ইমরুল কায়েস , সিবিএন :
নিরাপত্তার ইস্যুতে কক্সবাজারের কলাতলী সমুদ্রসৈকতে “আমি নেতা হবো” ছবির শুটিং বন্ধ করেদেয়ায় ছাত্রলীগের সহযোগীতা চেয়েছেন চিত্রনায়ক সাকিব খান । তবে সাকিব খানের ডাকে সাড়া দেয়নি ছাত্রলীগ। ছাত্রলীগের সহযোগীতায় আজ মঙ্গবার সারাদিন শুটিং করার চেষ্টা করে নায়ক সাকিব খান। কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সহযোগীতায় কক্সবাজার জেলা ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক মোরশেদ হোসেন তানিম ও কেন্দ্রিয সদস্য ইসমাইল সাজ্জাদ সহ কয়েকজন সিনিয়র নেতাদের সাথে দীর্ঘক্ষন বৈঠকও করেন সাকিব। তবে দেশের পরিস্থিতি বিবেচনা ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নির্দেশনা থাকায় সাকিবের ডাকে সাড়া দেয়নি ছাত্রলীগ।
কক্সবাজার জেলা ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক মোরশেদ হোসেন তানিম জানিয়েছেন, কেন্দ্রিয় ছাত্রলীগের দুই জন নেতার অনুরোধে আজ সাকিব খানের সাথে কলাতলির হোটেলে দেখা করি। সাকিব এই সময় তাকে শুটিংএ পুলিশের বাধাদেয়ার কথা জানিয়েছে। পুলিশের সাথে যোগাযোগ করা হলে তারা জঙ্গি হামলার আশংখায় সুটিং বন্ধকরে দেয়ার কথা জানায়। শুটিং বন্ধের কারন জানতে পেরে আমরাও সাকিবকে শুটিং না করার অনুরোধ করি।
ছবির পরিচালক উত্তম আকাশ জানিয়েছেন ‘আমি নেতা হব’ ছবির শুটিংয়ে অংশ নেওয়ার কথা ছিল শাকিবের। কিন্তু জঙ্গি হামলার আশঙ্কায় শুটিং করতে দেয়নি কক্সবাজার সদর পুলিশ। তাই শুটিং না করেই পুরো ইউনিট নিয়ে বসে আছেন শাকিব। তিনি বলেন, যেকোনো সময় ঢাকার পথে রওনা হবেন। তাঁর সঙ্গে আছেন ছবির নায়িকা বিদ্যা সিনহা মিম ও আরও অনেকেই।
কক্সবাজারের পুলিশ সুপার এ কে এম ইকবাল হোসেন জানিয়েছেন, ‘ঢাকার পান্থপথে অভিযানে এক জঙ্গি নিহত হওয়ার ঘটনার পর সারা দেশে আজ বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করা হয়েছে। আমাদের কাছে গোয়েন্দা তথ্য আছে, কক্সবাজারের সমুদ্রসৈকতেও জঙ্গি হামলা হতে পারে। তাই আমরা শুটিং না করতে অনুরোধ করেছি। করলে কোনো দায়ভার পুলিশ নেবে না। পরিস্থিতি বদলালে শুটিং করতে পারবে।’
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।