হাফেজ মুহাম্মদ কাশেম, টেকনাফ:
সীমান্ত উপজেলা টেকনাফে খুরা রোগ ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। বিশেষ করে শাহপরীরদ্বীপ ক্যাডল করিডোর দিয়ে মিয়ানমার থেকে আমদানী করা গবাদিপশুর মধ্যে ব্যাপকভাবে খুরা রোগ দেখা যাচ্ছে। করিডোর দিয়ে মিয়ানমার থেকে আমদানী করা গবাদিপশু কুরবানীর জন্য চড়া দামে কিনে বর্তমানে ক্রেতাগণ চরম হতাশায় ভুগছেন। টেকনাফ উপজেলায় গত কয়েক বছর ধরে প্রাণীসম্পদ অফিসার না থাকায় ক্রেতা সাধারণ এব্যাপারে যথাযথ সেবা পাচ্ছেননা বলে জানা গেছে।

সরেজমিন দেখা গেছে ২৯ আগস্ট টেকনাফ উপজেলা চেয়ারম্যান কার্যালয়ের সামনে একটি গরু পড়ে রয়েছে। গরুটি স্থানীয় ইলিয়াছ ও ইদ্রিস ৬০ হাজার টাকা দামে টেকনাফ পশুর হাট থেকে আগের দিন ২৮ আগস্ট কুরবানি করার উদ্দেশ্যে কিনেছেন। ১দিন আগে কেনার সময নাকি ভাল ছিল। হঠাৎ করে দেখা দিয়েছে খুরা রোগ। বহু চেষ্টা করেও এখন শোয়া থেকে উঠানো যাচ্ছেনা। কুরবানির দিন পর্যন্ত বাঁচে কি-না এতেও সন্দেহ রয়েছে। এভাবে পুরো উপজেলায় দেখা দিয়েছে খুরা রোগ। তা বর্তমানে ভয়াবহ আকার ধারণ করায় ক্রেতাগণ শংকিত হয়ে পড়েছেন।

টেকনাফ উপজেলায় প্রাণীসম্পদ কার্যালয়ের অফিস প্রধান উপজেলা প্রাণীসম্পদ অফিসার না থাকায় সেকেন্ড ম্যান ভেটেরিনারি সার্জন ডাঃ সুজন কানুনগো এ প্রসঙ্গে বলেন শাহপরীরদ্বীপ ক্যাডল করিডোর দিয়ে মিয়ানমার থেকে আমদানী করা গবাদিপশুর মধ্যে ব্যাপকভাবে খুরা রোগ দেখা যাচ্ছে। জনবল সংকটের কারণে করিডোর দিয়ে মিয়ানমার থেকে আমদানী করা গবাদিপশুর যথাযথ স্বাস্থ্য পরিক্ষা করার ব্যবস্থা নেই। কাস্টমস শুধুমাত্র নির্ধারিত রাজস্ব নিয়ে ছাড়পত্র দিয়ে দেয়। দমদমিয়ায় কোটি টাকা ব্যয়ে প্রাণীসম্পদ কোয়ারেন্টাইন ভবন নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হলেও জনবল না থাকায় চালু করা সম্ভব হচ্ছেনা। তিনি আরও জানান খুরা রোগ ব্যাপক আকারে দেখা দিলেও এ পর্যন্ত মারা যাওয়ার কোন খবর পাওয়া যায়নি। খূরা রোগ সংক্রামক উল্লেখ করে তিনি এ রোগ দেখা দিলে সুস্থ পশু থেকে পৃথক রাখা এবং চিকিৎসা অব্যাহত রাখার পরামর্শ দেন।