-Siraji M R Mostak
Is it offense talking Bengali language? Aren’t Bengalis a human being? The minor ethnic of Myanmar Rohingyas speak in Bengali. So Myanmar government and state authorities refer to them as Bengali. They are immigrants fleeing from Bangladesh, illegal inhabitants, intruders and hated Bengali nation. Bangladesh is their native land; not Myanmar, Rakhine or Arakan. For this offense, the worst assassinations and oppressions of the history is being coerced to Rohingyas. But from ancient times, they have been living in Arakan independently. They have been being lived no less time than the Myanmar’s Magh community. Please follow the link-(https://www.hrw.org/reports/2000/burma/burm005-01.htm). Since then Rohingyas are talking Bengali. Though their language pattern is illegible to us, they are purely Bengali natives. In Bangladesh, there are also different Bengali language pattern in different areas. It is obvious that Rohingyas are Bengali. The document of the oldest sample of Bengali literature Charyapada was acquired from Arakan in 1907. Syed Alawol and so many Bengal laureate were lived in Arakan. So Rohingyas were used to Bengali language from ancient times. They are not merely Muslim; there are people of almost all religions including Hindus, Christians and Buddhists. Whatever religions, their language is Bengali. Such as there are ninety percent inhabitants of Bangladesh are Muslims but there are people of all religions. That is, the religions are their own but Bengali is common for all. Through this language, International Mother Language Day been introduced in the world. Bengali nation has been recognized worldwide. Bangabandhu Sheikh Mujibur Rahman is the father of this Bengali Nation. The Rohingya took Bengali as their mother tongue. For this reason, Myanmar junta is carrying out the worst massacre on the Rohingyas. They are not killing not only Rohingyas, they are eradicating Bengali notion. They are trying to cleanse the Bengali community. As a result, about one million Bengali refugees have taken shelter at camps in Bangladesh and they are living in awful inhuman life. The offense, they are Bengali.
Rohingyas are Bengali, so what have they to drive away and to execute the worst genocide on them? While Arakan is their home from many ancestors. They have been living there from ancient times. Then they were also members of governing bodies with Magh Buddhists. A documentary link- (http://www.newmandala.org/the-rohingya-and-national-identities-in-burma/). For a long time there has been military rule or dictatorship. Rohingyas have been cornered to it. So Junta authority is annihilating Rohingyas easily from their home forever by raising a slang of Bengali. They have no image that in all parts of the this world, there are so many people are using Bengali. So as, Bengalees are majority in Kolkata and Senegal. So as to Myanmar, are they driven pushback to Bangladesh? And are they refer to Bengalee, fled from Bangladesh, intruders and illegal immigrants?
If the Father of the Bengali Nation Bangabandhu Sheikh Mujibur Rahman were alive today, the junta slayers could not commit such brutality to Rohingyas. The father of the Bengali nation would have taken extreme revenge on them and attacked Arakan with support of world communities. At present, He might have also invaded Bengali majority Kolkata province of India, for unspeakable non-cooperation by their government. The recent manner of India seems a forewarning for the Bengali community of Kolkata. After Myanmar, India may push Bengalis back to Bangladesh. It was quite impossible, if the Father of the Nation alive. He would give his nation a secured state. For example, his most elite successor, Shaheed Ziaur Rahman, confirmed all rights to Rohingas in 1978 from Myanmar government. After his martyred, the junta of Myanmar has been started torture on Rohingyas since 1982. Bangladesh has lost the worthy successor of Bangabandhu. As a result, the Myanmar junta is getting away after committing the worst crimes.
Honorable Prime Minister Sheikh Hasina was very silent about Rohingya anguishes even then. After the death of thousands of Rohingyas, she visited the camp on 12 September, despite of her absolute unwillingness. She visited only to draw the attention of the world, to control huge resources of reliefs and to be the winner of special prizes. She took Rohingyas as Muslim ethnicity not Bengali community. So despite seeing the horrendous genocide on them, without threatening Myanmar’s brutal government, she kindly requested them to return Rohingyas back. Thus, the vicious junta is now more desperate. They are annihilating Rohingyas ceaselessly with declaring Bengalee.
