ড. মোঃ নায়ীম আলীমুল হায়দার
রোহিঙ্গারা পশ্চিম মায়ানমারের রাখাইন স্টেটের উত্তরাংশে বসবাসকারী একটি জনগোষ্ঠী। ধর্মের বিশ্বাসে এরা অধিকাংশই মুসলমান। রাখাইন স্টেটের প্রায় এক-তৃতীয়াংশ হল রোহিঙ্গা। মায়ানমারের সরকারী হিসেব মতে, প্রায় আট লক্ষ রোহিঙ্গা আরাকানে বসবাস করে। রোহিঙ্গারা বর্তমান পৃথিবীর সবচেয়ে নিপীড়িত জনগোষ্ঠীগুলোর একটি। মায়ানমার সরকার রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে মায়ানমারের নাগরিক হিসেবে স্বীকৃতি দেয়নি। মায়ানমার সরকার ১৩৫ টি জাতিগোষ্ঠীকে সংখ্যালঘু জাতি হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে, রোহিঙ্গারা এই তালিকার অর্ন্তভুক্ত নয়। মায়ানমার সরকারের মতে, রোহিঙ্গারা হল বাংলাদেশী, যারা বর্তমানে অবৈধভাবে মায়ানমারে বসবাস করছে। যদিও ইতিহাস ভিন্ন কথা বলে। ইতিহাস বলে, রোহিঙ্গারা মায়ামারে কয়েক শতাব্দী ধরে বসবাস করে আসছে। সপ্তম-অষ্টম শতাব্দীতে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর উদ্ভব হয়। প্রাথমিকভাবে মধ্যপ্রাচ্যীয় মুসলমান ও স্থানীয় আরাকানীদের সংমিশ্রণে রোহিঙ্গা জাতির উদ্ভব। পরবর্তীতে চাঁটগাইয়া, রাখাইন, আরাকানী, বার্মিজ, বাঙালী, ভারতীয়, মধ্যপ্রাচ্য, মধ্য এশিয়া ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার মানুষদের মিশ্রণে উদ্ভুত এই সংকর জাতি এয়োদশ-চর্তুদশ শতাব্দীতে পূর্ণাঙ্গ জাতি হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে। পঞ্চদশ শতাব্দী হতে অষ্টাদশ শতাব্দী পর্যন্ত আরাকানে রোহিঙ্গাদের নিজেদের রাজ্য ছিল। মায়ানমার সরকারের দাবি, রোহিঙ্গারা হল ভারতীয়, বাঙালী ও চাঁটগাইয়া সেটলার, যাদেরকে ব্রিটিশরা আরাকানে এনেছে। যদিও ঐতিহাসিকভাবে এটি প্রতিষ্ঠত যে, ব্রিটিশরা বার্মায় শাসক হিসেবে আসার কয়েক শতাব্দী আগে হতেই রোহিঙ্গারা আরাকানে পরিষ্কার জাতি হিসেবে বিকশিত হয়েছিল।
বার্মিজ নাগরিকত্ব আইন ১৯৮২ এর মাধ্যমে মূলত রোহিঙ্গাদের সে দেশের নাগরিকত্ব থেকে বঞ্চিত কড়া হয়েছে। মায়ানমার সরকার রোহিঙ্গাদের নাগরিক হিসেবে স্বীকার না করায় সকল প্রকার নাগরিক ও মৌলিক সুবিধা হতে বঞ্চিত রোহিঙ্গারা। মায়ানমারে ভ্রমণ, শিক্ষা, চিকিৎসার জন্য পরিচয় পত্র থাকাটা খু্ব জরুরি বিষয়। কিন্তু মায়ানমার সরকার রোহিঙ্গাদের পরিচয় পত্র ইস্যু করে না, ফলে, এমনিতেই পিছিয়ে পড়া রোহিঙ্গারা আরো পিছিয়ে পড়ছে। মায়ানমার সরকারের ভূমি ও সম্পত্তি আইন অনুসারে বিদেশীরা কোন সম্পত্তি ও ভূমি মালিক হতে পারে না। রোহিঙ্গারা মায়ানমার সরকারের দৃষ্টিতে অবৈধ অভিবাসী তথা, বিদেশী। তাই, রোহিঙ্গারা কোন ভূমি বা, স্থায়ী সম্পত্তির মালিক হতে পারে না। বর্তমানে যেসকল ভূমিতে রোহিঙ্গারা বসবাস করছে, মায়ানমার সরকার যেকোন মুহুর্তে সেগুলো দখল করে নিতে পারে।
