Campaign RED

প্রকাশ: ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০১৭ ০৯:৪২

পড়া যাবে: [rt_reading_time] মিনিটে


আনোয়ার আহমাদ

Bangladesh Youth Leadership center বাংলাদেশের প্রথম লিডারশিপ প্রতিষ্ঠান। তারা ২০১৬ সালে Youth leadership prize এর আয়োজন করে। এ জন্য আইডিয়া সাবমিট করে অনেকগুলো দল। সেখান থেকে অনেক যাচাই-বাচাই করে ১০ টি দল কে তারা অর্থায়ন করে। সে ১০ টি দলের একটি Campaign RED. Asian University for women (AUW) এর শিক্ষার্থী রুবিনা আকতার, একই প্রতিষ্ঠানের রিমু বৈদ্য (যে বর্তমানে অক্সফোর্ট বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতক অধ্যায়নরত) তারা প্রথমে আইডিয়াটি নিয়ে আসে। তাদের দুই বন্ধু আনোয়ার আহমাদ (চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়) , মুর্শেদুল আলম ( UITS) মিলে একটা দল হয়। এ চারজনের সবাই BYLC থেকে ২০১০ সালে BBLT (Building Bridge Through Leadership Training) প্রশিক্ষণ সম্পূর্ণ করে। পরে তাদের আরেক বন্ধু সৈয়দা ফারজানা আহমেদ সহ নিয়ে পাঁচ জনের দল প্রতিযোগিতার জন্য আবেদন করে। তারা একটি পরিপূর্ণ প্রতিবেদন জমা দেয় যেখানে পুরো প্রজেক্ট কিভাবে চলবে তা তুলে ধরা হয়। ২০১৬ সালে তাদের দল বিজয়ি হয়। ১০ টিমের সাথে তারা ও প্রজেক্ট পরিচালনার জন্য ১০ হাজার ডলার পায়। ডিসেম্বরে তারা কক্সবাজারের উখিয়ার বেশ কয়েকটি স্কুলে একটা জরিপ করে। জরিপ ছেলে মেয়ে সবার জন্য ছিল তবে উভয়ের জন্য আলাদা জরিপ ছিল। ২০ ও ২৫ টা করে প্রশ্ন ছিল। জরিপের ফলাফল নেতিবাচক। যদিও তা আমরা এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ করিনি। একটি সেনসিটিভ বিষয়ে জরিপ করতে অনেক বাধা আসল। অনেক টিচার এ বিষয় দেখে জরিপ করতে দিতে রাজি না। আবার কেউ কেউ ভালোই সাড়া দিল। ৯০০ শি্কষার্থীর উপর জরিপ হল।
ভোলান্টিয়ার নিয়োগ<<
আমরা প্রথমে ক্যাম্পাসে প্রচার চালানোর জন্য ১০ জন ক্যাম্পাস এ্যাম্বাসেডর নিয়োগ দিলাম। এরা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে পোস্টার লাগালো। ফেসবুকে ও প্রচার করলাম। ৩০০+ আবেদন জমা পড়লো। তিনটা ধাপে ৫০ জনের বেশি ভোলান্টিয়ার নিলাম। সাধারণত আমরা শুক্রবারে তাদের ভাইভা নিতাম। অভিজ্ঞতা, সময় দিতে পারবে এমন, খুব আগ্রহী, ভালো বক্তাদের প্রাধান্য দিলাম। ভোলান্টিয়ার শুক্রবার কক্সবাজার যাবে। শনিবার স্কুলে ক্যাম্পেইন করবে। তার জন্য কয়েক ধাপে ট্রেনিং দিলাম। Asian University of women, University of Chittagong, IIUC, CUET, USTC, Bangladesh marine academy, কক্সবাজার সরকারি কলেজ। কক্সবাজার পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট, কমার্স কলেজ। American International University Bangladesh, সহ আরো কয়েকটা কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আছে এদের মধ্য। এদের মধ্য মেয়ে বেশি।
প্রতিষ্ঠান নির্ধারন<<
আমরা কক্সবাজারের ১২ টি প্রতিষ্ঠানে কাজ করি। এসব প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৫-৭ হাজার। তবে আমরা উপস্থিত পেয়েছি ৫০০০ এর বেশি।
স্কুল ৫ টি, মাদরাসা ৭ টি। তবে স্কুলের শিক্ষার্থী বেশি। প্রতিষ্ঠান প্রধানকে রাজি করানো কঠিন ছিল। তবে আমরা পেরেছি। UNO এর মৌখিক অনুমতি ছিল। উখিয়াতে রোহিঙ্গা ক্যাম্প থাকায় এনজিও কর্মকান্ডের প্রতি কড়াকড়ি করা হয়। প্রতিষ্ঠান প্রধানের সাথে আগে একবার কথা বলে আসতাম কখন আমরা যেতে পারবো তা নিয়ে। কক্সবাজার শহর থেকে ৪৫ কিলোমিটার দূরে উখিয়া। ভোলান্টিয়ারদের আমরা কক্সবাজারে রাখতাম। শনিবার সকালে কক্সবাজার থেকে উখিয়া যেতাম। ষষ্ট- দশম পর্যন্ত ক্লাস নেয়া হয়। অনেক প্রতিষ্ঠানে একই শ্রেনীতে ২-৩ টা শাখা ছিল। সে ক্ষেত্রে একটা স্কুলের জন্য ১২- ২৪ জন পর্যন্ত ভোলান্টিয়ার (টিচার) লাগে। একেকটা প্রতিষ্ঠান একেক সময় টাইম দিত। কিছু আছে ক্লাস ছুটির পর টাইম দিত। টাইমিং আমাদের জন্য চ্যালেঞ্জিং ছিল। আমরা কক্সবাজারে সৌদিয়া -এস আলমে যাতায়াত করি। কক্সবাজার থেকে উখিয়ায় হাইচে করে যাই। আমাদের একটা সীমিত বাজেটে সব কিছু করতে হয়। তাই খুব সিম্পল ভাবে সব কিছু করি। ভোলান্টিয়ারদের কো -অর্ডিনেট করতাম ফোনে, তবে আমাদের ফেসবুক গ্রুপ ও আছে। আমাদের পেজে মাসিক বিষয়ে দেয়া গুরুত্বপূর্ণ তথ্যগুলো থেকে অনেকে নতুন তথ্য জানতে পারছে।
প্রথমে একবার সব স্কুলের শিক্ষার্থীদের কাছে বয়ঃসন্ধিকালীন প্রাথমিক তথ্য দিয়েছে। বন্ধুত্বপূর্ণ হওয়া ছাড়া এমন বিষয়ে কথা বলা কঠিন। একটা মজার বিষয় দিয়ে শুরু করা হতো। শিক্ষার্থীর মনের কথা বলার সুযোগ দেয়া হতো। বয়োঃসন্ধিকাল কি, কি কি পরিবর্তন হয়। এ নিয়ে তাদের ভাবনা কি, কারো সাথে কথা হয় কিনা এসব বিষয়ে প্রভৃতি ছিল।