Since Rohingyas are Bengali, we Bangladeshi have responsibilities to them. We should support them morally with confirm of our sovereignty, security and Bengal community. Immediately, we should conquer Arakan, where Bengalis are oppressed. If necessary, Kolkata also should be acquired to sustain Bengali traditions in the world. So, firstly we should invade Arakan with support of world humanity to Rohingya. We have to prove that Rohingyas are not merely Muslim; they are Bengali with permanent residents of Arakan. They can use Bengali language. Bengali is an international language. This will be included to one of the official languages of the United Nations. People of any part of the world can practice this language now. So what they will not refer to illegal immigrants fleeing from Bangladesh. An exemplary punishment to be affirmed against Myanmar Junta for committing regrettable activities to Rohingya people for talking Bengali. Aung San Suu Kyi and her military junta will be accused of crimes against humanity. They have not only been abusive with the Rohingyas, have dishonored the Bengali language and have tried to eradicate Bengali nationalism.
Pupil to be Advocate, Dhaka.
mrmostak786@gmail.com.
—————————–
রোহিঙ্গাদের অপরাধ, তারা বাঙ্গালি
-সিরাজী এম আর মোস্তাক
বাংলা ভাষায় কথা বলা কি অপরাধ? বাঙ্গালি জাতি কি মানবজাতির অংশ নয়? মায়ানমারের সংখ্যালঘু রোহিঙ্গা সম্প্রদায় বাংলা ভাষায় কথা বলে। এজন্য মায়ানমারের সামরিক জান্তার অভিযোগ, রোহিঙ্গারা বাঙ্গালি। তারা বাংলাদেশ থেকে পালিয়ে আসা অবৈধ অভিবাসী, অনুপ্রবেশকারী ও ঘৃণিত বাঙ্গালি জাতি। বাংলাদেশই তাদের আবাসভূমি, মায়ানমার বা আরাকান নয়। রোহিঙ্গারা সুস্পষ্ট বাঙ্গালি, এ অপরাধে তাদের প্রতি সর্বকালের সর্বনিকৃষ্ট বর্বরতা চলছে। অথচ প্রাচীনকাল থেকেই তারা আরাকানে স্বাধীনভাবে বাস করে আসছে। মায়ানমারের মগদের তুলনায় রোহিঙ্গাদের আবাসন মোটেও কম সময়ের নয়। প্রাসঙ্গিক লিংক-(যঃঃঢ়ং://িি.িযৎ.িড়ৎম/ৎবঢ়ড়ৎঃং/২০০০/নঁৎসধ/নঁৎস০০৫-০১.