জাবেদ ইকবাল চৌধুরী :
নাফনদীতে মাছ ধরতে দেওয়ার দাবীতে টেকনাফে মানব বন্ধন করেছে জেলেরা। ২৬ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলা পরিষদের সামনে প্রধান সড়কে ঘন্টা ব্যাপী এ কর্মসুচীতে শত শত জেলেরা অংশ নেন। পরে টেকনাফ উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন দপ্তরে স্বারকলিপিও প্রদান করেন তারা।
এতে বলা হয়, সরকার ইয়াবা পাচার রোধে পরিক্ষামূলক ভাবে রাতের বেলায় নাফ নদীতে মাছ শিকার বন্ধ করার সিদ্ধান্ত ঘোষনা করেন। জেলে দেশের বৃহৎ স্বার্থে তা মেনে নেন। সম্প্রতি মিয়ানমার হতে রোহিঙ্গা পালিয়ে আসতে শুরু করায় বিজিবি গত ২৫ আগস্ট হতে দিনের বেলায়ও নাফ নদীতে মাছ ধরা বন্ধ করে দেয়। অযোহাত ছিলো নৌকা নিয়ে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ করবে। জেলেরা এক মাস যাবত মাছ ধরতে নৌকা নিয়ে নদীতে নামতে পারেনি। কিন্তু মাছ ধরা বন্ধ থাকলেও রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ ঠেকানো যায় নি। ঠেকানো যায় নি ইয়াবা পাচারও। কিন্তু মাছ ধরা বন্ধ থাকার ফলে শত শত জেলে মানবেতর জীবন যাপন করছে। অনেক পরিবারের স্কুল পড়–য়া ছেলেরা আর্থিক সংকটের কারনে বিদ্যালয় যাওয়া বন্ধ করে দিয়েছে। তাই অবিলম্বে নাফ নদীতে মাছ ধরার অনুমতি দিয়ে সীমান্তের জেলে পরিবার গুলোর জীবন জীবিকার স্বাভাবিক অবস্থা ফিরিয়ে আনান দাবী জানান মানব বন্ধন কারী জেলে নেতারা। ঘন্টাব্যাপী মানব বন্ধন কর্মসুচী পালন শেষে টেকনাফ উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তার কার্যালয়ে স্বারকলিপি প্রদান করেন টেকনাফ পৌর সভার নাইট্যং পাড়ার জেলে নেতা মোঃ ইব্রাহীম, হ্নীলা জলদাস পাড়ারা জেলে প্রতিনিধি চন্দ্রনাথ দাশ,কাশি মহন দাশ,সমীর দাশ, জাদী মুড়া এলাকার প্রতিনিধি শাহ আলম ও ছৈয়দ আলম।
এ সময় জেলে নেতারা জানান, মিয়ানমারের পালিয়ে আসা রোহিঙ্গারা পর্যন্ত ত্রান পাচ্ছে আর আমাদের জীবিকার পথ বন্ধ রাখা হয়েছে কোন স্বার্থে তা ভাববার সময় এসেছে।
এদিকে জেলেদের বিরাজমান সমস্যা নিয়ে উর্দ্ধতন কতৃপক্ষের সাথে কথা কলবেন বলে জানিয়েছেন টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জাহেদ হোসেন ছিদ্দিক।
নাফনদীতে মাছ ধরা চালুর দাবীতে পথে নেমেছে জেলেরা
পড়া যাবে: [rt_reading_time] মিনিটে
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।