দ্বিতীয় ধাপে আমরা তাদের কাছে একটা তথ্যবহুল আলোচনা করি। মাসিক নিয়ে বিজ্ঞানসম্মত আলোচনা। সমাজে এটাকে কিভাবে দেখা হয়, কিভাবে দেখা উচিত। মাসিক নিয়ে কেন পরিবারের সাথে কথা বলব, ভাই কিভাবে বোন কে সহয়তা করবে প্রভৃতি আলোচিত হয়। প্রত্যেক ক্লাস থেকে ২ জন করে লিডার নির্বাচিত করা হয়।
৩য় ধাপে আমরা পিয়ার লিডারদের কে প্রশিক্ষণ দিব এবং এ সম্পর্কিত বই দেব। যাতে পরবর্তীতে তারা অন্যদের যে কোন প্রশ্ন নিজে সমাধান দিতে পারে বা আমাদের সাথে যোগাযোগ করে এ কার্যক্রমের ধারাবাহিকতা রক্ষা করতে পারে। আমাদের নিদিষ্ট করে দেয়া ভোলান্টিয়াররা তাদের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ করবে।
আমরা পর্যায়ক্রমে সারাদেশ আমাদের এ কার্যক্রম চালিয়ে যেতে চাই। আমরা মনে করি নারীদের এগিয়ে নিতে এ কাজটা চালু রাখা দরকার। আর নারী-পুরুষ সমানতালে এগিয়ে গেলে দেশ এগিয়ে যাবে। কম দামে স্যানিটারি প্যাড সরবরাহ করার একটা পরিকল্পনা আমাদের আছে।

