ডেস্ক নিউজ:
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণমন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বলেছেন, মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে এসে আশ্রয়গ্রহণকারী রোহিঙ্গারা শরণার্থী নয়, তাদরেকে ‘অনুপ্রবেশকারী’ হিসেবেই আশ্রয় দিয়েছে সরকার। এমনকি বাংলাদেশে আশ্রিত অবস্থায় যেসব সন্তান জন্মগ্রহণ করছে তাদেরও মিয়ানমারের নাগরিক হিসেবে জন্মসনদ দেয়া হচ্ছে।
সোমবার সচিবালয়ে জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক হাইকমিশনার (ইউএনএইচসিআর) ফিলিপো গ্র্যান্ডির সঙ্গে বৈঠক শেষে তিনি এসব কথা বলেন।
মায়া বলেন, রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশকারীদের অস্থায়ীভাবে রাখার জন্য যে ২০০ একর জায়গা নির্ধারণ করা হয়েছে সেখানে অবকাঠামোগত উন্নয়নে সব ধরনের সহযোগিতা করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে ইউএনএইচসিআর। সেখানে রাস্তা তৈরি করতে ৩৫ কোটি টাকা খরচ হবে। এ টাকা দেয়ারও প্রতিশ্রুতি দিয়েছে তারা। আশা করছি আগামীকালই (মঙ্গলবার) তারা টাকা হস্তান্তর করবে এবং টাকা পেলে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর মাধ্যমে রাস্তার কাজ করা হবে।
ত্রাণমন্ত্রী বলেন, রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেয়া হয়েছে সাময়িক সময়ের জন্য। যদি তাদের নিয়ে দীর্ঘস্থায়ী কোনো পরিকল্পনা করতে হয় তাহলে তাদের ভাসানচরে স্থানান্তর করা হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতিসংঘে সে কথা বলেছেন। সে ক্ষেত্রে অবকাঠামোগত সব সহযোগিতা করবে ইউএনএইচসিআর। মানুষের বসবাস উপযোগী করে তুলতে কারিগরি সহযোগিতাও তারা করবে। প্রধানমন্ত্রী দেশে ফিরলে এ বিষয়টি চূড়ান্ত হবে।
তিনি আরও বলেন, ১৯৯১ সাল থেকে ইউএনএইচসির বাংলাদেশে কাজ করছে। তারা আমাদের পুরনো বন্ধু। আমাদের এই সমস্যার জন্য যে সহযোগিতা দরকার তা তারা দেবে।
উল্লেখ্য, গত ২৫ আগস্ট ‘রোহিঙ্গা জঙ্গিরা’ রাখাইনে কয়েকটি পুলিশ চেক পোস্টে হামলার ঘটনাকে কেন্দ্র নৃশংস অভিযানে নামে মিয়ানমার সেনাবাহিনী। ওই অভিযান শুরুর পর জীবন বাঁচাতে এখন পর্যন্ত সাড়ে ৪ লাখের বেশি রোহিঙ্গা বাংলাদেশে পালিয়ে আশ্রয় নিয়েছে। গত এক মাসে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া এসব রোহিঙ্গাদের মাঝে প্রায় দুইশ’ রোহিঙ্গা শিশু জন্ম নিয়েছে।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।