যঃস)। প্রাচীন আমল থেকেই তারা বাংলায় কথা বলছে। বাংলা সাহিত্যের প্রাচীন নিদর্শন চর্যাপদ ১৯০৭ সালে আরাকান থেকেই উদ্ধার হয়েছে। সৈয়দ আলাওলসহ বাংলা সাহিত্যের বহু লেখকের আবাসভূমি আরাকান। তাই রোহিঙ্গাদের ভাষাগত রূপ ভিন্ন হলেও তারা বাংলাতেই কথা বলে। যেমন, বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলের ভাষা হুবহু এক নয়। রোহিঙ্গারা শুধু মুসলিম নয়, তাদের মধ্যে হিন্দু, খ্রীষ্টান ও বৌদ্ধসহ সব ধর্মের মানুষই রয়েছে। ধর্ম যাই হোক, তাদের ভাষা বাংলা। তেমনি বাংলাদেশে নব্বই ভাগ মুসলিম হলেও সব ধর্মের মানুষই রয়েছে। অর্থাৎ ধর্ম যার যার, বাংলা ভাষা সবার। এ ভাষার জন্যই আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস চালু হয়েছে। বাঙ্গালি জাতি বিশ্বব্যাপী পরিচিত হয়েছে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এ বাঙ্গালি জাতির জনক। রোহিঙ্গারা বাংলাকে তাদের মাতৃভাষা করেছে। আর এ অভিযোগে মায়ানমারের সামরিক জান্তা রোহিঙ্গাদের ওপর নিকৃষ্ট গণহত্যাযজ্ঞ চালাচ্ছে। তারা নিছক রোহিঙ্গা নিধন করছেনা, তারা বাঙ্গালি হত্যা করছে। তারা বাঙ্গালি জাতিসত্ত্বা নির্মূল করছে। ফলে এখন প্রায় এক মিলিয়ন বাঙ্গালি উদ্বাস্তু হিসেবে বাংলাদেশের শরণার্থী শিবিরগুলোতে আশ্রয় নিয়েছে এবং অবর্ণনীয় মানবেতর জীবন যাপন করছে। তাদের একটাই অপরাধ, তারা বাঙ্গালি।
রোহিঙ্গারা বাঙ্গালি, তাই বলে কি তাদেরকে দেশ থেকে তাড়িয়ে দিতে হবে এবং জঘন্য গণহত্যা চালাতে হবে? আরাকান তো রোহিঙ্গাদেরই আবাসভূমি। প্রাচীন আমল থেকেই তারা সেখানে বসবাস করে আসছে। একসময় তারা মগদের সাথে শাসন ক্ষমতাও পরিচালনা করেছে। প্রাসঙ্গিক লিংক- (যঃঃঢ়://িি.িহবসিধহফধষধ.ড়ৎম/ঃযব-ৎড়যরহমুধ-ধহফ-হধঃরড়হধষ-রফবহঃরঃরবং-রহ-নঁৎসধ/)। দীর্ঘদিন যাবৎ সেনা বা স্বৈরশাসনের ফলে রোহিঙ্গারা এখন কোণঠাসা হয়ে পড়েছে। তাই মগের জান্তা সরকার নিছক বাঙ্গালি নিধনের ধুয়া তুলে রোহিঙ্গাদেরকে তাদের মুল্লুক থেকে তাড়িয়ে বাংলাদেশে পুশব্যাক করছে। অথচ পৃথিবীর বহু দেশে বাংলা ভাষাভাষী রয়েছে। ভারতের কলিকাতা ও সেনেগালে বাঙ্গালিদের একাধিপত্য রয়েছে। তাই বলে তারাও কি বাংলাদেশে পুশব্যাক হবে? তারাও কি বাংলাদেশ থেকে পলাতক বা অবৈধ অভিবাসী হিসেবে মুলোৎপাটিত হবে?
