আর তাঁদের উত্তরসূরীদের ভুলের কারণ এবং কিছু অজানা কথা
মো: আকতার হোছাইন কুতুবী ॥
রোহিঙ্গা মুসলমানদের উপর বর্বরোচিত হত্যাকান্ড সুচির হবে শেষ পরিণতি, ইতোমধ্যে নোবেল স্থগিতের আবেদন ও আন্তর্জাতিক আদালতে তার বিরুদ্ধে মামলা চলমান। মানবতাবাদীরা তার ও তার অনুসারী খুনীদের এমন বিচার দেখতে চায় যাতে সারা পৃথিবীর মানুষ নামধারী পাষন্ডরা সেখান থেকে শিক্ষা নিয়ে উদাহরণ হিসেবে রেখে দিতে পারে ও নির্বিচারে এ ধরনের জঘন্য এবং অমানবিক ঘটনা জন্ম দিতে সাহস যেন আর না করে।
আমার মনে হচ্ছে, মায়ানমারে একজন রোহিঙ্গা থাকা পর্যন্ত সুচি সরকার হত্যাযজ্ঞ বন্ধ করবেনা। রাখাইন রাজ্যে কোন দেশের কোন প্রতিনিধিকে ঢুকতে দেয়া হচ্ছেনা, এমনকি সেদেশের কোন সাংবাদিকেও ঢুকতে নিষেধ। আমেরিকার প্রতিনিধিকে সম্প্রতি ঢুকতে দেয়া হয়নি, আবার রাশিয়া মায়ানমারকে সমর্থন দিয়েছে। এসবকি বিশ্ব-রাজনীতির অংশ না ষড়যন্ত্র? মায়ানমারের এই একগুঁয়েমির কারণে বিশ্বের জঙ্গিবাদী সংগঠনগুলো রোহিঙ্গাদের পক্ষ নিয়ে লড়াই করার প্রস্তুতিকেও একেবারে উড়িয়ে দেয়া যায়না।
এদিকে পৃথিবীর যেসব দেশ এখন রোহিঙ্গাদের পক্ষে কথা বলছে, তারা যদি মায়ানমারকে প্রকাশ্যে আক্রমণ নাও করে, গোপনে ঐ জেহাদি-জঙ্গিবাদী সংগঠনগুলোকে সহায়তা করার বিপুল সম্ভাবনা আশঙ্কা করা যায়। শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশ জঙ্গিবাদীদের একটা ওপেন স্বর্গরাজ্যে পরিণত হয়ে উঠে কিনা? পৃথিবীর বড় বড় ধনী রাষ্ট্রগুলোর মদদেই জঙ্গিবাদীরা টিকে থাকে এবং তাদের স্বার্থের হাতিয়ার হিসেবে জঙ্গিবাদকে কাজে লাগানোর জন্য।
“মানুষ এবং মানবতা” এহচ্ছে বাহ্যিক স্টেনগান মাত্র। সবাই তলে তলে যার যার স্বার্থ নিয়ে চলে। গত ক’দিন ধরে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্র প্রধান থেকে শুরু করে অনেক জ্ঞানী-গুণির কথার ভিতরে যে রহস্য রেখে বক্তব্য দিচ্ছেন, তাতে সুস্পষ্টভাবেই বুঝা যায়, “মুসলিম রোহিঙ্গারা এখন বিশ্ব-রাজনীতির শিকার” রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী পৃথিবীর অনেকের জন্যই তেমন কোন গুরুত্বপূর্ণ মানুষ-ই না, সময়ের কারণে এরা এখন বিশ্ব-রাজনীতির হাতিয়ারে পরিণত হয়ে গেছে। বাংলাদেশকে এখন কঠিন মনযোগের সাথে বিষয়টি দেখতে হবে। এই জগতে যাঁরা একটু চিন্তাশীল মানুষ, দুঃখ-কষ্ট, জ্বালা-যন্ত্রণা তাঁদের একটু বেশি। তাঁর চিন্তাশক্তি তাঁকে জগতের এমনকিছু বিষয় নিয়ে ভাবায়, যা সর্বসাধারণ ভাবতে পারেনা। আত্মজ্ঞানহীন নির্বোধের তেমন