বঙ্গবন্ধুৃর আদর্শে-জননেত্রীর নেতৃত্বে-পিতার মতোই গর্জে উঠো! জ¦ালাও প্রদীপ আলো!
মোহাম্মদ আলমগীর :
আজ রাশেদুল হক রাশেদের শুভ জন্মদিন। শুভ কামনাসহ তার জন্মদিনে এক সমুদ্র ভালোবাসা, পৃথিবীর সমস্ত ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানাতে মনটা কেমন জানি ব্যাকুল হয়ে আছে। তাই হৃদয়ের মন্দির থেকে তাকে ভালোবেসে দু’কলম লিখতে বসলাম। পৃথিবীতে মানুষ আসে আর যায়। চরম সত্য বাস্তবতার মধ্যদিয়ে মহান সৃষ্টিকর্তা সেভাবেই মানব জাতিকে পৃথিবীতে প্রেরণ করেছেন। কিছু কিছু মানুষ আছে পৃথিবীতে এমন কিছু স্মৃতি ভালবাসা আন্তরিকতা প্রগাঢ় করে রেখে যায়, যেটা ভোলার নয়। তেমনি একজন মানুষ এ পৃথিবীতে আলোকবর্তিকা নিয়ে এসেছিলেন, যিনি বাংলাদেশকে নিয়ে সুজলা সুফলা শস্য শ্যামলা স্বাধীন সার্বভৌমত্ব সোনার বাংলা দেখার জন্য অকাতরে সবকিছু বিলিয়ে দিয়ে শেষ পর্যন্ত স্বপরিবারে নির্মমভাবে দেশদ্রোহী ও খুনিদের হাতে শাহাদাত বরণ করেছিলেন। আমি যার কথা লিখতে বসে উদাহরণ উপস্থাপন করছি তিনি হচ্ছেন বাঙালি জাতির জনক, মহান স্বাধীনতার স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের।
আজ জন্মদিনে যাঁকে নিয়ে লিখছি তিনি কক্সবাজারের নির্যাতিত, নিপীড়িত বঙ্গবন্ধুর আদর্শের রাজপথের লড়াকু সৈনিক এবং দেশরতœ, বিশ^শান্তির অগ্রদূত যিনি পিতার রেখে যাওয়া বাঙালি জাতির জন্য অসমাপ্ত কাজকে সমাপ্ত করার লক্ষ্যে নিজের জীবন বাজি রেখে দিনরাত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন উন্নয়নের অদম্য প্রহরী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আত্মার আত্মীয় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কক্সবাজার জেলা শাখার অন্যতম সাংগঠনিক সম্পাদক, তৃণমূল আওয়ামী লীগের শেষ আশ্রয়স্থল জননন্দিত জননেতা শিল্পপতি রাশেদুল হক রাশেদ। তিনি যার ঔরষে জন্মগ্রহণ করেছেন তিনি ছিলেন কক্সবাজারের আলোকিত চাঁদ যাকে বাঙালি জাতির স্বপ্নদ্রষ্টা শেখ মুজিবুর রহমান নিজের আপন ভাই হিসেবে মনের মন্দিরে ঠাঁই দিয়েছিলেন কক্সবাজারের আওয়ামী লীগের মরণোত্তর সভাপতি ছিলেন, যাকে আজকের প্রধানমন্ত্রী, এশিয়ার সর্ববৃহৎ রাজনৈতিক সংগঠন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভানেত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা চাচা হিসেবে শ্রদ্ধার আসনে আসীন করে রেখেছিলেন সবসময়, কক্সবাজার পৌরসভার সাবেক চেয়ারম্যান অসহায় বঙ্গবন্ধুপ্রেমীদের নির্ভরযোগ্য ঠিকানার শেষ কর্ণধার জননেতা একেএম মোজাম্মেল হকের সুযোগ্য উত্তরসূরী তরুণ-যুব ও ছাত্র এবং খাঁটি জাতির জনকের আদর্শের কর্মীদের প্রাণের স্পন্দন জননেতা রাশেদুল হক রাশেদ।
