ব্যাটিংটা ভালোই করছিলেন। কিন্তু ২৯ রান করে রানআউট হয়ে গেলে কার ভালো লাগে! ড্রেসিংরুমের সামনের বারান্দায় ওঠার সময় সেই হতাশা থেকেই তামিম ইকবাল ব্যাট দিয়ে বাড়ি দিলেন দরজার কাচে। কাচটা সামান্য ভাঙল। এরপর ড্রেসিংরুমে ঢোকার সময় যেটা ঘটল, তাতে অনেক বড় দুর্ঘটনায় পড়তে পারতেন তামিম। তবে যা হয়েছে, সেটাও কম নয়। শনিবার চট্টগ্রাম থেকে দলের সঙ্গে তিনি ঢাকায় ফিরেছেন পেটে চারটি সেলাই নিয়ে।
ঘটনাটা চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে হওয়া তিন দিনের প্রস্তুতি ম্যাচের প্রথম দিনের (গত বুধবার)। মাঠ থেকে এসে ড্রেসিংরুম ঢোকার জন্য কাচের দরজায় হাত দিয়ে ধাক্কা দিতেই সেটি ঝনঝন করে ভেঙে পড়ে। ভারসাম্য হারিয়ে তামিম পড়ে যান সেই কাচের ওপরই। মাথায় হেলমেট আর পায়ে প্যাড থাকায় বড় দুর্ঘটনার হাত থেকে বাঁচলেও ভাঙা কাচের টুকরো পেটে ঢুকে গিয়ে ভালোই রক্ত ঝরেছে তামিমের। ঘটনার বর্ণনা দিতে গিয়ে জাতীয় দলের বাঁহাতি ওপেনার কাল মুঠোফোনে বলছিলেন, ‘দরজাটা ধাক্কা দেওয়ামাত্র কাচ ভেঙে আমার গায়ের ওপর পড়ল। আমিও মাটিতে পড়ে গেলাম। আমার প্যাডগুলো দেখলে বুঝতে পারতেন কত ভয়ংকর ছিল সেটা। প্যাড না থাকলে এর চেয়েও খারাপ কিছুও হতে পারত।’
যা হয়েছে তাতেই অবশ্য তামিমের পেটে সেলাই পড়েছে চারটি। পরের দুই দিন মাঠে যেতে পারেননি। আজ-কালের মধ্যে সেলাই কাটা হলে অবস্থা পর্যবেক্ষণ করা হবে। এরপরই হবে তাঁর অনুশীলনে ফেরার সিদ্ধান্ত। তামিম অবশ্য বলেছেন, দুর্ঘটনা ঘটার পর অন্তত পাঁচ দিন তিনি কিছু করতে পারবেন না বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকেরা।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।