কোন চিন্তাভাবনা নাই, দুঃখ-কষ্টও নাই। মাঠে যখন কোরবানির একটা গরু জবাই হয়, অন্য গরুকে তখনো ঘাস খেতে দেখা যায়। একটু পরেই যে তাকেও জবাই করা হবে, অপর গরু তা বুঝেনা। এ লেখাটি মূলত লিখছি প্রচলিত মিথ্যা ও বিকৃত ধর্মের লেবাস খুলে মানুষের গায়ে আত্মজ্ঞানের একটা লেবাস পরিয়ে দিতে, যা সার্বিক ও বিশ্বজনীন সত্য দিয়ে পরিবেষ্টিত। কিন্তু চারিপাশের পারিপার্শ্বিক অবস্থাটা হিংস্রতা ও নিষ্ঠুরতা দিয়ে এমনভাবে ঘিরে ফেলা হয়েছে যে, আমি এখন মানুষের দুঃখ-দুর্দশাকে পাশ কাটিয়ে কোন কিছুই ভাবতে পারছিনা। মানুষ ও মানবতার চরম বিপর্যয়ে আমার বিবেকবুদ্ধি ক্ষত-বিক্ষত হচ্ছে অনবরত। এজন্যই বোধহয় পবিত্র কোরআনে বলেছে – “কোন নিরপরাধ মানুষকে হত্যাকরা, সমস্ত সৃষ্টিকে হত্যা করার শামিল।” আসলে হত্যাযজ্ঞ জগতের সমস্ত চিন্তাশীল মানুষের বিবেকবুদ্ধিকে অচল করে দেয়, মানুষের মগজে নবজ্ঞান আসেনা, জগত থেমে যায়। জগতের একজন প্রভু হিসেবে আল্লাহ্র কাছে এটা অত্যন্ত বিব্রতকর অবস্থা যে, তাঁর বান্দারা নিজেদের ইচ্ছা ও স্বাধীনতাকে প্রতিষ্ঠিত করতে গিয়ে মানুষ ও মানবতার বুকে অবলীলায় ছুরি চালায়। যেহেতু তিনি – “এই আসমান ও জমিন এবং এ দুইয়ের মধ্যবর্তী সবকিছু মানুষের অধীনে ন্যস্ত করে দিয়েছেন” (লোকমান-২০) তাই তিনি একটা নিদিষ্ট সময়ের আগপর্যন্ত মানুষের ইচ্ছা- স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করবেন না, তিনি একটা নিদিষ্ট সময় পর্যন্ত মানুষকে দয়া ও অবকাশ দিয়ে থাকেন- এটা তাঁর ওয়াদা। আমরা যেহেতু ত্বরাপ্রবণ, তাৎক্ষণিক ফল প্রত্যাশী, তাই আমাদের সহ্য হয়না। সময়ের আঘাতে সবকিছুরই সামঞ্জস্য হবে, তিনিই সময়, তিনিই কাল, আমরা যদি সময়কে বুঝতে পারতাম, তাহলে তাঁকেও বুঝতে পারতাম, মনকে সান্ত¦না দেয়ার ভাষা খুঁজে পাইনা। করতে হবে, তা নাহলে আমরাও বিশ্ব-রাজনীতির খপ্পরে পরতে পারি- যদি আমাদের এখানে কোন মানবিক বিপর্যয় সৃষ্টি হয়ে যায়। আমার লিখায় কে কি মনে করবেন জানিনা, আমি একজন নাগরিক হিসেবে আমাদের জাতির ভবিষ্যৎ নিরাপত্তা নিয়ে চিন্তিত। আমি চাইনা অস্ত্রদাতা হওয়ার কারণে আমার দেশের কোন নাগরিক কারো হিংসার পাত্রে পরিণত হোক। মায়ানমারের সরকারি পশুদেরকে আমাদের বিরুদ্ধে খেঁপানোর লোক আছে বলেই আমার এই আশংকা। এই জগতে বহু মানুষ আছে যারা কোন ‘রূককথা’ বা ‘আপেক্ষিক কথা’ বুঝেনা। সৃষ্টিগত কারণেই হউক, আর জ্ঞান-সাধনার অভাবেই হউক, ওদের মন-মগজে অতীন্দ্রিয় বা রহস্যাবৃত চিন্তাভাবনার ঊদয় হয়না। এরা দেশ-কাল বা