“দেশে এনজিওর সংখ্যা কতো আল্লাহ ছাড়া কেউ জানে না!”
এরা কোথায়? এদের সঠিক কাজ কি? এরা কি অাসলেই রোহিঙ্গাদের পাশে অাছে?না লোক দেখানো? রোহিঙ্গাদের জন্য বরাদ্দকৃত বিদেশি কোটি কোটি টাকা কি তবে এদের পকেটে?
বর্তমানে জাতীয় সংসদের হিসেব অনুযায়ী বাংলাদেশে মোট ২৩৩টি বিদেশি এনজিও কাজ করছে। এসব এনজিওতে অাবার তথ্য অধিদপ্তরের হিসেব অনুযায়ী ৩৪২ বিদেশি নাগরিক এবং ১৫ হাজার ৮১৫ বাংলাদেশি কর্মকর্তা-কর্মচারী কর্মরত আছেন।
বিদেশি ২৩৩ টি এনজিওর মধ্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক মোট ৭০টি এনজিও রয়েছে। এ ছাড়া যুক্তরাজ্য ভিত্তিক এনজিও রয়েছে ৩৬টি এবং জাপান ভিত্তিক এনজিওর সংখ্যা ১৯টি।
এ বিষয়ে অামাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সংসদে বলেছিলেন কোন এনজিও বিদেশি নাগরিক নিয়োগ করতে চাইলে সংস্থার অর্গানোগ্রাম অথবা এনজিও বিষয়ক ব্যুরোর অনুমোদিত প্রকল্পে বিদেশি বিশেষজ্ঞ কর্মকর্তা নিয়োগের সংস্থান থাকতে হয়। নিয়োগের শর্তানুযায়ী যথাযথভাবে বিদেশি নিয়োগ করা হয় এবং এনজিও বিষয়ক ব্যুরো ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ছাড়পত্র নিয়ে তারা এ দেশে কাজ করেন।’
সংসদে দেওয়া অামাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর তথ্যানুযায়ী,বাংলাদেশে বর্তমানে অস্ট্রেলিয়া ভিত্তিক এনজিওর সংখ্যা ১০টি, বেলজিয়াম ভিত্তিক ৩টি, কানাডা ভিত্তিক ৮টি, ডেনমার্ক ভিত্তিক ৫টি, ফিনল্যান্ড ভিত্তিক ২টি, ফ্রান্স ভিত্তিক ৮টি, জার্মান ভিত্তিক ৬টি, হংকং ভিত্তিক ২টি, ভারত ভিত্তিক ২টি, আয়ারল্যান্ড ভিত্তিক ১টি, ইতালি ভিত্তিক ৩টি, জাপান ভিত্তিক ১৯টি, কুয়েত ভিত্তিক ২টি, নেদারল্যান্ড ভিত্তিক ৯টি, নিউজিল্যান্ড ভিত্তিক ২টি, নরওয়ে ভিত্তিক ৪টি, কাতার ভিত্তিক ১টি, সৌদি আরব ভিত্তিক ৬টি, দক্ষিণ কোরিয়া ভিত্তিক ১১টি, স্পেন ভিত্তিক ৪টি, সুদান ভিত্তিক ১টি, সুইডেন ভিত্তিক ৬টি, সুইজারল্যান্ড ভিত্তিক ৯টি, থাইল্যান্ড ভিত্তিক ১টি ও সংযুক্ত আরব আমিরাত ভিত্তিক ২টি এনজিও কাজ করছে।
সরকারের উন্নয়ন সহযোগী হিসেবে কার্যক্রম পরিচালনাকারী বেসরকারি সংস্থা বা এনজিও গুলোর সঠিক কোনো পরিসংখ্যান সরকারি নথিতেও অাজও নেই। এ নিয়ে অামার মতে তাই “দেশে এনজিওর সংখ্যা কতো আল্লাহ ছাড়া কেউ জানে না!”