(Campaign RED ২০১৭ সালের শুরু থেকে ছেলে-মেয়েদের বয়োঃসন্ধিকালিন পরিবর্তন বিশেষ করে মেয়েদের মাসিক ব্যবস্থাপনা বিষশে সচেতনতামুলক ক্যাম্পেইন করছে। ককক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার ১২ টি স্কুল-মাদরাসার ষষ্ট-দশম শ্রেনীর ৫০০০ এর অধিক শিক্ষার্থীর কাছে এ বিষয়ে সচেতনতার বার্তা পৌছে দিয়েছে। দেশের শীর্ষস্থানীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫০ জন ভোলান্টিয়ারকে এ বিষয়ে প্রশিক্ষণ দিয়েছে ক্যাম্পেইন রেড, এ ভোলান্টিয়াররাই মূলত এ ক্যাম্পেইন করে থাকে।
ক্যাম্পেইন রেড মূলত একটি আইডিয়া ছিল যেটা Bangladesh Youth Leadership Center (BYLC) এর Youth Leadership Prize 2016 বিজয়ী হয়। BYLC থেকে ২০১০ সালে BBLT প্রশিক্ষণ লাভ করা চার বন্ধু রুবিনা আকতার, রিমু বৈদ্য, আনোয়ার আহমাদ, মুর্শেদুল আলম ও তাদের আরেক বন্ধু ফারজানা আহমেদ মিলে সমাজ সচেতনতার এ কাজে উদ্যোগী হন।
ক্যাম্পেইন রেডের একজন ভোলান্টিয়ার মিথিলা হক বলেন, “প্রথম যখন আমার মাসিক হয় তখন আমি স্কুলে ছিলাম। এ বিষয়ে আমি জানা ছিল না। আর আমি বিষণ ভয় পেয়ে গেছি। আমি মনেকরেছিলাম আমার কোন রোগ হয়েছে। আমার মত আর কারো যাতে এরকম ভয় পেতে না হয় তাই এ ক্যাম্পেইন রেডের সঙ্গি হয়েছি।
আমাদের ভোলান্টিয়ার হওয়ার জন্য প্রায় ৩০০ আবেদন পড়ে। যারা Asian University for woman, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়, চুয়েট, IIUC, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় ও আরো অনেক সনামধন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। আমরা ৫০ জনকে সুযোগ দিতে পেরেছি।

“শুধু স্কুল-মাদরাসায় নয়, সামাজিক যোগাযোগ সাইট ফেসবুকে ও আমরা এ বিষয়ে সচেতনতা সৃষ্টির চেষ্টা করছি।https://www.facebook.com/CampaignRED17/
এই লিংকে আমাদের পেজে যে কেউ গিয়ে অনেক কিছু জানতে পারবে।” বলছিলেন ফারজানা আহমেদ।
আমরা প্রায় ৯০০ জন শিক্ষার্থীর কাছে একটা জরিপ করেছিলাম। যেখানে আমরা অনেক নেতিবাচক তথ্য পেয়েছি। যেমন: একটি প্রশ্ন ছিল “মাসিক কি একটি রোগ?” এখানে বেশিরভাগ উত্তর ‘হ্যাঁ” এসেছে। তারপর আমরা ফাইনালি ক্যাম্পেইন করার সিদ্ধান্ত নিলাম। বলছিলেন রুবিনা আকতার।
চুয়েট শিক্ষার্থী ইফফাত হোসাইন রৌশনি বলেন “একটি প্রাকৃতিক প্রক্রিয়া হওয়ার পর ও মাসিক নিয়ে সমাজে অনেক ট্যাবু। তা দূর করতেই এখানে কাজ করা।
ছেলেরা কেন মাসিক নিয়ে জানবে? আইআইইউসি শিক্ষার্থী আবির চৌধুরীর জবাব ” মাসিক মাতৃত্বের নিদর্শন, অথচ তা নিয়ে না বুঝে কিছু ছেলে হাসি বিদ্রুপ করে। নারী-পুরুষ নিয়ে সমাজ। বিষয়টা ছেলেদের ও জানা উচিৎ।
USTC শিক্ষার্থী তানজিনা আকতার আন্নির মতে “Campaign RED এ কাজ করে নতুন নতুন অনেক কিছু শিখছি। যা আমাকে ভবিষ্যতে আলোর পথ দেখাবে।”

AUW এর শিক্ষার্থী তাসবিহার বলেন “সমাজ পরিবর্তনের অংশীদার হতে পেরে নিজেকে ধন্য মনে করছি।”
“আমরা আমাদের এ উদ্যোগকে সারাদেশে ছড়িয়ে দিতে চাই। এ জন্য আমরা সবার অসহযোগিতা আশা করছি” বলছিলেন অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী রিমু বৈদ্য
BYLC থেকে লিডারশিপ ট্রেনিং নিয়ে সারাদেশের অনেক তরুন-তরুনী সমাজ পরিবর্তনে ভূমিকা রাখছে। আমরা সমাজে ইতিবাচক পরিবর্তনে বিশ্বাসী – মুর্শেদুল আলম)

