শাহিদ মোস্তফা শাহিদ, কক্সবাজার সদর :
চলমান ভোটার হালনাগাদ কার্যক্রমে আড়াইশ টাকায় মিলছে ভোটার ফরম। সরকারীভাবে ফ্রি দেওয়ার কথা থাকলেও কথিত কিছু তথ্য সংগ্রহকারী ও সুপার ভাইজার টাকার বিনিময়ে ফরম বিক্রি করে আসছে। এমন অভিযোগ ভূক্তভোগীদের। খোঁজ খবর নিয়ে জানা যায়, ইউনিয়নের দায়িত্বপ্রাপ্ত পশ্চিম গোমাতলী ৮নং ওয়ার্ড ও পূর্ব গোমাতলী ৯নং ওয়ার্ডের সুপার ভাইজার স্থানীয় সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক শামসুল আলমের যোগসাজশে ৮নং ওয়ার্ডের পশ্চিম গোমাতলী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা ও তথ্য সংগ্রহকারী নাছিমা আক্তার প্রতিজনের কাছ থেকে ফরম দেওয়ার অযুহাতে ৫শ টাকা করে দাবী করেন। টাকা দিতে না পারলে পাচ্ছে না হালনাগাদ কার্যক্রমের ভোটার ফরম। যার কারণে বাদ পড়ে যাচ্ছে অনেক সম্ভাবনাময় ভোটার। স্থানীয় তারেকুল ইসলাম নামের এক যুবক অভিযোগ করে জানান, বুধবার সকালে শিক্ষক নাছিমা আক্তারের কাছে ফরমের জন্য গেলে তার কাছ থেকে প্রতি ফরমে ৫শ টাকা করে দাবী করেন। তিনি নিরুপায় হয়ে বিষয়টি স্থানীয় চেয়ারম্যানকে জানালে তিনি আড়াইশ টাকা দেওয়ার সুপারিশ করেন। সুপারিশের উপর ভিত্তি করে তারেক ও ফরম কিনে পূরণ করেন। ঘটনাটি জানাজানি হলে পুরো ইউনিয়ন জুড়ে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। এ বিষয়ে জানার জন্য সদর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা শিমুল শর্মার সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বিষয়টি গভীরভাবে তদন্ত করে আইনানুগ ও শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করবেন বলে জানান এবং সুপার ভাইজার ও তথ্য সহকারীর সাথে দীর্ঘদিনের একটি বিরোধ ছিল। সেটা গতকাল অফিসে বসে সমাধান করে দেওয়া হয়েছে বলে জানান। ইউপি চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি কাউকে টাকার বিনিময়ে ফরম দেওয়ার সুপারিশের কথা অস্বীকার করেন। অভিযোগের বিষয়ে শিক্ষক শামসুল আলম ও নাছিমা আক্তারের সাথে বিভিন্ন মাধ্যমে যোগাযোগের চেষ্টা করেও পাওয়া যায়নি।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।