উল্লেখ্য, বাংলাদেশে এনজিও সৃষ্টি ও তাদের কর্মতৎপরতার শুরু হয় মুক্তিযুদ্ধের পরপরই। তখন তাদের প্রধান কাজ ছিল যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশের ত্রাণ ও পুনর্বাসনে সার্বিক সহযোগিতা করা। এখন তারা প্রধান যেসব ক্ষেত্রে কার্যক্রম পরিচালনা করছে সেগুলো হলো: দারিদ্র্য বিমোচন, পল্লী উন্নয়ন, লৈঙ্গিক সমতা, পরিবেশ প্রতিরক্ষা, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা এবং মানবাধিকার।
সরকারের এনজিও বিষয়ক ব্যুরো ১৯৯০ সালে গঠিত হয় এবং এটি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের অন্তর্ভুক্ত। ২০০৯ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত ব্যুরো মোট ২ হাজার ৪৮৪টি এনজিওকে নিবন্ধন দিয়েছে।
সমাজসেবা অধিদফতরের সর্বশেষ নথি থেকে দেখা যায়, দেশের ৬৪টি জেলায় অধিদফতরের অধীনে ৫৩ হাজার ২৩২টি এনজিও আছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ঢাকায়; ৭ হাজার ৬৮১টি।
তবে কার্যক্রম না থাকা এবং অন্য নানা অসঙ্গতির কারণে ২০০৯-১৩ সাল পর্যন্ত ১০ হাজার ২২৭টি এনজিওর নিবন্ধন বাতিল করা হয়েছে।
এ অবস্থায় অামি মনে করি কক্সবাজার জেলায় উখিয়া টেকনাফ রোহিঙ্গা ক্যাম্পে এসব এনজিও যদি সঠিক ভাবে মানবতার সেবায় কাজ করে তবে বর্তমানে রোহিঙ্গাদের কোন সংকট থাকে না।তবে তারা তা না করে এসব এনজিও গুলোতে শরণার্থীদের ত্রাণ দেয়ার নামে বর্তমানে ব্যাপক লুটপাট চলছে।প্রতিদিন রাতে কক্সবাজার শহরে অলিতে গলিতে এনজিও গুলোর অফিসের নিকটে অনেক অনেক বড় বড় ট্রাক ত্রাণ ভরতে দেখা যায়।কিন্তু অাদৌ ঐ ত্রাণবাহী ট্রাক গুলো কি রোহিঙ্গা ক্যাম্পে যাচ্ছে না তাদের কর্মকর্তা গণরা হরিলুট পাট করছে।এবং এসব এনজিও গুলোতে এখন কক্সবাজারের স্হানীয়দের নির্দিষ্ট মেয়াদ ভিত্তিক চাকরিতে নিয়োগ না দেয়ার কথা থাকলেও তারা তা না দিয়ে দেশের উত্তরবঙ্গ থেকে তাদের স্বজনদের নিয়োগ দেয়া হচ্ছে।যেখানে বেশ বানিজ্য চলছে বলে জানা গেছে।এক সময় অামরা দেখেছি এসব এনজিও গুলো সরাসরি দিন দুপুরে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে সরকারের অনুমতি ছাড়া ত্রাণ সামগ্রী বা সাহায্য সহযোগিতা করতে পারতো না। তবে দেশে এখন ৬ থেকে ৭ লক্ষ রোহিঙ্গা এক সাথে অবস্থান করার কারণে সরকার তাদের বিধি নিষেদ শিতিল করেছে অার তাই তারাও এই সুযোগে বেশ মজায় অাছে।সঠিক ভাবে কোন এনজিও তাদের অফিসের নিয়ম মাফিক সাহায্য সহযোগিতা যে ভাবে দেয়া প্রয়োজন সে হিসেবে না দিয়ে ভেতরে ভেতরে অামাদের জানা মতে তারা দূর্ণীতি শুরু করছে।বর্তমানে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে মুষ্টিমেয় এনজিও ছাড়া অন্যদের চোখে দেখা যায় না।বাকি এনজিও গুলো কি করছে?
অামার দেখা মতে একমাত্র বঙ্গ তনয়া দেশরত্ন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান অাওয়ামীলীগ সরকার ছাড়া কেউ সঠিক ভাবে নির্যাতিত রোহিঙ্গাদের পাশে নেই।সারা দেশ থেকে অাওয়ামীলীগের নেতাকর্মীরা যেভাবে প্রতিদিন ত্রান সামগ্রী নিয়ে তাদের পাশে দাড়িয়েছে তা বহি:বিশ্বে এখন দেশরত্নের সুনাম ছড়িয়ে অাছে।
এখন অাপনারাই বলুন এসব এনজিও গুলোর জন্য অামরা কি ব্যবস্থা নিতে পারি।অামি কক্সবাজার প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি কেননাএদেরকে নজরে রাখুন এবং এরা কে কখন কোথায় কি করছে তাদেরকে যেন জিঙ্গসাবাদ করা হয় তবেই একটা পর্যায়ে অাসবে।
মোরশেদ হোসাইন তানিম
সাধারণ সম্পাদক
বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, কক্সবাজার জেলা শাখা।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।