একটা মেয়ে তার জীবনের দার্ঘ একটাসময় পিরিয়ডের মধ্যে দিয়ে অতিবাহিত করছে। ২০০৯ সালে প্রকাশিত ইউনসেফের একটি রিপোর্টে দেখানো হয়, যে সকল দেশে পিরিয়ড নিয়ে কথা বলা নিষিদ্ধ বিবেচনা করা হয় সেখানে বয়ঃসন্ধিকালে প্রায় ২০ শতাংশ মেয়ে স্কুলে অনুপস্থিত থাকে।

বিশ্বের বিভিন্ন সমাজে এখনো মাসিকের বিষয়টি অকথ্য মনে করা হয়। পিরিয়ড সম্পর্কিত বেশিরভাগ তথ্যই কুসংস্কার এবং অন্ধ বিশ্বাসের উপর নির্ভর করে চলে আসছে। বাংলাদেশে খুবই কম মেয়ে আছে যারা স্বতঃস্ফূর্তভাবে তাদের পরিবারের সাথে পিরিয়ড সংক্রান্ত সমস্যা আলোচনা করে।
আমরা অনেক মেয়েরা নিজেরা পিরিয়ডকালীন পরিচ্ছন্নতা ও খাবার দাবার নিয়ে বেশ সচেতন কিন্তু আরেকজনকে জানানোর প্রয়োজন মনে করি না আর এই সমস্যা সমাধানে আবির্ভাব ঘটে ক্যাম্পেইন রেড এর। যারা ইতোমধ্যে কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার ১২ টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ৫০০০ স্কুলগামী শিক্ষার্থীদের মাঝে পিরিয়ডকালীন পরিচ্ছন্নতা সম্পর্কিত সচেতনতার কাজ শেষ করেছে। যারা ২০১৬ সালের ইয়ুথ লিডারশীপ পুরস্কার অর্জন করেন।

৫ জন ৯৫০০ ইউএস ডলারে (প্রায় সাড়ে সাত লক্ষ টাকা) পুরস্কৃত হন যাতে এই অর্থ দিয়ে তারা প্রজেক্ট ক্যাম্পেইন রেড সফলভাবে বাস্তবায়ন করতে পারে।

উল্লেখ্য, কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার স্কুলগামী ছেলে ও মেয়েদের মাঝে পিরিয়ড সংক্রান্ত সচেতনতার কাজ করছে ক্যাম্পেইন রেড। পিরিয়ড অসুস্থতা কিংবা লজ্জার কোন বিষয় নয় বরং এটির মাধ্যমে একজন নারী সুস্থতা ও পূর্ণতা পায়। তাই বয়ঃসন্ধিকালে কোন নারী যেন সমাজে পিছিয়ে না থাকে সেটা নিশ্চিত করার লক্ষ্যেই কাজ করছে ক্যাম্পেইন রেড। এখানে রেড দ্বারা শুধু রক্তের লাল রঙ না বরং “রেয়েলাইজিং এমপাওয়ারমেন্ট ফর ডিগনেটি” (মর্যাদার জন্য ক্ষমতায়ন) বুঝানো হয়েছে।

ক্যাম্পেইন রেড এর সবচেয়ে বড় অর্জন হচ্ছে, উখিয়াতে মেয়েদের পাশাপাশি ছেলেদের মধ্যেও সচেতনতা সৃষ্টি হয়েছে এবং পরিবর্তন হয়েছে ছেলেদের দৃষ্টিভঙ্গির। কেননা ক্যাম্পেইন রেড বিশ্বাস করে সুস্থ পরিবার, ক্ষমতায়ন, শিক্ষা ও কর্মক্ষেত্রে অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে নারীর পাশাপাশি পিরিয়ড এর ব্যাপারে পুরুষদেরও জানা প্রয়োজন। এই ক্যাম্পেইনে এশিয়ান ইউনিভার্সিটি ফর ওমেন, চট্রগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়, চুয়েট, বাংলাদেশ মেরিন অ্যাকাডেমি, ইউএসটিসি, আইআইইউসিসহ অনন্যা চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারের বিশ্ববিদ্যালয়গামী ৫০ জন সেচ্ছাসেবী সক্রিয়ভাবে কাজ করছে। ভলান্টিয়াররা কাজের ফাঁকে অবসর সময়ে কক্সবাজারের বিভিন্ন স্থান পরিদর্শন করে থাকে।]

আনোয়ার আহমাদ,
প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর, ক্যাম্পেইন রেড
01676288925