আজ বাঙ্গালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বেঁচে থাকলে, মায়ানমারের ঘাতকেরা রোহিঙ্গাদের প্রতি এমন নিষ্ঠুরতা চালাতে পারতো না। বাঙ্গালি জাতির জনক তাদের এ নিষ্ঠুর ও অমানবিক আচরণের চুড়ান্ত প্রতিশোধ নিতেন এবং বিশ্বসম্প্রদায়কে সাথে নিয়ে আরাকান দখল করতেন। ভারতের অনাকাঙ্খিত অসহযোগিতার জন্য বাংলাভাষা প্রভাবিত কলিকাতাও দখল করতেন। ভারতের বর্তমান আচরণ কলিকাতার বাঙ্গালিদের জন্য সতর্কবার্তা। মায়ানমারের পর ভারতও সেদেশের বাঙ্গালিদেরকে বাংলাদেশে পুশব্যাক করতে পারে। বাঙ্গালি জাতির জনক বেঁচে থাকলে তা অসম্ভব ছিল। তিনি তাঁর জাতিকে নিরাপদ রাষ্ট্র উপহার দিতেন। যেমন, তাঁর সবচেয়ে যোগ্যতম উত্তরসূরী শহীদ জিয়াউর রহমান ১৯৭৮ সালে রোহিঙ্গাদের সকল অধিকার ফিরে দিতে মায়ানমার সরকারকে বাধ্য করেছিলেন। তিনি শহীদ হবার পর অর্থাৎ ১৯৮২ সাল থেকেই মায়ানমারের সামরিক জান্তা রোহিঙ্গাদের ওপর আবার অত্যাচার শুরু করেছে। বাংলাদেশ হারিয়েছে বঙ্গবন্ধুর যোগ্য উত্তরসূরী। ফলে মায়ানমার জান্তা জঘন্য অপরাধ করেও পার পেয়ে যাচ্ছে।
আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী মহোদয় এতোদিনও নিরব ছিলেন। হাজার হাজার রোহিঙ্গার প্রাণহানির পর কেবলমাত্র বিশ্ববাসীর দৃষ্টি আকর্ষণ, বিশাল ত্রাণবহরের নিয়ন্ত্রণ ও বিশেষ পুরষ্কারের আশায় একেবারে অনিচ্ছা সত্তেও ১২ সেপ্টেম্বর রোহিঙ্গা পরিদর্শনে যান। তিনি রোহিঙ্গাদেরকে বাঙ্গালি নয়, সংখ্যালঘু মুসলিম বলেন। জঘন্য গণহত্যা প্রত্যক্ষ করেও তিনি মায়ানমার সরকারকে হুমকি না দিয়ে বরং রোহিঙ্গাদের ফিরে নেবার সবিনয় অনুরোধ জানান। এতে মায়ানমার সামরিক জান্তা আরেকদফা বেপরোয়া হয়ে ওঠে। রোহিঙ্গাদেরকে প্রকাশ্যে বাঙ্গালি ঘোষণা দিয়ে চিরতরে মুলোৎপাটন করছে।
যেহেতু রোহিঙ্গারা বাঙ্গালি, তাই তাদের প্রতি বাংলাদেশের দায়িত্ব ও কর্তব্য রয়েছে। আমাদের উচিত, বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব ও নিরাপত্তা অক্ষুন্ন রেখে তাদের নৈতিক সমর্থন করা। প্রয়োজনে আরাকান ও কলিকাতা দখল করে হলেও পৃথিবীতে বাংলা ভাষার স্থায়ীত্ব নিশ্চিত করা। মানবতাবিরোধী মায়ানমার জান্তাকে বাঙ্গালি নিপীড়ন বন্ধে বাধ্য করা। বাঙ্গালি হবার অপরাধে রোহিঙ্গাদের প্রতি অমানবিক আচরনের জন্য অং সান সুচি ও তাঁর সামরিক জান্তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করা। তারা শুধু রোহিঙ্গাদের প্রতি অমানবিক আচরন করেনি; বাংলা ভাষার অবমাননা করেছে এবং বাঙ্গালি জাতিসত্ত্বা নির্মূলের ষঢ়যন্ত্র করেছে। এজন্য আমাদেরকে প্রমাণ করতে হবে যে, রোহিঙ্গারা নিছক মুসলিম নয়; তারা বাঙ্গালি ও আরাকানের স্থায়ী বাসিন্দা। তারা বাংলা ভাষা ব্যবহার করতেই পারে। বাংলা একটি আন্তর্জাতিক ভাষা। এটি জাতিসংঘের অফিসিয়াল ভাষাভুক্ত হবে। পৃথিবীর সকল প্রান্তের মানুষ এ ভাষা কমবেশি চর্চা করবে। এটা কোনো অপরাধ নয়। এজন্য তারা বাংলাদেশ থেকে পালিয়ে যাওয়া অবৈধ অভিবাসী বিবেচিত হবেনা।
শিক্ষানবিশ আইনজীবি, ঢাকা।
mrmostak786@gmail.com.
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।