এক্ষেত্রে আমার একটি পর্যবেক্ষণ হচ্ছে, শতাধিক বছর ধরে বসবাসকারীরা যদি রাষ্ট্রের নাগরিক না হয় তাহলে কোটি কোটি মার্কিনি আমেরিকান নাগরিক থাকতে পারবে না। একজন রেড ইন্ডিয়ান ক্ষমতায় এসে যদি সাদা-কালো সবাইকে মার্কিন মুলুক থেকে তাড়িয়ে দিতে চায় তখন কি তা বিশ্ববাসী আমেরিকানদের অভ্যন্তরীণ বিষয় হিসেবে মেনে নেবে? ইতিমধ্যেই খোদ আমেরিকাতে বৈধ ও অবৈধ ইমিগ্র্যান্ট নির্বাচনী ইস্যু হিসেবে দাঁড়িয়ে গেছে যা আগামীতে আরও ব্যাপকতা লাভ করতে পারে। এ ছাড়া ইউ. কে সহ নানা দেশেই বিভিন্ন দেশ থেকে আগতরা স্থায়ী নিবাস গড়েছেন। যদি সব দেশই মিয়ানমারের মত অন্য দেশ থেকে আগত(তাদের ভাষায়) লোকজনদের এভাবে তারিয়ে দেয় তাহলে পরিস্থিতি খুব ই নাজুক হবে বলে মনে হয় এবং তা অমানবিক হবে। এ ছাড়া বিভিন্ন সময়ে ইতিহাসের বাঁকে এবং প্রয়োজনে অস্ট্রেলিয়ান বা নিউজিল্যান্ডের নাগরিক যারা হয়েছেন সেই বিশাল জনগোষ্ঠীর ভবিষ্যৎ নাগরিকত্ব কি হবে সেই প্রশ্নের জবাব বিশ্ববাসীকেই দিতে হবে। একই সমস্যায় পড়তে হবে মালয়েশিয়া বা সিঙ্গাপুরের চাইনিজদের। কাজেই রোহিঙ্গারা মিয়ানমারের নাগরিক নন এ আবদার বিশ্ববাসী কখনোই মেনে নিতে পারে না। কোনো সামরিক শক্তির আদেশে যেমন রোহিঙ্গাদের নাগরিকত্ব নির্ধারিত হতে পারে না তেমনি নোবেল বিজয়ী কোনো মহীয়সী নারী তার বৃহৎ জনগোষ্ঠীকে খুশি করার জন্য রোহিঙ্গাদের তাদের জন্মভূমি থেকে বিতাড়িত করতে পারেন না। কোনো শান্তিপ্রিয় মানুষ মিয়ানমারের রোহিঙ্গা বিতাড়ন করার অমানবিক সামরিক অভিযান মেনে নিতে পারে না। বিশ্বের যে কেউ বা কোনো রাষ্ট্র যদি মিয়ানমারের রোহিঙ্গাদের বিতাড়ন করার সামরিক বর্বরতা সমর্থন করে তাহলে ওই ব্যক্তি বা রাষ্ট্র বিশ্বের ইতিহাসে যুদ্ধবাদী প্রবঞ্চক হিসেবে ঘৃণিত হবে।
রোহিঙ্গা মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ সমস্যা। মিয়ানমারের বৃহৎ জনগণ রোহিঙ্গাদের তাদের নাগরিক মনে করে না। যে কোনো রাষ্ট্রের অভ্যন্তরীণ সমস্যার সমাধান করার পূর্ণ অধিকার প্রতিটি রাষ্ট্রেরই আছে। রাষ্ট্রের যদি সার্বভৌমত্ব না থাকে বা অভ্যন্তরীণ সমস্যা সমাধানের সক্ষমতা না থাকে তাহলে কোনো রাষ্ট্রেরই শৃঙ্খলা তথা অস্তিত্ব থাকবে না। তাই আমি মনে করি রোহিঙ্গাদের জাতিগত সমস্যা মিয়ানমারের একান্ত অভ্যন্তরীণ সমস্যা এবং এর সমাধান অবশ্যই মিয়ানমারকেই করতে হবে।তবে মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ সমস্যার সমাধান করতে গিয়ে বাইরের বা প্রতিবেশীর রাষ্ট্রের জন্য অবশ্যই অতিরিক্ত কোনো সমস্যা সৃষ্টি করার অধিকার মিয়ানমার বা কোনো রাষ্ট্রেরই নেই। যদি কোনো রাষ্ট্র তার অভ্যন্তরীণ সমস্যা মেটাতে গিয়ে প্রতিবেশী রাষ্ট্রের জন্য সমস্যা সৃষ্টি করে তাহলে তখন তা কোনো রাষ্ট্রের অভ্যন্তরীণ সমস্যা হিসেবে গণ্য করা যেতে পারে না। অতএব, মিয়ানমারের রোহিঙ্গা সমস্যা এখন আর মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ সমস্যা নয়। ইতিমধ্যে মিয়ানমারের রোহিঙ্গা সমস্যা বাংলাদেশের জন্য গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছে। যা আগামীতে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক, সামাজিক, রাজনৈতিক তথা এক সুদূপ্রসারী সীমান্ত সমস্যা সৃষ্টি করতে যাচ্ছে। রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে বাংলাদেশ যদি আন্তর্জাতিক মুরব্বিদের নিয়ে এখনই ইতিবাচক পদক্ষেপ গ্রহণ না করে তাহলে সংকট ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধি পেতে থাকবে এতে কোনো সন্দেহ নেই।
