সংবাদ বিজ্ঞপ্তি:
কক্সবাজার সাহিত্য একাডেমী কক্সবাজারে এক ব্যতিক্রম কার্যক্রম পরিচালনা করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করে চলেছে।
বিশেষ করে শিশু-কিশোরদেরকে সাহিত্য-সংস্কৃতিতে উদ্বুদ্ধ করার কাজে ব্যাপৃত রয়েছে। শিশুদের লেখা কবিতা, ছড়া, গল্প, প্রবন্ধ নিয়ে সাহিত্য পত্রিকা প্রকাশ করে এক ব্যতিক্রম দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। এই কর্মসূচির মাধ্যমে শিশু-কিশোরদেরকে হাতে-কলমে কবি-সাহিত্যিক হিসেবে গড়ে উঠতে সহায়তা করছে।
রবিবার সকালে কক্সবাজার সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে একাডেমীর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ভিত্তিক প্রতিভা অন্বেষণ কর্মসূচি-২০১৭ উদ্বোধনী ও পুরস্কার বিতরন অনুষ্ঠানে বক্তাগণ এসব কথা বলেন।
বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক ছড়াকার মো. নাসির উদ্দিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত প্রতিযোগিতার উদ্বোধন করেন কক্সবাজার সাহিত্য একাডেমীর সভাপতি মুহম্মদ নূরুল ইসলাম।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে মুহম্মদ নূরুল ইসলাম বলেন, কক্সবাজার সাহিত্য একাডেমী প্রতিষ্ঠার পর জেলার পিছিয়ে পড়া সাহিত্য-সংস্কৃতির বিকাশে কাজ করে যাচ্ছে। বিশেষ করে আজকের শিশু আগামী দিনের নাগরিকদেরকে দক্ষ, আদর্শবান ও মানুষের মতো মানুষ হিসেবে গড়ে তোলার জন্য কাজ করে যাচ্ছে।
প্রধান অতিথি আরো বলেন, বিশ^কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বা জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম একদিনেই বিশ^কবি বা জাতীয় কবি হননি। আমাদের আজকের শিশুদের মতো তারাও শিশু ছিলো। কিন্তু তাঁরা আজ আমাদের জন্য দৃষ্টান্ত হয়ে রয়েছেন। আমাদের আজকের শিশুরাও একদিন অনেক বড় কবি-সাহিত্যিক হয়ে এলাকার মুখ উজ্জ্বল করবে। তাই শিক্ষার্থীদেরকে পড়ালেখার পাশাপাশি ছড়া, কবিতা, গল্প, প্রবন্ধ লিখে হাত পাকাতে আহবান জানান।
কক্সবাজার সাহিত্য একাডেমীর সাধারণ সম্পাদক কবি রুহুর কাদের বাবুলের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত প্রতিযোগিতায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য পেশ করেন সাহিত্য একাডেমীর স্থায়ী পরিষদের সদস্য অধ্যাপক-কবি দিলওয়ার চৌধুরী।
বক্তাগণ আরো বলেন, আজকের শিশুরা আগামী দিনের ভবিষ্যত নাগরিক। এসব শিশুদেরকে আগামীতে আদর্শ মানুষ হয়ে দেশ পরিচালনার দায়িত্ব গ্রহণ করতে হবে। ফলে তাদেরকে এখন থেকে আদর্শ মানুষ হিসেবে নিজেকে গড়ে তুলতে সচেষ্ট হতে হবে।
প্রতিযোগিতায় বিচারকের দায়িত্ব পালন করেন একাডেমীর প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক কবি মীর্জা মনোয়্রা হাসান, একাডেমীর স্থায়ী পরিষদ সদস্য কবি-অধ্যাপক দিলওয়ার চৌধুরী ও কবি-আবৃত্তিকার তৌহিদা আজিম।
