এম.জিয়াবুল হক,চকরিয়া
চকরিয়া থানা পুলিশের অভিযানে মস্তক কেটে রাবার ব্যবসায়ী মোজার মিয়া খুনের মামলার প্রধান আসামি আনোয়ার হোসেনকে অবশেষে ঘটনার ১৯দিন পর গ্রেফতার করা হয়েছে। বুধবার দিবাগত রাত আনুমানিক আড়াইটার দিকে চকরিয়া থানার এসআই মো.আলমগীর গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে উপজেলার উত্তরে আজিজনগর এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করেন। গ্রেফতারকৃত আনোয়ার হোসেন উপজেলার খুটাখালী ইউনিয়নের মেধাকচ্ছপিয়া এলাকার নবী হোসেনের ছেলে।
গ্রেফতারের পর আনোয়ার হোসেনকে সৌর্পদ্দ করে গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে সাতদিনের পুলিশ রিমান্ড চেয়ে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আদালতের কাছে আবেদন দাখিল করেছেন। আদালত রিমান্ড শুনানী পরবর্তীতে নেয়া হবে জানিয়ে গ্রেফতারকৃত আনোয়ার হোসেনকে জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও চকরিয়া থানার এসআই মো.আলমগীর বলেন, গত ১৮ আগস্ট ভোরে জনগনের দেয়া খবরের ভিত্তিতে উপজেলার খুটাখালী ইউনিয়নের বালুরচর এলাকার ধান ক্ষেত থেকে একটি মস্তকবিহীন লাশ উদ্ধার করা। পরে ময়নাতদন্ত শেষে লাশটি কক্সবাজার আঞ্জুমানে মুফিদুল ইসলামের মাধ্যমে বেওয়ারিশ হিসেবে দাফন করা হয়। বিচ্ছিন্ন দেহটি দাফনের ২৫ ঘন্টা পর গত ২০ আগষ্ট সকালে ঘটনাস্থলের অদুরে অপর একটি ধান ক্ষেত থেকে বিচ্ছিন্ন মাথাটি উদ্ধার করা হয়। এরপর নিহতের স্ত্রী সাবেকুন্নাহার ও নিকটাতœীয় স্বজন বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছবি দেখে পরনের শার্ট, প্যান্ট, পকেটে থাকা টুপি, পায়ের সেন্ডেল দেখে লাশটি মোজার মিয়ার বলে পরিচয় নিশ্চিত করেন। নিহতের নাম মোজার মিয়া (৩৫)। তিনি বান্দরবানের লামা উপজেলার ফাসিয়াখালী ইউনিয়নের রঙ্গারঝিরি এলাকার নুর মোহাম্মদের ছেলে। পেশায় রাবার ব্যবসায়ী।
চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.বখতিয়ার উদ্দিন চৌধূরী বলেন, রাবার ব্যবসায়ী খুনের মামলার প্রধান আসামি আনোয়ার হোসেনকে গ্রেফতারের পর মামলাটির অগ্রগতি এগিয়ে গেছে। তারপরও মামলার অধিকতর তদন্তের প্রয়োজনে আমরা আদালতের কাছে সাতদিনের পুলিশ রিমান্ডের আবেদন করেছি। আশাকরি ঘটনার প্রকৃত রহস্য উদঘাটনে সফল হবো।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।