স্থানীয় চিন্তার ঊর্ধ্বে উঠে নিজেকে অদেশ-অকালে প্রতিস্থাপন করতে পারেনা। ফলে যে সমস্যাটি হয় তা হলো, ঐ মানুষগুলো নিজেদের ভাষায় বর্ণিত অনেক কথাই বুঝতে সক্ষম হয়না, নাবুঝে বেফাঁস মন্তব্য করে। মানব চরিত্রের এই মারাত্মক সমস্যাটি কাটিয়ে উঠার লক্ষ্যে স্বয়ং আল্লাহ সরাসরি তাঁর কোরআনে এ বিষয়টি উপস্থাপন করেছেন। আরবরা যখন আরবি ভাষায় নাজেলকৃত কোরআনের বিভিন্ন আয়াত সম্পর্কে উল্টাপাল্টা মন্তব্য করতে শুরু করলো, কোরআন জানালো- “তিনিই তোমাদের কাছে কিতাব নাজেল করেছেন, যার কতক আয়াত সুস্পষ্ট (মুহকামাত) বা দ্ব্যর্থহীন, উহাই কিতাবের মূলভিত্তি, আর কতক আয়াত আছে রূপ (মুতাশাবিহাত) বা দৃষ্টান্তমূলক, যাদের অন্তরে বক্রতা আছে মূলতঃ তারাই অশান্তি সৃষ্টির লক্ষ্যে ও ভুল ব্যাখ্যার উদ্দেশ্যে রূপকথার অনুস্মরণ করে। বস্তুতঃ জ্ঞানী লোকেরাই তা বুঝতে পারে” (ইমরান-৭)।
গণমাধ্যমে যেসব কথা লিখি অনেক কথাই সুস্পষ্ট কথা আবার কিছু আছে রূপক। এই রূপক কথাগুলোকেই আমি বিজ্ঞানী আইনষ্টাইনের ভাষায় বলছি আপেক্ষিক কথা। এটা এইজন্য যে, বর্তমান পৃথিবী আইনিষ্টাইনীয় জ্ঞানের ঢেউয়ে দুলছে, সমস্ত ধর্ম ও বর্ণের লোকেরা ইচ্ছায় অথবা অনিচ্ছায় তা থেকে ফায়দা লুটছে, যা নিয়ে পরবর্তীতে বহুল আলোচনা হবে। যাইহোক, যেকোনো লেখা পড়লে সর্বাগ্রে বুঝতে হবে ঐ লেখার মূল ভাবধারা বা মূলভিত্তিটা কি ? অনেকেই তা না বুঝে রূপক একটা কথার উপরে বেফাঁস মন্তব্য করে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করে – এটা ঠিক নয়। কেউ যদি সুস্পষ্টকথা ও রূপকথার মধ্যে পার্থক্য করতে না বুঝেন, এই ক্ষেত্রে চুপ থাকাই জ্ঞানের পরিচয়। বেফাঁস মন্তব্য করলে আপনিযে একটা বেয়াকুফ তা অন্য লোকের কাছে প্রমাণ হয়ে যায়। নিজেকে যদি সময়ের গতির সাথে তালমিলিয়ে এগিয়ে নিতে চান, তাহলে আরেকটু গভীর চিন্তাশীল হতে হবে। রোহিঙ্গরা আজ কেন মার খাচ্ছে জানেন? তারা সময়কে চিনতে পারেনি, সময়ের গতির সাথে তালমিলিয়ে চলতে শিখেনি, কালের আহ্বানে হৃদয়ের দরজা মেলে ধরতে বুঝেনি, গোটা মুসলমান জাতি আজ এই অভিশাপে অভিশপ্ত। এখান কিছু উদাহরণ দিচ্ছি, এ কারণে মায়ানমারের জাতিগত নিধন আর নারকীয় নির্যাতনের শিকার লাখ লাখ রোহিঙ্গা মুসলিম স্রোতের মতো ধেয়ে আসছে বাংলাদেশে। আশ্রয় নিচ্ছে সীমান্ত উপজেলা উখিয়া-টেকনাফ এলাকায়।
