সেলিনা হোসাইন:

রামুতে ইয়াসমিন আক্তার (১৪) নামে এক স্কুলছাত্রীকে নিজ ঘর থেকে অপহরণের চেষ্টা চালিয়েছে একদল বখাটে। দীর্ঘদিন ধরে উতক্ত্যর পর গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় অপহরণের চেষ্টা করা হয়। এতে অপরহণের ব্যর্থ হওয়া মাহবুবুর রহমান নামে এক বখাটেকে হাতেনাতে ধরে পুলিশে সোর্পদ করেছে স্থানীয়রা। রামু উপজেলার খুনিয়াপালং ইউনিয়নের পশ্চিম গোয়ালিয়ার জুকুড়ি পাড়া গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। বখাটে মাহবুবুর একই এলাকার আলী আহমদের ছেলে বলে জানা গেছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, জুকুড়ি পাড়া গ্রামের আব্দু ছালামের মেয়ে ইয়াসমিন আক্তার স্থানীয় গোয়ালিয়া পালং মডেল হাই স্কুলের অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী। প্রতিদিন স্কুলে যাওয়া আসার পথে তাকে উত্যক্ত করে বখাটে মাহবুব। তাকে প্রেমের প্রস্তাবও দেয়া হয়। বখাটের এমন প্রস্তাবে সাড়া দেয়নি স্কুল ছাত্রী। এতে বখাটে মাহবুুবু গত সোমবার সন্ধ্যার আগে ওই ছাত্রীর বাড়ির সামনে অবস্থান নেন। এসময় বাড়ির উঠানে বের হলে স্কুল ছাত্রীকে অপহরণের চেষ্টা করে মাহবুবু। এতে ঘরের লোকজন তাকে ধরে পেলে। পরে স্থানীয় ইউপি সদস্য সোলতানসহ এলাকার লোকজনের জিম্মায় ও মুসলেকা নিয়ে মাহবুবুকে ছেড়ে দেয়া হয়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় দুই সহযোগি নিয়ে ওই স্কুল ছাত্রীর বাড়িতে ঢুকে আবারো অপহরণের চেষ্টা করে। এক পর্যায়ে জোর করে ঘর থেকে বের করে নেন স্কুল ছাত্রীকে। এসময় পরিবারে সদস্যদের চিৎকারে এলাকার লোকজন এগিয়ে এসে স্কুল ছাত্রীকে উদ্ধারের চেষ্টা করে। এতে বখাটেরা স্কুল ছাত্রীর পিতা আব্দু ছালামকে মারধর করে দুই সহযোগি পালিয়ে যায় এবং বখাটে মাহবুবুকে হাতে-নাতে ধরে বেঁধে রাখেন এলাকাবাসী।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে খুনিয়াপালংয়ের ইউপি সদস্য ছৈয়দ আমিন সোলতান পূর্বকোণকে বলেন, বিষয়টি রামু থানার ওসি এবং উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তাকে অবগত করা হয়েছে। এরপর ওসি চৌকিদার পাঠিয়ে বখাটে যুবককে রামুর আওতাধীন হিমছড়ি পুলিশ ফাঁড়িতে নিয়ে যান।

রামু থানার ওসি মো. লিয়াকত আলী বলেন, স্থানীয় ইউপি সদস্যর মাধ্যমে অপহরণের চেষ্টার বিষয়টি অবগত হয়েছি। কক্সবাজারে প্রধানমন্ত্রী আগমনে খুব ব্যবস্থা সময় যাচ্ছে। তারপরও ইউনিয়ন পরিষদের চৌকিদারের মাধ্যমে ওই বখাটেকে হিমছড়ি পুলিশ ফাঁড়িতে সোর্পদের কথা বলা হয়েছে।

হিমছড়ি পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মোজ্জামেল হক বলেন, স্থানীয় ইউপি সদস্য ও চৌকিদারের মাধ্যমে এক যুবককে ফাঁড়িতে আনা হয়েছে। স্কুল ছাত্রী অপহরণের সময় থাকে নাতে-নাতে ধরা হয়েছে বলে জানান ইউপি সদস্য। সকালে (বুধবার) বাদি পক্ষ আসলে রামু থানার ওসি ও উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তার সাথে কথা বলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।