শাহজালাল
এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম ” বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সে ভাষণ এখনো শরীরে কাটা দিয়ে উঠে। পায়ের রক্ত মাথায় উঠে। ইচ্ছে করে স্বাধীনতা যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ি। সেই ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা ছিনিয়ে এনেছি পাকহানাদার বাহিনী থেকে। ১৯৪৭ সালে ভারতীয় উপমহাদেশ ভাগ হলে। বর্তমান বাংলাদেশ তথা পূর্ব পাকিস্তান সংখ্যাগরিষ্ঠতার ভিত্তিতে পশ্চিম পাকিস্তানের সাথে যুক্ত ছিলো। ১৯৪৭ সাল থেকে ১৯৭১ সাল পর্যন্ত পাক হানাদার বাহিনী বাঙ্গালিদের উপর নির্মম নির্যাতন করে। কিন্তু বাঙ্গালি জাতী প্রতিটি বর্বরতার বর্বর অধ্যায় রক্ত দিয়ে প্রতিহত করে। বিশ্বে বাঙ্গালি জাতী একমাত্র জাতী যারা মাতৃভাষার জন্য প্রাণ দিয়েছে।১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি মাতৃভাষার জন্য প্রাণ দিয়ে প্রমাণ করেছে অধিকার আদায়ে রক্ত দিতে বিন্দু পরিমাণ কুণ্ঠাবোধ করে না তারা। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ কালো রাতে অসহায় নিরস্ত্র বাঙ্গালিদের উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে পাক হানাদার বাহিনী। ঘুমন্ত বাঙ্গালিদের নির্বিচারে খুন করে। পাক হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়তে গঠন করে মুক্তিবাহিনী। নয়মাস রক্তক্ষয়ী যুদ্ধে ৩০ লক্ষ শহীদ ৩ লক্ষ মা বোনের ইজ্জতের বিনিময়ে লাল সবুজের বাংলাদেশ। বিশ্ব মানচিত্রে “বাংলাদেশ ” নামক রাষ্ট্রের সৃষ্টি হয়। বাঙ্গালি জাতি শান্তিকামী, সাধীনতা কামী তাদের অধিকার আদায়ে তারা সচেষ্ট। অন্যদিকে বার্মার সামরিক সরকার সংখ্যালঘু মুসলমানদের উপর যুগযুগ ধরে নির্যাতন করে আসছে। বিভিন্ন সময় রোহিঙ্গা মুসলমানরা নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে বাংলাদেশে শরণার্থী হয়েছে। রোহিঙ্গা মুসলমানদের ইতিহাস, শরণার্থী হওয়ার ইতিহাস। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চের মত ২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট অসহায়, নিরস্ত্র রোহিঙ্গা মুসলমানদের উপর ঝাপিয়ে পড়ে বার্মার সামরিক সরকার। মেতে উঠে গণহত্যায়। নির্বিচারে খুন, ধর্ষণ,লুন্ঠন, অগ্নিসংযোগ, করে, এখনো চলেছে। রোহিঙ্গা মুসলমানরা প্রাণ বাঁচাতে আশ্রয় নেয় বাংলাদেশে। সাম্প্রতিক তিন লাখের অধিক রোহিঙ্গা আশ্রয় নিয়েছে। আশ্রয়ের জন্য এখনো আসছে। বাংলার মাটিতে জন্ম নিয়েছে। শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হক, হোসেন শহীদ সোহরাওর্দী, জন্ম নিয়েছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মত কালজয়ী পুরুষ। ৭১ সালের ২৫ মার্চ পুনরাবৃত্তি ঘটেছে ১৭ সালের ২৫ আগস্ট। কিন্তু আরকানে কি নয় মাস রক্তক্ষয়ী যুদ্ধু সংঘটিত হবে? না, রোহিঙ্গা শূন্য আরকান প্রতিষ্ঠা হবে?