আমান উল্লাহ আমান, টেকনাফ:

টেকনাফের বন্যপ্রাণী অভয়রান্যের জন্য সংরক্ষিত এলাকা ন্যাচার পার্ক ঘেষে দু’শতাধিক রোহিঙ্গা বসতি স্থাপন করেছে। স্থানীয় কিছু বাসিন্দারা মোটা অংকের বিনিময়ে ওই পার্কে বসতি গড়ে তুলতে সহায়তা করছে বলে অভিযোগ উঠেছে। ফলে পার্কটি মারাত্মক পরিবেশ ঝুঁকির পাশাপাশি জীবজন্তুর উপর প্রভাব ও বনজ সম্পদ ধ্বংস হওয়ার আশংকা করছেন সংশ্লিষ্টরা। ইতিমধ্যে যত্রতত্র মলমুত্রের কারনে নেচারপার্ক এলাকাটি দুর্গন্ধে চারদিকের পরিবেশ ভারী হয়ে উঠেছে। সামনে পর্যটন মৌসুম। বর্তমান সময়েও কিছু কিছু পর্যটক আসতে শুরু করেছে। পার্কের এমন নোংরা পরিবেশ দেখলে পর্যটকরা বিমুখ হওয়ার আশংকা রয়েছে। ফলে সরকার প্রচুর রাজস্ব বঞ্চিত হতে পারে বলে জানিয়েছেন ন্যাচার পার্ক বন পাহারাদলের সদস্যরা।

২৪ সেপ্টেম্বর রবিবার সকালে সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, প্রায় দুই শতাধিক ঘর নির্মান করে বসতি করছে মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গা পরিবার। এদের প্রত্যেক পরিবার থেকে ২ থেকে ৩ হাজার টাকা পর্যন্ত এককালীন ভাড়া দিয়ে ঘর নির্মান করেছে। নেচার পার্ক এলাকায় বসবাসকারী মোঃ হারুন জানান, প্রতিটি ঘর থেকে ২ হাজার টাকা থেকে ৩ হাজার টাকা পর্যন্ত এককালীন ভাড়া নিয়েছে। এছাড়া মাসিক ৫০০ টাকা হারে ধার্য করেছে। তবে তিনি কে টাকা নিয়েছে নাম বলতে পারেনি। দেখলে চিনবে বলে জানান।

এব্যাপারে টেকনাফ নেচার পার্ক পাহারা দলের সাধারন সম্পাদক কামাল উদ্দিন জানান, নেচার পার্ক সংলগ্ন রোহিঙ্গাদের বসতির ফলে মারাত্মক ধরনের বিপর্যয় আসতে পারে। রোহিঙ্গারা ইতিমধ্যে টেকনাফের বিভিন্ন পাহাড়ের বনের জঙ্গল, গাছ কেটে ধ্বংস করছে। তাছাড়া নেচারপার্কটি বন্যপ্রাণী অভয়রান্য সংরক্ষিত এলাকা। এই এলাকায় রোহিঙ্গাদের বসতির ফলে জীব জন্তুর উপর বিরূপ প্রভাব পড়তে পারে। তিনি আরো জানান, স্থানীয় সুরত আলম ও সেলিমসহ কয়েকজন মিলে এবসতি স্থাপনে সহযোগীতা করে যাচ্ছে। তিনি দ্রুত এ বিষয়ে পদক্ষেপ নিতে সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহবান জানান।

এবিষয়ে জানতে চাইলে টেকনাফ রেন্জ কর্মকর্তা তাপস দেব জানান, রোহিঙ্গাদের জন্য সরকার আলাদা জমি বরাদ্ধ করেছে। যেহেতু নেচারপার্কের বাইরে স্থাপনাগুলো গড়ে উঠছে তাতে আমাদের কিছু করার নেই। তবু বিষয়টি সংশ্লিষ্ট উর্ধ্বতন মহলকে জানানো হবে।