কবি-আবৃত্তিকার তৌহিদা আজিম আবৃত্তি করেন।
প্রতিযোগিতা শেষে বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়।
বিদ্যালয়ে ‘খ’ গ্রুপ ও ‘গ’ গ্রুপে বিভক্ত করে প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। ‘খ’ গ্রুপের জন্য মো. নাছির উদ্দিনের লিখা ‘ইচ্ছা করে’ ও ‘গ’ গ্রুপের জন্য কবি মুহম্মদ নূরুল হুদার ‘যতদূর বাংলাভাষা ততদূর বাংলাদেশ’ কবিতা আবৃত্তির জন্য নির্বাচিত করা হয়েছে।
প্রতিযোগিতায় কবিতা আবৃত্তিতে ‘খ’ গ্রুপে ৬ষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী মাইশা তারান্নুম প্রথম, ৬ষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী ফাবিহা চৌধুরী বিভা দ্বিতীয় ও ৭ম শ্রেণির ছাত্রী শতাব্দী দে তৃতীয় স্থান অধিকার করে। স্বরচিত কবিতা/ছড়া গ্রুপে ৬ষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী কাসপিয়া সুলতানা তারা প্রথম, ৬ষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী মাইশা তারান্নুম দ্বিতীয় ও ৭ম শ্রেণির ছাত্রী মুগ্ধতা কাদের তৃতীয় স্থান অধিকার করে। ‘খ’ গ্রুপে গল্প/প্রবন্ধ লিখন বিভাগে ৭ম শ্রেণির ছাত্রী মুগ্ধতা কাদের প্রথম ও ৬ষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী সাওদা তাজবি উমামা দ্বিতীয় ও ৬ষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী অজুফা ইয়াসমিন উর্মি তৃতীয় স্থান অধিকার করে।
প্রতিযোগিতায় ‘গ’ গ্রুপে কবিতা আবৃত্তিতে ৯ম শ্রেণির ছাত্রী মৈত্রী দে প্রথম, ১০ম শ্রেণির ছাত্রী সিদরাতুল মুনতাহা দ্বিতীয় ও ৯ শ্রেণির ছাত্রী মুমতাহিনা হাসনাত মাহি তৃতীয় স্থান, স্বরচিত কবিতা-ছড়া বিভাগে ৯ম শ্রেণির ছাত্রী মুমতাহিনা হাসনাত মাহি প্রথম, ৯ম শ্রেণির ছাত্রী সিদরাতুল মুনতাহা বর্ণ দ্বিতীয় ও ৯ম শ্রেণির ছাত্রী তাহিয়া ইসলাম তৃতীয় স্থান, স্বরচিত গল্প-প্রবন্ধ বিভাগে ৯ম শ্রেণির ছাত্রী দোলা দে প্রথম, ৯ম শ্রেণির ছাত্রী জাহানারা সুলতানা পুর্ণিমা ও ৯ম শ্রেণির ছাত্রী সাইমা বিনতে উমামা তৃতীয় স্থান অধিকার করে।
২৬ সেপ্টেম্বর এর কর্মসূচি:
কক্সবাজার সাহিত্য একাডেমীর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ভিত্তিক প্রতিভা অন্বেষণ কর্মসূচির আওতায় সাহিত্য প্রতিযোগিতা ২৬ সেপ্টেম্বর ২০১৭ মঙ্গলবার সকাল ১০টায় কক্সবাজার কেজি এন্ড মডেল হাইস্কুলে অনুষ্ঠিত হবে। প্রতিযোগিতায় একাডেমীর সদস্যবৃন্দকে উপস্থিত থাকার জন্য একাডেমীর সভাপতি মুহম্মদ নূরুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক কবি রুহুল কাদের বাবুল অনুরোধ জানিয়েছেন।
কক্সবাজার সাহিত্য একাডেমীর প্রতিভা অন্বেষণ কর্মসূচির প্রতিযোগিতা
পড়া যাবে: [rt_reading_time] মিনিটে
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।