বিশেষ প্রতিনিধি:

কক্সবাজারের রামুর ঈদগড়ের চাঞ্চল্যকর নজির আহম্মেদ হত্যা মামলাকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার অপচেষ্টার অভিযোগ ওঠেছে। ঘটনার এক মাসেও কোন অসামী ধরা পড়েনি। আসামীরা প্রকাশ্য ঘুরাফেরা করছে। বাদীপক্ষকে হুমকী ধমকী দিচ্ছে আসামীরা। অধিকন্তু মামলার তদন্ত প্রক্রিয়া নিয়ে পুলিশের রহস্যজনক আচরণের অভিযোগ করেছে বাদীপক্ষ।

গত ২৬ আগষ্ট ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে বাড়ী ফেরার পথে দিবাগত রাত সাড়ে আটটার দিকে বাইশারীর উত্তর করলিয়ামুরা এলাকায় মৃত জলিল বসুর ছেলে নজির আহমদকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়।

এ ঘটনায় থানা আদালতে পৃথক দুইটি মামলা হয়েছে। ঘটনার দিনই নিহতের স্ত্রী আমিনা খাতুন বাদি হয়ে নাইক্ষ্যংছড়ি থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। মামলা নং-০৯/১৭। এ মামলায় এজাহারভুক্ত আসামী ৭ জন।

অপরদিকে একই ঘটনায় নিহত নজির আহম্মেদ এর ছেলে হেলাল উদ্দিন বান্দরবান সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আরেকটি মামলা করেন। মামলা নং-সিআর-১১৩/২০১৭। এতে ১৩ জনকে আসামী করা হয়েছে।

নিহতের ছেলে হেলাল উদ্দিন বলেন, আমার বাবা নজির আহম্মেদ ঈদগড়-বাইশারী সড়কের পাশে জালাল চেয়ারম্যানের রাস্তার মাথায় ছোট একটি মুদির কোন করে। ২৬ সেপ্টেম্বর দোকান বন্ধ করে পাশের মসজিদে এশার নামাজ আদায় করেন। সেখান থেকে বাড়ী ফেরার পথে পূর্বপরিকল্পিতভাবে উৎপেতে থাকা প্রতিপক্ষরা আমার বাবাকে হত্যা করে।

তিনি বলেন, আমাদের সাথে স্থানীয় কিছু লোকের জমিজমা সংক্রান্তে বিরোধ ছিল। এই বিরোধের জের ধরে আমার বাবাকে প্রপিক্ষরাই হত্যা করেছে। হত্যাকান্ডের সঙ্গে স্থানীয় রুস্তম আলী, আলী আহম্মদ প্রকাশ গুরুইচ্ছা, আইয়ুব আলী, শওকত আলী, আলী আকবর, খালেকুজ্জামান, আমির হামজা, মোঃ উল্লাহ, মৌলভী করিম, আবদুল মোতালেব, আনোয়ার হোসেন, আব্দুল শুক্কুর, আশরাফ জামানসহ আরো ৫/৬ জন লোক জড়িত বলে বলে জানান নিহতের স্বজনেরা।

অভিযুক্তরা এজাহারভুক্ত আসামী। নিহতের স্ত্রী আমিনা খাতুনের অভিযোগ করেন বলেন, আমার স্বামীকে পরিকল্পিতভাবে প্রতিপক্ষরা হত্যা করেছে। ঘটনায় দায়েরকৃত মামলার কোন অগ্রগতি হচ্ছেনা। বরং তদন্ত কর্মকর্তার সাথে আসামীদের গভীর সখ্যতা গড়ে ওঠেছে বলে বিভিন্ন সুত্র থেকে জানতে পেরেছি।

তবে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও নাইক্ষ্যংছড়ি থানার এসআই এস.এম আবু মূসা অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ঘটনার পরপরই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। আসামীদের গ্রেফতারে অনেকবার রেড দিয়েছি। আসামীরা এলাকায় না থাকতে তাদের ধরা সম্ভব হচ্ছেনা। ঘটনার মূল রহস্য উদঘাটনের চেষ্টা অব্যাহত আছে। শীগ্রীই একটা ভাল রেজাল্ট পাওয়া যাবে বলে মনে করেন তদন্ত কর্মকর্তা।

থানার ইন্সপেক্টর (অফিসার ইনচার্জ) এ.এইচ.এম তৌহিদ কবির বলেন, মামলাটির ব্যাপারে আমরা সর্বোচ্চ আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করছি। তদন্ত প্রক্রিয়া চলছে। কোন আসামী ছাড় পাওয়ার সুযোগ নেই।