হাফিজুল ইসলাম চৌধুরী :

মিয়ানমারে জাতিগত সহিংসতায় প্রাণ ভয়ে পালিয়ে আসা হাজার হাজার রোহিঙ্গা বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের অপেক্ষায় নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার নোম্যান্সল্যান্ডের ৬টি পয়েন্টে অবস্থান নিয়েছে। তবে বিজিবি ও স্থানীয় জনগণের কঠোর অবস্থানের কারণে তারা দেশে ঢুকতে পারছে না। এদিকে বুধবার (৩০ আগস্ট) সকালে আইনশৃঙ্খলা অবনতির আশঙ্কায় নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে মতবিনিময় সভা করা হয়েছে। মত বিনিময় সভায় স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, রাজনৈতিক ব্যক্তি, মৌজার হেডম্যানসহ গন্যমান্য ব্যক্তি উপস্থিত ছিলেন। সভায় ৩১ বিজিবির জোন কমান্ডার লে. কর্নেল আনোয়ারুল আযীম বলেন, রোহিঙ্গাদের কেউ সাহায্য করবেন না। যদি কেউ চলে আসে তাহলে তাকে বুঝিয়ে পাঠিয়ে দেন। আইনশৃঙ্খলা অবনতি যাতে না হয় সেদিকে লক্ষ্য রেখে কাজ করার আহবান জানান তিনি। জেলা প্রশাসক দীলিপ কুমার বণিক বলেন, রোহিঙ্গাদের সহায়তার নামে যাতে কেউ লুটপাট করতে না পারে এবং দালালদের নির্মূল করতে প্রশাসন কঠোর অবস্থানে রয়েছে। সভায় আরও বক্তব্য দেন- নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এসএম সরওয়ার কামাল, জেলা পুলিশ সুপার সঞ্জিত কুমার রায়, জেলা পরিষ সদস্য ক্যউচিং চাক, উপজেলা পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান কামাল উদ্দিন, থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এইচএম তৌহিদ কবির, সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান তসলিম ইকবাল চৌধুরী প্রমূখ। পরে ঢাকাঢালা সীমান্তের বিভিন্ন পয়েন্টে অবস্থান নেওয়া রোহিঙ্গাদের সার্বিক পরিস্থিতি অবলোকন করনে অতিথিবৃন্দ।

উল্লেখ্য, নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার তুমব্রু, ঘুমধুম, আশারতলী, চাকঢালা, ফুলতলী, লেমুছড়ি এলাকার জিরো পয়েন্টে হাজার হাজার রোহিঙ্গা বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের অপেক্ষায় রয়েছে। তবে চাকঢালা সীমান্ত এলাকার আশেপাশে সর্বাধিক রোহিঙ্গা তাবু টাঙিয়ে অবস্থান করছে।