এখানে আরেকটি বিষয় মনে রাখা দরকার আর তা হল মিয়ানমারে স্বাধীন আরাকান রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার জন্য বিভিন্ন দল ও গোষ্ঠী কাজ করছে, এর প্রভাব বাংলাদেশে কতখানি পরবে তা ভেবে দেখার প্রয়োজন আছে। সাম্প্রতিক সময়ে অনেক রোহিঙ্গা মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসছে কিন্তু চিন্তার বিষয় হচ্ছে এই যে, উক্ত জনস্রোতের মাঝে বেশির ভাগই হচ্ছে নারী, শিশু ও বয়স্ক মানুষজন। তাহলে বেশির ভাগ রোহিঙ্গা পুরুষ ও যুবকরা মিয়ানমারে রয়ে গিয়েছে। হয় তারা মারা গিয়েছে অথবা তারা প্রতিশোধের নেশায় স্বাধীন আরাকান রাষ্ট্র পাওয়ার লড়াইয়ে বিদ্রোহীদের সাথে যুক্ত হয়েছে। এছাড়া সাম্প্রতিক সময়ে যে জনস্রোত বাংলাদেশে এসেছে তার মাঝে কোন বিদ্রোহী বা স্বাধীনতাকামী ঢুকে পরেছে কিনা তা ভাবতে হবে। বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তার ক্ষেত্রে রোহিঙ্গাদের ভূমিকা কি পরিমাণ হুমকির সৃষ্টি করছে তা অত্যন্ত চিন্তার বিষয়। তারপরও মানবিক দিক চিন্তা করে রোহিঙ্গাদের সাথে নমনীয় আচরণ কড়া হচ্ছে। তবে এটাও মনে রাখা দরকার এই রোহিঙ্গারা বাংলাদেশে নানা ধরনের সমস্যা তৈরি করতে পারে যেমন;
১। দেশের আইন শৃঙ্খলার অবনতি ঘটাতে পারে।
২। দেশের অর্থনৈতির উপর চাপ বাড়তে পারে।
৩। দেশের ভোটের রাজনীতির ক্ষেত্রে নেতিবাচক প্রভাব পরতে পারে।
৪। বিদ্রোহীরা এ দেশের মাটি ব্যবহার করে মিয়ানমারে নাশকতা চালাতে পারে।
৫। বেকার সমস্যা দেখা দিতে পারে।
৬। জনগনের স্বাস্থ্যর উপর নেতিবাচক প্রভাব পরতে পারে।
৭। পরিবেশ ও প্রকতির উপর নেতিবাচক প্রভাব পরতে পারে।
৮। প্রয়োজনীয় জিনিষ পত্রের দাম বৃদ্ধি পেতে পারে।
৯। অবৈধ ভাবে বিদেশ যাত্রার প্রবণতা দেখা দিতে পারে।
১০। সামাজিক বিশৃঙ্খলা দেখা দিতে পারে।
১১। তাদের অবস্থান নিয়ে আঞ্চলিক, স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক রাজনীতির উপর নেতিবাচক প্রভাব পরতে পারে।
১২। দেশের সার্বিক অবস্থার উপর নেতিবাচক প্রভাব পরতে পারে।
বাংলাদেশ নিজেদের অর্থনৈতিক, সামাজিক, রাজনৈতিক ও অন্যান্য কারনে শরণার্থী এবং রাষ্ট্রবিহীন ব্যক্তিদের মর্যাদা সংক্রান্ত কনভেনশন ও প্রটোকলে স্বাক্ষর করেনি। অর্থাৎ বাংলাদেশ চাইলে অন্য রাষ্ট্র থেকে আগত শরণার্থী এবং রাষ্ট্রবিহীন ব্যক্তিদের নিজেদের ভুমিতে আশ্রয় দিতে বাধ্য নয়। কিন্তু দেখা যাচ্ছে মানবিক কারনে রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশ আশ্রয় দিয়েছে। যেহেতু প্রায় ১০ লক্ষ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে অবস্থান করছে তাই রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে যা যা করণীয় হতে পারে:
যেসব রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আছে, তাদের তালিকা তৈরী করা ও কড়া নজরদারীর ব্যবস্থা করা। রোহিঙ্গা নীতিমালা প্রণয়ন করা; যার মাধ্যমে উদ্বাস্তু রোহিঙ্গাদের কি কি সুবিধা বাংলাদেশ সরকার প্রদান করবে, রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশে থাকতে হলে কি কি বিধিমালা মেনে চলতে হবে, তার উল্লেখ থাকবে।
