সেলিম উদ্দিন, ঈদগাঁও (কক্সবাজার) :
নির্বাচন কমিশনের ঘোষনা মতে হালনাগাদ কার্যক্রমে চকরিয়া উপজেলার ১৭নং খুটাখালী ইউনিয়নে প্রথমধাপে নতুন ভোটার হয়েছেন ৮০৭ জন। স্থানীয়দের অভিযোগ ফরম সংকটের কারনে ইউনিয়নে আরো অন্তত ১ হাজার নারী-পুরুষ জীবনের প্রথম ভোটার হতে বঞ্চিত হয়েছেন।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো.সাখাওয়াত হোসেন বলেন, সরকারিভাবে উপজেলায় ৩ দশমিক ৫ ভাগ হারে (সাড়ে ৯ হাজার জনকে) ভোটার করার কথা থাকলেও আমরা ভোটার করেছি ৪ দশমিক ৫ভাগ হারে (১২ হাজার ১৯২জনকে)। এত পরিমাণ নতুন ভোটার করার পরও ফরম না থাকার কারনে আগামী জানুয়ারী মাসে শুরু হওয়া দ্বিতীয় ধাপের হালনাগাদ কার্যক্রমে তাদেরকে ভোটার করা হবে।
উপজেলা নির্বাচন অফিসের সহকারি কর্মকর্তা তাজুল ইসলাম জানিয়েছেন, নির্বাচন কমিশনের ঘোষিত ২৫ জুলাই থেকে ৯ আগষ্ট তারিখের প্রথমধাপের হালনাগাদ কার্যক্রমে চকরিয়া উপজেলার খুটাখালী ইউনিয়নে ৮০৭জনকে ভোটার করা হয়েছে।
খুটাখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাও: আবদুর রহমান বলেন, নির্বাচন কমিশনের হালনাগাদ কার্যক্রমে ইউনিয়নে ৮০৭ জন নতুন ভোটার হয়েছে। কিন্তু ফরম সংকটের কারনে ইউনিয়নের বিভিন্ন ওয়ার্ডে অন্তত ১ হাজার নারী-পুরুষ ভোটার হতে পারেনি। এতে নতুন ভোটারদের মাঝে হতাশা বিরাজ করছে। এ অবস্থার উত্তোরনে আগামীতে ফরম সংকটের বিষয়টি আমলে নিয়ে হালনাগাদ কার্যক্রম পরিচালনার দাবী জানান তিনি।
ইউনিয়নের সংরক্ষিত নারী ইউপি সদস্যা রাজিয়া বেগম বলেন, প্রতিটি গ্রামে নতুন প্রজন্মের ভোটার সংখ্যা বেড়েছে। সেই তুলনায় নির্বাচন কমিশন হালনাগাদ কার্যক্রম ফরম বিতরণ করেনি। এ অবস্থার কারনে অনেকে ইচ্ছা প্রকাশ করেও এবার ভোটার হতে পারেনি। তাছাড়া দীর্ঘদিন বিদেশে থাকার কারনে অনেকে ভোটার হতে পারেনি। কেউ কেউ সফল হলেও অনেকে ফরম সংকটের কারনে জীবনের প্রথম ভোটার হওয়ার খায়েশ থেকে বঞ্চিত হয়েছেন।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।