তিনি আজকের এই দিনে ভোরের সূর্যের মত আলোকিত করে এই পৃথিবীতে এসেছিলেন। যার ধ্যান ধারণা বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলাকে শতভাগ দীপ্তময় করা। কখনো নিজের আখের গোছনোর জন্য বঙ্গবন্ধু কিংবা জননেত্রীর ও পিতার পরিচয় দিয়ে নীতি নৈতিকতাকে ভূলুণ্ঠিত করেন নাই। দলের ভাবমূর্তি বিনষ্ট হওয়ার মতো কোন কর্মকা-ে লিপ্ত হননি। অনেকবার আলাপচারিতায় তাঁর হৃদয়ের আকুতি দেখেছি জনগণ, দেশ ও দলের প্রতি একনিষ্ঠ বিশ^াস। নিজের তিলে তিলে গড়ে তোলা ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের আয়ের টাকা দিয়েই সংসার, দল, কর্মী তাঁর আত্মীয়-অনাত্মীয়দেরকে আতিথিয়তাসহ সার্বিক দেখভাল করে যাচ্ছেন। কখনো কাউকে ফিরিয়ে দেননি। তাঁর সাধ্যের মধ্যদিয়ে নেতা-নেত্রী প্রশাসন যার জন্য যেখানে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিতে হয় সেখানেই তিনি কখনো দ্বিমত করেননি। হাসিমুখে সবাইকে মনের গভীরে খুশিতে মাতোয়ারা করার জন্য সর্বশেষ চেষ্টা চালিয়ে যান এখনোঅবধি। আমি এমনও দেখেছি কখনো বিমুখ হয়ে তাঁর বাসা, অফিস থেকে কাউকে ফিরিয়ে যেতে। উদার মনের বিশাল বটবৃক্ষ আওয়ামী লীগের কক্সবাজারের রাশেদ। যাঁকে নিয়ে খাঁটি বঙ্গবন্ধুপ্রেমীরা স্বপ্ন দেখেন অনেক উচ্চ আসনে আসীন করতে। কক্সবাজারে বাবার অসমাপ্ত উন্নয়ন ও সংগঠনকে প্রতিটি পাড়া-মহল্লায় বঙ্গবন্ধুৃর সোনারতরী ভাসিয়ে দেওয়ার জন্য শক্তিশালী বাংলাদেশ আওয়ামী লীগে রূপান্তরিত করার জন্য স্বপ্ন দেখেন প্রতিনিয়ত। সে স্বপ্ন অনেকটা বাস্তবায়িত হলেও আরো অনেক দূর এগিয়ে যেতে হবে দেশরতœ শেখ হাসিনার আস্থা ও বিশ^াসের ¯েœহের রাশেদকে। জয়তু জয় হোক আগামী দিনের কক্সবাজারের নৌকার কান্ডারি বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী জনগণের রাশেদকে। অনেক দিন আগে এক আলাপচারিতায় আমাকে বলেন, একসময় কক্সবাজারের প্রতিটি গ্রাম, মহল্লা, ওয়ার্ড, ইউনিয়ন, পৌরসভার ও জেলার আনাচে-কানাচে বঙ্গবন্ধুর প্রতিচ্ছবি বুকে লালন করে রিয়েল কর্মীদের আনাগোনায় সরগরম থাকতো কক্সবাজার শহরের বিমান বন্দর সড়কের হক-শন। দিনরাত আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, কৃষক লীগ, শ্রমিক লীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, মহিলা আওয়ামী লীগ, মৎস্যজীবী লীগ, যুব মহিলা লীগ সর্বোপরি টুঙ্গিপাড়ায় জন্ম নেওয়া বাংলাদেশের লাল-সবুজের পতাকার স্বপ্নদ্রষ্টা শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শের অনুজরা। আমরা তখন আনন্দের উদ্বেলিত হতাম (ভাইরা ও আমার একমাত্র বোনটি)। কারণ বাবার দেশের প্রতি দরদ, কর্মীদের প্রতি ভালোবাসা, জনকের প্রতি শ্রদ্ধা, জননেত্রীর প্রতি অকুণ্ঠ সমর্থন আমাদেরকে তেজক্রিয়ার মতো প্রেরণা যোগাতো। বাবার সরলমনা ও দেশদরদি লাল-সবুজের পতাকার প্রতি হৃদয় নিংড়ানো সম্মান ও কর্মীদের প্রতি অবিচল বিশ^াস আমাদেরকে সাহস যোগাতো। কক্সবাজার আওয়ামী লীগকে টুঙ্গিপাড়ার আওয়ামী লীগে রূপান্তরিত করার জন্য সে আশায় বুকবেঁধে আছি। সফল হবো, সফলতা আমাকে হাতছানি দিয়ে ডাকছে। কারণ আমার নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের একটি ডাকে বাঙালি জাতি ঝাঁপিয়ে পড়েছিলো পাকিস্তানীর হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে। ঝাঁপিয়েপড়া লড়াকু সৈনিকরা লাল-সবুজের পতাকা ছিনিয়ে এনেছিলো বহু ইতিহাস রচনা করার মধ্যদিয়ে। সেই ভয়ালময় নয় মাসের ইতিহাসে বাঙালি জাতি ছিলো (ক্ষত-বিক্ষত হয়েও) বিজয়ী জাতি। আর আমরা সেই বিজয়ী জাতির নেতাকর্মীদের বিশ^াসের শেষ ঠিকানা হিসেবে সেটাকে মূল্যায়িত করে বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে প্রতিটি ঘরে ঘরে পৌঁছে দেওয়ার জন্য জীবনের শেষ কিছু বিলিয়ে দিয়ে যাবো স্বাধীন সার্বভৌত্ব এই বাঙালি জাতির জন্য এ ভূখ-কে রক্ষা করার মানসে। যে জাতি কখনো মাথা নিচু করে না, মাথা উঁচু করে চলতে, বাঁচতে ও নেতৃত্ব দিতে শিখেছে। সে জাতি কারো রক্তচক্ষুকে ভয় করে না।
জননেতা মোজাম্মেল পুত্র রাশেদের সাথে একান্ত আলাপচারিতায় আরো বলেন, বাবা শিখেছেন বঙ্গবন্ধু থেকে আর আমরা শিখেছি জনতার নেতা মোজাম্মেল থেকে। বাস্তবায়িত করি নেত্রীর নির্দেশিত দেশরক্ষা ও উন্নয়নের রোডম্যাপ থেকে। আর জাতি পাবে নিñিদ্র নিরাপত্তার মধ্যদিয়ে স্বস্তির নিঃশ^াস ফেলার ঠিকানা। আমরা পাবো বঙ্গবন্ধরু স্বপ্নের সোনার বাংলা আমৃত্যু রক্ষা করার প্রেরণা। জাতির পিতার মতো গর্জে উঠো! জ¦ালাও প্রদীপ আলো! নেত্রীর মতো উন্নয়ন করো, জ¦ালাও প্রদীপ আলো। আর আমার বাবার মতো কর্মীদেরকে ভালোবাসো, দেশ-জাতি-আমার আপনার মাথার উপর উড্ডয়নরত লাল-সবুজের জাতীয় পতাকাকে সমুন্নত রাখতে। হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালির নেতার সুযোগ্য নাতী, জননেত্রী শেখ হাসিনার পুত্র ডিজিটাল বাংলাদেশের জ¦লন্ত প্রতিভা সজিব ওয়াজেদ জয়। তিনি শেখ হাসিনার সৃজনী সংগঠক মানুষ কেন্দ্রীক চিন্তার অনন্য নায়ক দেশ বরেণ্য বিজ্ঞানীর সুসন্তান সজিব ওয়াজেদ জয়। আসলে জন্মদিনের দু-চারটি কথা লিখতে গিয়ে অনেক কথায় সাদা কাগজের বুকে কলমের কালিমায় অনেক কথা লিখে ফেললাম। ভুলত্রুটি মার্জনীয়। জননেতা রাশেদ আপনার জন্মদিনের আমার নিরন্তর উপহার হবে, আপনি হবেন আপনার পিতার, জাতির পিতার ও দেশরতœ শেখ হাসিনার এবং আগামী দিনের ভাগ্য আকাশের উজ্জ্বল নক্ষত্র সজিব ওয়াজেদ জয়’র আশা-আকাক্সক্ষার প্রতিফলন ঘটানোর কক্সবাজারের ওই আকাশের আলোকিত তারা। তাই কবির ভাষায় বলিÑ
তুমি জন্মেছো বলেই, স্বপ্ন দেখি তোমাকে নিয়ে
হারিয়েছি বঙ্গবন্ধুকে, হারিয়েছি আমার বাবা মোজাম্মেলকে
স্বপ্ন নিয়ে বেঁচে আছি জননেত্রী শেখ হাসিনা ও সজিব ওয়াজেদ জয়কে ঘিরে
আর কক্সবাজারের বঙ্গবন্ধুৃপ্রেমী নেতাকর্মীরা বেঁচে আছে তোমাকে নিয়ে।
শুভ শুভ-শুভ দিন
আজকে তোমার জন্মদিন
তুমি হাজার বছর বেঁচে থাকো স্বাধীনকামী ও বঙ্গবন্ধুৃপ্রেমী বাঙালির জাতির জন্য
লেখক পরিচিতি: মোহাম্মদ আলমগীর, অফিস প্রধান, জাতীয় ম্যাগাজিন, জাতির আলো, ঢাকা ও জাতীয় ম্যাগাজিন জনতার কণ্ঠ, জাতীয় দৈনিক আমার কাগজ, জাতীয় দৈনিক এশিয়া বাণী এবং দি গুড মর্নিং পত্রিকার ব্যুরো অফিসের দায়িত্বপ্রাপ্ত অফিস দেখভাল করার প্রধান।