বিশেষ প্রতিবেদক:
২৭ সেপ্টেম্বর পর্যটন দিবস পালিত হলেও টেকনাফ এবং দেশের একমাত্র প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিনে পর্যটক নেই। পর্যটকবাহী জাহাজ ও চালু হয়নি। প্রতি বছর অনেক আগেই দেশী-বিদেশী পর্যটক, ভিআইপিদের পদচারণা থাকলেও এবছর রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশের প্রভাবে তা দেখা যাচ্ছেনা। ফলে পর্যটক ছাড়াই পর্যটন দিবস পালিত হয়েছে।
জানা যায়, দেশের একমাত্র প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিনে শতাধিক হোটেল মোটেল রয়েছে। ঈদের আগে থেকেই এসব হোটেল মোটেলকে পর্যটক বরণে প্রস্তত করা হয়েছিল। তাছাড়া প্রতি বছরই কুরবনীর ঈদের পরদিন থেকে পর্যটকবাহী জাহাজ চালু করা হত। কিন্ত এবছর বৈরী আবহাওয়ার কারণে স্থানীয় প্রশাসন থেকে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচল করার অনুমতি দেয়া হয়নি বলে জানা গেছে।
২৭ সেপ্টেম্বর বিকালে সরেজমিন পর্যটকবাহী জাহাজ কেয়ারী সিন্দাবাদের জাহাজ ঘাটে গিয়ে দেখা যায় জাহাজে পর্যটক ওঠানামার জেটি মেরামত কাজ চলছে। কাঠের এ জেটি ঘুর্ণিঝড় মোরার আঘাতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। ঘাটে পর্যটকবাহী জাহাজ কেয়ারী সিন্দাবাদ ও কেয়ারী ক্রুজ ডাইন প্রস্তত। অফিস, অভ্যর্থনা, ওয়েটিং রুমসহ প্রয়োজনীয় অবকাঠামোর সংস্কার কাজ চলমান দেখা গেছে।
সেন্টমার্টিনদ্বীপের বাসিন্দা বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও সাংবাদিক আলহাজ্ব ছিদ্দিকুর রহমান বলেন ‘সেন্টমার্টিনদ্বীপের মানুষ এবং নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিগণ অত্যন্ত পর্যটক বান্ধব ও অতিথি পরায়ণ। আইন শৃংখলা পরিস্থিতিও ভাল’।
পর্যটকবাহী জাহাজ কেয়ারী সিন্দাবাদ ও কেয়ারী ক্রুজ ডাইনের ইনচার্জ শাহ আলম বলেন ‘প্রশাসনের অনুমতি পাওয়া গেছে। ১ অক্টোবর থেকে যথানিয়মে টেকনাফ-সেন্টমার্টিনদ্বীপ নৌরুটে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচল করবে’।
সেন্টমার্টিনদ্বীপ ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ্ব নুর আহমদ বলেন ‘ঈদের আগে থেকেই সেন্টমার্টিনদ্বীপের হোটেল মোটেলকে পর্যটক বরণে প্রস্তত করা হয়েছে। দ্বীপের মানুষ পর্যটকদের বরণ করতে অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে। সেন্টমার্টিনদ্বীপে জাহাজ থেকে পর্যটক ওঠানামার জেটির কিছু অংশ ভেঙ্গে গেছে। এ জেটির দায়িত্বে আছেন কক্সবাজার জেলা পরিষদ। বিষয়টি তাঁদের এবং স্থানীয় প্রশাসনকে অবহিত করা হয়েছে। এ ছাড়া অন্য কোন সমস্যা নেই’।
১ অক্টোবর থেকে টেকনাফ-সেন্টমার্টিনদ্বীপ নৌরুটে পর্যটকবাহী জাহাজ চলবে
পড়া যাবে: [rt_reading_time] মিনিটে
