বিশেষ সংবাদদাতা:
মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে আসা ইয়াবা বিত্রিুর কোটি কোটি টাকা মিয়ানমারে পাচার হচ্ছে হুন্ডির মাধ্যমে। মিয়ানমার থেকে অবৈধ ভাবে আসা স্বর্ণের টাকাও হুন্ডির মাধ্যমে পাচার হয়ে থাকে। ব্যাংক লেনদেনে ঝুকি থাকায় দেশের ভেতরেও উখিয়া টেকনাফের ইয়াবা গড়ফাদাররা দীর্ঘদিন ধরে হুন্ডিকেই নিরাপদ মাধ্যমে হিসেবে ব্যবহার করে আসছে। এলাকায় বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্টানের আড়ালে হুন্ডি বানিজ্য করে অনেকেই আঙুল ফুলে কলাগাছে পরিনত হয়েছে। কিন্ত এর সাথে জড়িত হুন্ডি ব্যবসায়ীদের আইনশৃংখলা বাহিনী চিন্থিত করলেও অনেকেই এখনো ধরাছোয়ার বাইরে।
জানা যায়, প্রতিদিন বিপুল পরিমান অর্থ ব্যাংকে লেনদেনে সরকারের নজরদারি থাকায় উখিয়া টেকনাফের চিন্থিত ইয়াবা গড়ফাদাররা দীর্ঘদিন ধরে হুন্ডির মাধ্যমেই কোটি কোটি টাকা লেনদেন করে যাচ্ছে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে মোবাইল ব্যাংকিং বিকাশের মাধ্যমও ব্যবহার করছে ইয়াবা কারবারিরা। মিয়ানমার থেকে আসা ইয়াবা ও স্বর্ণের টাকা হুন্ডি করে আঙুল ফুলে কলাগাছে পরিনত হয়েছেন হৃীলা এলাকার মৃত মৌলভী ইছহাকের ছেলে মাহবুব আলম সিন্ডিকেট। মাহবুব আলমের ভাই ইমরানের বিরুদ্ধেও রয়েছে ইয়াবা ব্যাবসায় সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ। রড,সিমেন্ট ব্যবসার আড়ালে মিয়ানমার ভিত্তিক হুন্ডি ব্যবসা করে সে এখন কোটি কোটি টাকার মালিক। তার হয়ে কাজ করছে আইনশৃংখলা রক্ষকারী বাহিনীর তালিকায় থাকা টেকনাফের ডেইলপাড়া এলাকার কালা মোঃ আলীর ছেলে মোহাম্মদ আমিন,বাহার ছড়া এলাকার হাজী আলী হোসেনের ছেলে মোঃ আয়ুব ওরফে বাট্রা আয়ুব। তাদের বিরুদ্ধে দেশের বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা রয়েছে। চিন্থিত ইয়াবা ব্যবসায়ীদের কাছে তারা পরিচিত মুখ। কারন এ দু,জনের মাধ্যমেই ইয়াবা ব্যবসায়ীদের অধিকাংশ টাকা মিয়ানমারে যাচ্ছে হুন্ডির মাধ্যমে।
উখিয়া উপজেলার পালংখালী,কুতুপালং,থাইনখালীতেও তাদের এজেন্ট রয়েছে। ঢাকা ও চট্রগ্রামে কক্সবাজারেও তাদের হয়ে কাজ করছে একাধিক ব্যাক্তি। তাদের বিরুদ্ধে সিমেন্টের গাড়ীতে করে ইয়াবা পাচার করার অভিযোগও রয়েছে। ২০১৫ সালের ৭ ফেফ্রয়ারী হোয়াইক্যং পুলিশ ফাড়ি পুলিশ হৃীলা থেকে চেড়ে আসা সিমেন্টের কাভার্ড ভ্যানে অভিযান চালিয়ে ৭ হাজার পিস ইয়াবা সহ ৪ জনকে আটক করে। এদিকে বিভিন্ন সুত্রে পাওয়া তথ্যে জানা গেছে, মুলতঃ মিয়ানমারের মন্ডু এলাকার ইয়াবার আড়তদার ইলিয়াছ,ইউনুচ,সাইফুলের হয়ে চিন্থিত ইয়াবা ব্যবসায়ীদের টাকা থেকে টাকা নিচ্ছে তারা। পরে এসব টাকা মিয়ানমারে হুন্ডির মাধ্যমে পাটিয়ে দেওয়া হচ্ছে। স্বরাষ্টমন্ত্রনালয়ে তালিকায় হুন্ডি ব্যবসার পাশাপাশি ইয়াবা ব্যবসায়ী হিসেবে মোহাম্মদ আমিন ও বাট্রা আযুবের নাম রয়েছে,রয়েছে একাধিক মামলা। কিন্ত তারা ধরাছোয়ার বাইরে থেকে দীর্ঘদিন ধরে তারা এ অবৈধ বানিজ্য চালিয়ে যাচ্ছে।
এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে উখিয়া টেকনাফের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ছাইলাউ মারমা বলেন,হুন্ডি,ইয়াবা,মানবপাচার নিয়ে যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে তাদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। চিন্থিতদের অনেকে এখন এলাকাছাড়া।
প্রতিবেদক
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।