ডিপ্লোমা করেছি ব্যাংকারস ইনস্টিটিউট থেকে। পাশাপাশি ইউরোপসহ বিভিন্ন দেশে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে সেমিনার এবং ওয়ার্কশপে বক্তা হিসাবে উপস্থিত থাকার সুযোগ হয়েছে। সুতরাং আমার মধ্যে একটা আত্মবিশ্বাস জন্ম নিয়েছে। এটা পুঁজি করে ক্ষুদ্র পরিসরে হলেও আমি চেষ্টা করবো যে কক্সবাজারের ব্যবসায়ীদের স্বার্থ কিভাবে রক্ষা করা যায়। এখন পারিবারিক ব্যবসা দেখাশুনা করছি। আমি আশা করি আমার ক্ষুদ্র অর্জনটা এই চেম্বার ও কক্সবাজারের ব্যবসায়ীদের পেছনের ব্যয় করবো।
সিবিএন: সিবিএন’র পক্ষ থেকে আপনাকে অশেষ ধন্যবাদ সময় দেয়ার জন্য।
আবু মোরশেদ চৌধুরী খোকা: সিবিএনকেও অসংখ্যাও ধন্যবাদ জানাচ্ছি আমার সাক্ষাতকার নেয়ার জন্য।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।