হুমায়ূন কবির আজাদ :
আমাদের কক্সবাজারের সীমান্তবর্তী দেশ রাখাইন শাষিত মায়ানমার,আর ঐ দেশের শাষক হল শান্তিতে নোবেল বিজয়ী অং চান সুচি। তবে জনাবা কোন শান্তির জন্য নোবেল পেয়েছিল তা এখন বোঝাও মুশকিল। বৌদ্ধ বাণীতে বলা আছে অহিংসা পরম ধর্ম তবে রাখাইন রাজ্যে হিংসাত্নক কর্মকান্ড প্রতিনিয়ত চলতেই থাকে ঐ দেশের সংখ্যালঘু জাতি তথা রোহিঙ্গাদের উপর, তারই ধারাবাহিকথায় সদ্য সৃষ্টি হওয়া নির্যাতন তথা হত্যাযজ্ঞ ধর্ষণ রাহাজানি থেকে বাঁচতে স্বদেশের মায়া ত্যাগ করে দীর্ঘ দিন অর্ধাহারে অনাহারে থেকে কোন রকম জীবন নিয়ে পালিয়ে বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে অবৈধ অনুপ্রবেশ বৃদ্ধি করেই যাচ্ছে। যা আজ গুটিকয়েক করে আসতে আসতে ৬/৭ লক্ষ্যাধিক হয়ে দাড়িয়েছে, এই বিষয়ে কেউ কি একবার ভেবে দেখেছেন এর ভবিৎষত কি হতে পারে? আমরা আবেগ প্রবণ জাতি, রাখাইন রাজ্যে হওয়া এই বর্বরতাকে আমরা কত সুনিপুণ ভাবেইনা বিশ্বের দর্বারে পৌঁছে দিয়েছি। ত্রাণ দিয়ে বসবাসের স্থান দিয়ে আমরা কতবড় মানবিকতার পরিচয় দিয়েছি তা আজ বিশ্ববাসীর দৃষ্টিগোচর। মানবিকতার দ্বায়ে সুদূর তুরস্ক থেকে ছুটে এসেছিলেন তুরস্কের পার্সট লেডি এমেনি এরদোগান। সীমান্তে ছুটে এসেছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী। ছুটে এসেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসের নেতৃত্বে বিশেষ ত্রাণ টিম প্রথম পর্যায়ে প্রশাসনিক বাধাবিপত্তির মূখে পড়লেও পরর্বতীতে প্রশাসনিক বাধা অতিক্রম করে ত্রাণ দিয়ে ফিরেন। এতে করে রোহিঙ্গারা যেমন সাময়িক সুবিধা পাচ্ছে তেমনি করে অনেকের রাজনৈতিক সুবিধাও চোখে পড়ার মত। আবার সারজমিনে জানাযায় বিভিন্ন সীমন্তে অনেক অসাধু ব্যাক্তিরা নির্যাতিতদের কাছ থেকে টাকা পয়সা নিয়ে বণ বিভাগের আওতাধীন পাহাড় পর্বতে বসতি গড়ে দিতে ব্যাস্ত। যার খেসারত আগামীতে স্থানীয়দের দিতে হবে। এমনিতে এই সমুদ্র জনপথ অনেক বেশী জর্জরিত অতিথে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের অপরাধের মারপ্যাঁচে পড়ে।কক্সবাজারে সর্বসময় সংগঠিত হওয়া অপরাধ গুলো তাদের ধারাই সৃষ্টি, ইয়াবা আজ বিশ্বের কাছে মরণ নেশা হিসেবে পরিচিত যার অবৈধ অনুপ্রবেশ কিন্তু তাদের ধারাই হয়েছিল। চুরি ছিনতাই খুন রাহজানি সব ধরনের অপরাধে কিন্তু তাদের ভুমিকা চোখে পড়ার মত, তারা আবার বর্তমান সময়ে বিভিন্ন ভাবে বিভিন্ন রাজনৈতিক সংগঠনের নেতৃত্বেও চলে এসেছে যার কারণে স্থানীয়রা আজ বিভিন্নভাবে কোনটাসা। এখনো যদি এভাবে চলতে থাকে তাহলে আগামীতে স্থানীয়দের দূর্দশার শেষ থাকবে না। সুতরাং সর্বসাধারণের উদেশ্যে বলছি রোহিঙ্গাদের ত্রাণ দিন তবে স্থায়ী ভাবে বসবাসের সুযোগ নয়।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।