বাংলাদেশের সর্বস্তরের হৃদয়বান মানুষরা মানবতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছে তাদের দিকে। বিশ্বের অনেক মানবতাবাদী দেশও দাঁড়িয়েছে মুসলিম রোহিঙ্গাদের পাশে। তাদের কষ্ট আমাদের মনমন্দিরে স্পর্শ করছে, কাঁদছে মানবতাভরা হৃদয়টি। তবে রোহিঙ্গাদের আজকের এই চরম দুর্দশার জন্য দায়ী মূলত তাদের উত্তরসূরীরা। তাদের করা ইতিহাসের তিনটি ভয়াবহ ভুল রোহিঙ্গাদের এই প্রজন্মকে ঠেলে
প্রথম ভুল, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় মায়ানমারের জনসমর্থন ব্রিটিশদের প্রতি থাকলেও রোহিঙ্গারা সমর্থন করে বসেছিল জাপানকে। যুদ্ধে বিজয়ী হয়েছিল জাপান। তবে জাপান মায়ানমার ছেড়ে চলে যাওয়ার পর রোহিঙ্গারা হয়ে পড়ে একঘরে। তারপর থেকেই দেখা দেয় মায়ানমার-রোহিঙ্গা দ্বন্দ্ব। এক সময় মায়ানমারের ভূ-খ- দখল করে নেয় ব্রিটিশরা। পরে তারা সেখানকার ১৩৯টি জাতিগোষ্ঠীর তালিকা তৈরি করে। তবে দুর্ভাগ্যজনকভাবে সেই তালিকায় স্থান পেতে ব্যর্থ হয় মুসলিম রোহিঙ্গারা। দ্বিতীয় ভুল, ১৯৪৭ সালে (স্বাধীনতা অর্জনের এক বছর আগে) রোহিঙ্গাদের মায়ানমারে অন্তর্ভুক্ত হওয়ার জন্য বলা হয়েছিল। কিন্তু তারা তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের (বাংলাদেশ) সঙ্গে যুক্ত থাকার কথা জানায়। পরের বছর ১৯৪৮ সালের ৪ জানুয়ারি স্বাধীনতা অর্জনের মাধ্যমে বহুদলীয় গণতন্ত্রের পথে যাত্রা শুরু করে মায়ানমার। সে সময় সংসদে রোহিঙ্গাদের প্রতিনিধিত্ব ছিল। রোহিঙ্গারা পদস্থ সরকারি দায়িত্বও পালন করতেন। তবে পরে পাকিস্তানের তৎকালীন গভর্নর জেনারেল কায়েদে আযম মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ রোহিঙ্গাদের পাকিস্তানে অন্তর্ভুক্তির প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেন। বলা বাহুল্য, সেদিন জিন্নাহ যদি রোহিঙ্গাদের পাকিস্তানে অন্তর্ভুক্ত করতেন তাহলে আজ হয়তো আরকান রাজ্যটি বাংলাদেশেরই হতো। কিংবা নতুবা আরেকটি ‘কাশ্মীর’ হতে পারতো। রোহিঙ্গাদের দেশ বিভক্ত হওয়ার ওই সিদ্ধান্তই ছিল ইতিহাসে সবচেয়ে বড় ভুল। যার খেসারতই দিতে হচ্ছে ধুঁকে ধুঁকে মায়ানমারের মুসলিম রোহিঙ্গাদেরকে।
এমন পরিস্থিতিতে ১৯৬২ সালে জেনারেল নে উইন সামরিক অভ্যুত্থান ঘটিয়ে মায়ানমারের রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করলে দেশটির যাত্রাপথ ভিন্ন খাতে প্রবাহিত হতে শুরু করে। রোহিঙ্গাদের কপালে নেমে আসে অমাবশ্যার ঘোর অন্ধকার। তাদের নাগরিকত্ব বাতিল করে ভোটাধিকার কেড়ে নেয়া হয়। নাগরিক অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হয়। এরপর থেকেই মায়ানমার সরকার রোহিঙ্গাদের তাদের দেশের লোক হিসাবে অস্বীকার করতে