এম.জিয়াবুল হক,চকরিয়া :
চকরিয়া উপজেলায় সম্প্রতি সময়ে লোকালয়ে ঢুকে পড়ছে বিপুল পরিমাণ রোহিঙ্গা শরণার্থী। মিয়ানমারে নির্বিচারে হত্যাযঞ্জ শুরু হওয়ার পর সীমান্ত অতিক্রম করে বাংলাদেশে চলে আসা রোহিঙ্গাদের কিছু কিছু পরিবার বর্তমানে জেলার বিভিন্ন উপজেলায় আত্মীয় স্বজনের বাড়িতে আশ্রয় নিচ্ছে। অনুপ্রবেশ করা রোহিঙ্গারা ইতোপুর্বে অবস্থান নেয়া পুরনো রোহিঙ্গার সাথে মিশে যাচ্ছে। বর্তমানে ঢুকে পড়া বেশির ভাগ রোহিঙ্গা নারী-পুরুষ আশ্রয় নিচ্ছে পাহাড়ী এলাকায়।
স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা দাবি করছেন, দুই উপজেলার লোকালয়ে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ বাড়ার সাথে সাথে এলাকায় চুরি-ছিনতাইসহ অসামাজিক কার্যকলাপ বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এ অবস্থার কারনে জনমনে অস্থিরতা সৃষ্টি হতে পারে।
এদিতে গত ১১ সেপ্টেম্বর চকরিয়া উপজেলার ডুলাহাজারা ইউনিয়নের পাগলির বিল এলাকা থেকে ২৭জন রোহিঙ্গা নারী-পুরুষ ও শিশুকে আটক করে উখিয়ার কুতুপালং শরনার্থী ক্যাম্পে পুশব্যাক করেছে মালুমঘাট হাইওয়ে পুলিশের আইসি মো.রুহুল আমিন।
চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ সাহেদুল ইসলাম বলেন, স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে উপজেলা প্রশাসনের জরিপ মতে চকরিয়া উপজেলার ১৮টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভা এলাকায় পুরনো রোহিঙ্গা বসবাস করছেন প্রায় ৭হাজার। তবে সম্প্রতি সময়ে নতুন করে রোহিঙ্গা প্রবেশ করেছে কিনা তা আমার জানা নেই। তবে নতুন রোহিঙ্গা প্রবেশ করেছে কিনা তা খোঁজ নেয়া হচ্ছে।
জানা গেছে, চকরিয়া উপজেলার খুটাখালী, ডুলাহাজারা, ফাঁশিয়াখালী, কাকারা, লক্ষ্যারচর, কৈয়ারবিল, সুরাজপুর- মানিকপুর, বমুবিলছড়ি ইউনিয়নের পাহাড়ি বনভূমিতে বসতি তুলে আশ্রয় নেয়া পুরনো রোহিঙ্গাদের বাড়িতে নতুন রোহিঙ্গারা অবস্থান করছে। এছাড়াও চকরিয়া পৌরসভার মাতামুহুরী সেতু সংলগ্ন স্টেশন পাড়া, নামার চিরিঙ্গা, ভাঙ্গারমুখ এলাকায় পুরনো রোহিঙ্গার ভাড়া বাসায় আশ্রয় নিয়েছে শতাধিক রোহিঙ্গা। এছাড়া বিভিন্ন ইউনিয়নের লোকালয়েও ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ছে রোহিঙ্গারা।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।