বিশেষ প্রতিনিধি :

পেকুয়ায় জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে দুপক্ষের মধ্যে এক রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে নারি সহ ২০ ব্যক্তি আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। এদের মধ্যে অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় ৪ ব্যক্তিতে চমেক হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। জানাযায়, গতকাল ১৮ আগষ্ট সকাল ৯টার দিকে পেকুয়া উপজেলার বারবাকিয়া ইউনিয়নের মধ্যম জালিয়াকাটা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। উভয়পক্ষের আহতদের পেকুয়া উপজেরা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। এঘটনায় আহতরা হলো, রফিক আহমদ গং এর কাউাসারা (৪০), কবির আহমদ (৫৬), জামাই মো: জোনাইদ (২৪), মফিজ উদ্দিন (৫০), নুরুল আজিম (৪০), ইলিয়াছ (৩৫), দুলা মিয়া গং এর আবুল কাশেম (৫০), মো: ফোরকান (৩০), বেলাল (৩৫), বারেক (২৮), হারুন বাদশা (৩৮), দুলা মিয়া (৬৬), রেহেনা বেগম (৩৫), কালা মিয়া (৫০) প্রমূখ। অপরাপর আহতের নাম পাওয়া যায়নি। এদিকে অবস্থার অবনতি হওয়ায় মফিজ, বেলাল, বারেক ও জোনাইদকে চমেক হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
উভয়পক্ষের লোকজন ও আহতদের সাথে কথা বলে জানাযায়, স্থানীয় দুলামিয়া (শাহজাহানবর গুষ্টি) ও মৌলভী রফিক উদ্দিন (সোহাইগ্যাবর গুষ্টি) গং এর মধ্যে বসতভিটার সীমানা বিরোধ নিয়ে সকালে প্রথমে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে মৌলভী রফিক বৃদ্ধ দুলা মিয়াকে মারধর করে জমিতে ফেলে দেয়। এ ঘটনার পর দুপক্ষের লোকজন জড়ো হয়ে আবারো রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। গতকাল হাসপাতালে মৌলভী রফিক আহমদ এ প্রতিবেদককে জানান, ‘দুলা মিয়া তার জমিতে চাষ করতে নেমে আমার সীমানার টেংরা ভেঙ্গে ফেলায় আমি বাঁধা দেই। এতে উত্তেজিত হয়ে তার ছেলেরা হাতিয়ার নিয়ে এসে আমার ঘরের মহিলাদের সহ মেরে রক্তাক্ত করে দিয়েছে।’ হাসপাতালের বেডে শুয়ে থাকা বৃদ্ধ দুলা মিয়া জানান, আমার জমির উপর রফিকের বসতঘরের সীমানার গাছের ছায়া এসে জমিটি চাষের অযোগ্য হয়ে যায়। আমি তাকে ডেকে গাছের ডাল গুলো কাটতে বলায় সে ক্ষিপ্ত হয়ে আমাকে মেরে মাথা ফেটে দিয়েও ক্ষান্ত হয়নি আমাকে বাঁচাতে এগিয়ে এলে আমার ছেলেদেরও দা কিরিচ দিয়ে কুপিয়ে জখম করে।
স্থানীয় দফাদার সৈয়দ আহমদ, বেলাল উদ্দিন ও আরো অনেকের সাথে কথা বলে জানাযায়, দুপক্ষই উত্তেজিত অবস্থায় দা কিরিচ নিয়ে একে অপরের উপর আক্রমন পাল্টা আক্রমন করে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। এসময় স্থানীয় কিছু লোকজন উভয়পক্ষকে শান্ত করতে গেলে তাদেরকেও মারধর করে তারা। এতে উভয়পক্ষেই রক্ত ঝরেছে বলে জানান তারা। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ বিষয়ে ঘটনাস্থলে যাওয়া পেকুয়া থানার এস আই শিমুল বডুয়া জানান, আমরা খবর পেয়ে পুলিশ ফোর্সসহ মধ্যম জালিয়াকাটার ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনি। স্থানীয়দের সহায়তায় উভয়পক্ষকে হাসপাতালে প্রেরণের ব্যবস্থা করি। এ বিষয়ে পেকুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জহিরুল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, এ ঘটনায় কোন পক্ষই অভিযোগ দায়ের করেনি। ঘটনার স্ষ্ঠুু তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানান তিনি।