লাগলো। বিশ্ব দরবারে রোহিঙ্গাদের মায়ানমারের ‘বহিরাগত’ হিসেবে প্রতিষ্ঠা করা হয়। মায়ানমারের মূল ভূখ-ের অনেকের কাছেই রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী ‘কালা’ নামে পরিচিত। এ পরিচয়ে প্রকাশ পায় সীমাহীন ঘৃণা। তৃতীয় ভুলটি করেছিল তাদের পূর্বপুরুষরা সেটি হল, ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধে যখন পাক হানাদার বাহিনী নিরস্ত্র বাঙালিদের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়লো ঠিক সে সময়েই রোহিঙ্গারা করে বসলো আরেকটি ঐতিহাসিক ভুল। রোহিঙ্গারা সমর্থন করে বসলো পাকিস্তানীদেরকে। এর মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের সহানুভূতিও হারিয়ে ফেললো। রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মধ্যদিয়ে বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর রোহিঙ্গারা একূল অকূল দু’কূলই হারায়। ইতিহাসের ঘূর্ণিপাকে দু’কূল হারিয়ে অথৈ সাগরে ভাসতে লাগলো রোহিঙ্গারা। মায়ানমার মানুষের কাছে তারা অবিশ্বাস্য হয়ে পড়লো। আধুনিক বিশ্বে লোকচক্ষুর অন্তরালে থেকে গেছে পশ্চাৎপদ এই জাতিগোষ্ঠী। শিক্ষা, চিকিৎসা, বাসস্থানসুবিধা থেকে বঞ্চিত হয়ে ধুঁকে ধুঁকে বাঁচে তারা। যার কারণে রোহিঙ্গাদের মধ্যে অশিক্ষিতের হার সবচে বেশি। অনেকেই এখনো অনেক কিছুই জানেন না। মায়ানমারের ১৪ লাখ রোহিঙ্গার প্রায় ৭ লাখই এখন বাংলাদেশে। যা কক্সবাজার, উখিয়া এলাকার জনসংখ্যার চেয়ে বেশি। বাকিরা মায়ানমার, সৌদি, লন্ডন, কানাডা, মালয়েশিয়াসহ বিশ্বের বিভিন্ন রাষ্ট্রে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে। ইতিহাসের সেই নদী পার হয়ে এভাবেই ভাসতে ভাসতে রোহিঙ্গারা আজ বাংলাদেশের শরণার্থী। ভাগ্যের কি নির্মম পরিহাস, যে বাংলাদেশ জন্মের বিরুদ্ধে ছিল ওরা; আজ সেই বাংলাদেশই বেঁচে থাকার শেষ আশ্রয়স্থল থেকে শুরু করে বলতে গেলে বাংলাদেশের নাগরিকদের চেয়ে অনেক বেশি সুযোগ-সুবিধা ভোগ করছেন। তাদের দুঃখের সারথী হয়ে বাংলাদেশের অনেক হৃদয়বান মানুষ আজ খাবার-দাবার থেকে শুরু করে নিত্যপ্রয়োজনীয় সবকিছু দিয়ে যাচ্ছেন অনায়াসে।
লেখক পরিচিতি : মো: আকতার হোছাইন কুতুবী, সহ-সম্পাদক জাতীয় দৈনিক আমার কাগজ, দি গুড মর্নি ও প্রধান সম্পাদক-জাতীয় ম্যাগাজিন জনতার কণ্ঠ এবং উপদেষ্টা সম্পাদক জাতীয় ম্যাগাজিন জাতির আলো, ঢাকা। মোবাইল : ০১৮২২৮৫৮৪০০, ০১৭১২১৮০২৬৩। ই-মেইল: akterkutubinews@gmail.com
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।