প্রেস বিজ্ঞপ্তি :
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্যোগে ১৫ আগস্ট ২০১৭ তারিখ মহাকালের মহানায়ক হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি রাজনীতির মহাকবি স্বাধীন বাংলাদেশের মহান স্থপতি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪২ তম শাহাদত বার্ষিকী ‘জাতীয় শোক দিবস ২০১৭’ যথাযোগ্য মর্যাদায় পালিত হয়। বাঙালি জাতির ইতিহাসে এ শোকাবহ দিনে কর্মসূচিতে ছিল- সকাল ৮ টায় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরীর নেতৃত্বে বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার থেকে শোক র্যালি। কালো ব্যাজ ধারণ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিপুল সংখ্যক সম্মানিত শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারী ও শিক্ষার্থীবৃন্দ এ শোক র্যালিতে অংশগ্রহণ করেন। ফজরের নামাজের পর বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল মসজিদে বিশেষ মুনাজাত, দোয়া মাহফিল ও অন্যান্য ধর্মাবলম্বীদের স্ব স্ব উপাসনালয়ে বিশেষ প্রার্থনা অনুষ্ঠিত হয় এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের ভবনসমূহে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখা হয়। শোক র্যালি শেষে উপাচার্য, উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. শিরীণ আখতারসহ বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের সকলকে সাথে নিয়ে বঙ্গবন্ধু চত্বরে বঙ্গবন্ধু’র প্রতিকৃতিতে পুস্পমাল্য অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। অতঃপর বঙ্গবন্ধু চত্বরে বঙ্গবন্ধু’র জীবন ও কীর্তির উপর অনুষ্ঠিত হয় আলোচনা সভা। মাননীয় উপাচার্যের সভাপতিত্বে এ আলোচনা সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন অনুষ্ঠান আয়োজক কমিটির আহবায়ক বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর জনাব মোহাম্মদ আলী আজগর চৌধুরী। এ ছাড়াও অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন চ.বি. মাননীয় উপ-উপাচার্য, কলা ও মানববিদ্যা অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মো. সেকান্দর চৌধুরী, শিক্ষক সমিতির সভাপতি প্রফেসর ড. মিহির কুমার রায় ও সাধারণ সম্পাদক প্রফেসর ড. মুয়াজ্জম হোসেন, সিনেট সদস্য প্রফেসর ড. ফরিদ উদ্দিন আহামেদ, সিন্ডিকেট সদস্য প্রফেসর ড. সুলতান আহমেদ, রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) প্রফেসর ড. মোহাম্মদ কামরুল হুদা, সোহরাওয়ার্দী হলের প্রভোস্ট প্রফেসর ড. মোহাম্মদ বশির আহাম্মদ, আইন বিভাগের সভাপতি প্রফেসর এ বি এম আবু নোমান, চ.বি. ক্লাব (ক্যাম্পাস) ও বঙ্গবন্ধু পরিষদের সভাপতি প্রফেসর ড. মো. রাশেদ-উন-নবী, চ.বি. ক্লাব (শহর)-এর বরিষ্ট সদস্য প্রফেসর ড. গণেশ চন্দ্র রায়, অফিসার সমিতির সভাপতি জনাব এ কে এম মাহফুজুল হক, কর্মচারী সমিতির সভাপতি (ভারপ্রাপ্ত) জনাব মো. ওমর ফারুক ও কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি জনাব জোস মোহাম্মদ। অনুষ্ঠানে কবি নির্মলেন্দু গুণের বিখ্যাত কবিতা ‘স্বাধীনতা এ শব্দটি কীভাবে আমাদের হলো’ আবৃত্তি করেন চ.বি. সংগীত বিভাগের সভাপতি জনাব সুকান্ত ভট্টাচার্য। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন ডেপুটি রেজিস্ট্রার (তথ্য) জনাব মো. ফরহাদ হোসেন খান। অনুষ্ঠান শুরুতে পবিত্র কোরআন, গীতা, ত্রিপিটক ও বাইবেল থেকে পাঠ করা হয় এবং শহীদদের স্মরণে দাঁড়িয়ে একমিনিট নিরবতা পালন করা হয়।
মাননীয় উপাচার্য তাঁর ভাষণে মহাকালের মহানায়ক জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং বর্বর হায়েনাদের বুলেটের আঘাতে নির্মমভাবে শহীদ বঙ্গবন্ধু পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করে বলেন, ১৫ আগস্ট এর মর্মবেদনা বাঙালিকে বয়ে বেড়াতে হবে অনন্তকাল। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু মা-মাটি-মাতৃভূমিকে ভালোবেসে তাঁর জীবন উৎসর্গ করেছিলেন। আজীবন মৃত্যুঞ্জয়ী এ মহাপুরুষ মানবিক চেতনায় উজ্জীবিত থেকে বাঙালির অধিকার প্রতিষ্ঠায় প্রতিটি সংগ্রাম-আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়েছেন এবং ‘৭১-এ মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে বিশ্ব মানচিত্রে প্রতিষ্ঠা করেছেন স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ। তাঁর স্বপ্ন ছিল বাংলাদেশ হবে বিশ্বের বুকে ক্ষুধা-দারিদ্রমুক্ত, সুখী-সমৃদ্ধ, অসাম্প্রদায়িক, গণতান্ত্রিক, ধর্ম নিরপেক্ষ একটি মানবিক রাষ্ট্র। স্বাধীনতা বিরোধী জাতীয় বেঈমান কুচক্রীমহল যে উদ্দেশ্য নিয়ে ‘৭৫-এর ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করেছিল, তাদের সে উদ্দেশ্য সফল হয়নি। পক্ষান্তরে তারা নিজেরাই ইতিহাসের আস্তাকুড়ে নিক্ষিপ্ত হয়েছে। বঙ্গবন্ধু তনয়া মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরতœ শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে, এগিয়ে যাবে। কোন অপশক্তি এর গতি রোধ করতে পারবে না। মাননীয় উপাচার্য দেশের এ উন্নয়ন ও অগ্রযাত্রায় দেশের তরুণ সমাজসহ সকলকে স্ব স্ব অবস্থান থেকে কার্যকর ও দৃশ্যমান ভূমিকা রাখার আহবান জানান।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।