যেসব রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আছে, তাদের পর্যায়ক্রমে আর্ন্তজাতিক সম্প্রদায় ও সংগঠনের সহায়তায় মায়ানমারে ফেরত পাঠানোর ব্যবস্থা করা। এছাড়া, রোহিঙ্গাদের তৃতীয় কোন দেশে প্রেরণের বিষয়ে প্রচেষ্টা চালানো।
আর্ন্তজাতিক ও স্থানীয়ভাবে মায়ানমার সরকারের উপর চাপ সৃষ্টি করা, যাতে মায়ানমার সরকার রোহিঙ্গাদের নাগরিক হিসেবে স্বীকার করে এবং আরাকানের উত্তরাঞ্চলে স্বায়ত্বশাসন দেয়।
সেই কার্যকরী পরিষদের মাধ্যমে আর্ন্তজাতিক মঞ্চে রোহিঙ্গাদের শক্তিশালী প্রতিনিধিত্ব সৃষ্টি করা।
রোহিঙ্গাদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও প্রাথমিক চাহিদাপূরণে প্রয়োজনীয় উপকরণ সংগ্রহে ও তার ব্যবস্থাপনায় জাতিসংঘের সাথে একযোগে কাজ করার উদ্যোগ গ্রহণ করা।
রোহিঙ্গারা যেখানে আশ্রয় নিয়েছে সেখানে স্থানীয় বাজারে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্বের সরবরাহ নিশ্ছিত করা যাতে দ্রব্য এর দাম সহনীয় পর্যায় থাকে।
পরিবেশ ধ্বংস করে রোহিঙ্গারা যেন আবাসস্থল নির্মাণ করতে না পারে শেই বিষয়ে নজরদারি বৃদ্ধি করা।
কোন বাংলাদেশিকে বিয়ে করে নাগরিকত্ত যেন না নিতে পারে সেই বিষয়ে স্থানীয় প্রশাসনকে সজাগ থাকতে হবে।
সারা দেশে যাতে রোহিঙ্গারা ছড়িয়ে পরতে না পারে এবং পাসপোর্ট বানিয়ে অন্য দেশে না যেতে পারে সে জন্য আইন শৃঙ্খলা বাহিনীকে তৎপর থাকতে হবে।
রোহিঙ্গা জনগোষ্টির মাঝে মুসলমান জঙ্গিবাদ যাতে প্রসার লাভ না করতে পারে, তার জন্য কর্মসূচী হাতে নেয়া।
আর্ন্তজাতিক মানবাধিকার আদালতে মায়ানমার সরকারের বিরুদ্ধে প্রমাণসহ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ।
বিশ্বে জনমত সৃষ্টির জন্য উদ্যোগ গ্রহণ করা ও কর্মসূচী হাতে নেয়া।
আর্ন্তজাতিক সম্প্রদায় ও সংগঠনগুলোকে প্রভাবিত করা যাতে আর্ন্তজাতিক সম্প্রদায় ও সংগঠনগুলো মায়ানমার সরকারকে রোহিঙ্গা ইস্যুতে চাপ সৃষ্টি করে।
রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে মায়ানমার যাতে বাধ্য হয়, সেজন্য প্রচলিত বৈধ পন্থায় আর্ন্তজাতিক আইন মেনে সামরিক-বেসামরিক আন্দোলন চালিয়ে যাওয়া।
মায়ানমারের উপর চাপ সৃষ্টি করা, যাতে করে, মায়ানমার সরকার রোহিঙ্গাদের পূর্ণাঙ্গ নাগরিকত্ব প্রদান করে।
আরাকানের উত্তরাঞ্চলে রোহিঙ্গাদের জন্য স্বায়ত্বশাসিত অঞ্চলের ব্যবস্থা করা।
রোহিঙ্গা উদ্বাস্তুদের মায়ানমারে ফেরত পাঠানোর ব্যবস্থা করা।
পরিশেষে বলা যায় রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেবার পাশাপাশি বাংলাদেশের নিজেদের নিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় আন্তর্জাতিক স্তরে নিপুন রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক দক্ষতার পরিচয় দিতে হবে তাহলেই বিদ্যমান সমস্যার সমাধান কিছুটা হলেও সম্ভব।
ড. মোঃ নায়ীম আলীমুল হায়দার, সহকারী অধ্যাপক ও বিভাগীয় প্রধান, আইন বিভাগ, কক্সবাজার ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।