শাহিদ মোস্তফা শাহিদ, কক্সবাজার সদর :

কক্সবাজার সদরের ঈদগাঁওতে এক পলাতক আসামীকে পুলিশে ধরিয়ে দেওয়ায় বাদী ও তার পুত্রের উপর উপর্যুপরী হামলা চালিয়েছে আসামীর স্বজনরা। এসময় তাদের উদ্ধার করতে গিয়ে মারধরের শিকার হয়েছে এক পুলিশ সদস্য। এ ঘটনায় জড়িত এক ব্যক্তিকে ছেড়ে দিয়েছে পুলিশ। সংঘটিত ঘটনায় রণক্ষেত্রে পরিণত হয়েছিল। ১৮ আগষ্ট রাত আনুমানিক সাড়ে ১০টার দিকে ঈদগাঁও পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের প্রবেশ মুখে এ ঘটনাটি ঘটে। তাদের সামাল দিতে গিয়ে নুরুল আলম নামের এক পুলিশ সদস্য হামলার শিকার হয়েছে। তাৎক্ষনিক জড়িত এক ব্যক্তিকে আটক করলেও অদৃশ্য শক্তির ইশারায় রাতের অন্ধকারে ছেড়ে দিয়েছে পুলিশ।

খোঁজ খবর ও প্রাপ্ত তথ্যে জানা যায়, ইসলামপুর ইউনিয়নের নতুন অফিস ফুলছড়ি এলাকার মৃত হাজী মোক্তার আহমদের পুত্র কামাল হোসেনকে প্রধান আসামী করে ২০১১ সালে একই এলাকার মৃত আবুল খায়েরের পুত্র শাহ আলম একটি মারামারি ও হত্যা চেষ্টা মামলা দায়ের করে। যার নং জি.আর ১২২/১১। মামলা দায়েরের পর থেকে কামাল হোসেন পলাতক থেকে সৌদি আরব চলে যায়। ৬/৭দিন পূর্বে দেশে ফেরত এসে খুটাখালীস্থ তার বোনের বাসায় উঠে। এ সংবাদের ভিত্তিতে মামলার বাদী শাহ আলম বিষয়টি স্থানীয় পুলিশকে জানালে তড়িঘড়ি করে পুনরায় বিদেশ চলে যাওয়ার জন্য গাড়ীতে উঠে। চকরিয়া থানার পুলিশ নিশ্চিত হয়ে রাত আনুমানিক ৯টার দিকে ঐ গাড়ীটি থামিয়ে তাকে গ্রেফতার করে ঈদগাঁও পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে। এদিন রাতে মামলা সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে আসলে আসামীর ভাই হারুনর রশিদ, তার বোন জামাই খুটাখালীর জসিম উদ্দীন, চৌফলদন্ডী কালু ফকির পাড়ার সেলিম উদ্দীনসহ আরো কয়েকজন দূর্র্বৃত্ত বাদী শাহ আলম ও তার পুত্র শাহজাহানকে তদন্ত কেন্দ্রের প্রবেশ মুখে উপর্যুপরী লাথি, কিল, ঘুষি মেরে ফেলে দেয়। এসময় তার কাছ থেকে নগদ ৬/৭ হাজার টাকা লুট করে বলে জানান শাহ আলম। হামলার সামাল দিতে গিয়ে এক পুলিশ সদস্য আহত হয়েছে। এসময় হারুনকে চাকুসহ আটক করলে পরে ডিসি অফিসের বাহানা দিয়ে পুলিশ ছেড়ে দিলেও উল্টো হামলার শিকার শাহ আলম ও তার পুত্র শাহাজাহানকে পুলিশ হেফাজতে বসিয়ে রাখে। কিছুক্ষণ পর শাহ আলম অজ্ঞান হয়ে পড়লে তাড়াহুড়া করে সদর হাসপাতালে পাঠিয়ে দেয় পুলিশ। এমন ঘটনাটি চাউর হলে তদন্ত কেন্দ্রের আশপাশ এলাকায় রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। ১০/১৫ মিনিট ধরে বন্ধ ছিল সমস্ত দোকান পাট।

ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী সদর উপজেলা যুবলীগের সদস্য শহিদুর রহমান শহিদ ও জালালাবাদ শ্রমিক লীগের আহবায়ক সাইফুল ইসলাম জানান, প্রকাশ্যে পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে বাদীর উপর হামলা চালায় আসামীর স্বজনরা? পুলিশ বারবার অস্বীকার করে আসছে তদন্ত কেন্দ্রে ঘটনা ঘটেনি। বাদী শাহ আলমের স্বজনরা এ ব্যাপারে মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে জানান। অপরদিকে অভিযুক্ত হারুনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি মারধরের বিষয়টি স্বীকার করেন। পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ মোঃ খায়রুজ্জামান বিষয়টি এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে তদন্ত কেন্দ্রের বাইরে ডিসি সড়কে ঘটনার সূত্রপাত হয়েছে বলে জানায়।